কলকাতা, 20 মার্চ: প্রায় প্রত্যেক ম্যাচের শেষেই রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৷ ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনেও নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন লাল-হলুদের হেডস্যর ৷ যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল বিতর্ক ৷ তারপরেই এবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত ।
ইস্টবেঙ্গল কোচ জানিয়েছেন, জামশেদপুর এফসি ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে রেফারিং নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন । যা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিল। সেই সমালোচনা কোনও ব্যক্তিবিশেষ বা সংস্থাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেননি । তিনি শুধু সংবাদ মাধ্যমের সামনে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছিলেন । তাতে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা আহত হয়ে থাকেলে তিনি দুঃখিত । ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে তিনি সবসময় কাজ করতে থাকতে চান ।
জামশেদপুর এফসির পয়েন্ট কেড়ে নেওয়ার দিনেই ইস্টবেঙ্গল কোচের এই দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি নতুন মাত্রা যোগ করল । আর্ন্তজাতিক বিরতির পর ইস্টবেঙ্গলের সামনে সুপার সিক্সের দরজা খোলার আভাস মিলেছে। শেষ তিন ম্যাচের কুয়াদ্রাতের ছেলেরা পুরো পয়েন্ট তুলতে পারলে প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার সুযোগ থাকছে ।
এদিকে ডার্বিতে চোট পেয়ে সম্ভবত এই মরশুমে আর মাঠে নামার জায়গায় নেই লালচুংনুঙ্গা। যা ইস্টবেঙ্গলের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা । ডার্বিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকী ভারতীয় দলে ডাক পেলেও যোগ দিতে পারেননি। ফলে আপাতত পুরো দলকে ছুটি দিলেও বাকি তিন ম্যাচ এবং পরবর্তী ধাপের জন্য কুয়াদ্রাতকে রক্ষণ সাজাতে হবে। আইএসএলের শেষ পর্বে ইস্টবেঙ্গলের দল গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে । হিজাজি মাহেরের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করে আরও দু’বছরের জন্য তাঁকে রাখা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে মহমেডান স্পোর্টিং স্ট্রাইকার ডেভিডকে নেওয়ার ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল আগ্রহী বলে শোনা যাচ্ছিল। সেই সম্ভাবনা নাকি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। ফলে কোচের ক্ষমা প্রার্থনার দিনে লালচুংনুঙ্গার চোট যেমন খারাপ খবর, তেমনই হিজাজির চুক্তি নবীকরণ ও ডেভিডকে নেওয়ার জোরালো ইঙ্গিতে লাল-হলুদে আশার আলো।
আরও পড়ুন: