গাইঘাটা, 4 এপ্রিল: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য় করার অভিযোগ উঠেছে বনগাঁর সাংসদ তথা এবার ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ৷ গত মঙ্গলবার গাইঘাটায় নির্বাচনী প্রচারের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ সেখানেই তাঁকে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘‘একটাও তৃণমূলের লোককে আমরা নাগরিকত্ব দেব না । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন তাঁদের বাঁচান ।’’ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
2019 সালে শান্তনু ঠাকুর প্রথমবার বনগাঁ লোকসভা আসন থেকে ভোটে লড়েছিলেন ৷ সেবার নির্বাচনী প্রচারে তাঁর অন্যতম বড় হাতিয়ার ছিল বাংলাদেশী উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি ৷ ভোটে জিতে তিনি বনগাঁর সাংসদ ৷ পরে কেন্দ্রীয় সরকারে মন্ত্রীও হন ৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার সিএএ তৈরি করে ৷ সম্প্রতি সেই আইন লাগু করা হয়েছে৷ ওই আইনের বলে প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুরা, যাঁরা 2014 সালের 31 ডিসেম্বরের আগে এসেছেন ভারতে, তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন ৷
এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিজেপি প্রচারে নেমেছে ৷ শান্তনু ঠাকুরও এই নিয়ে প্রচার করছে ৷ সেই প্রসঙ্গ তুলতে গিয়েই তিনি গাইঘাটায় বিতর্কিত কথা বলেন বলে অভিযোগ ৷ যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে শান্তনু বলছেন, "তৃণমূলের কোনও কথা শুনতে হবে না । আপনারা সেল্ফ ডিক্লারেশন দেবেন । আর ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের সময় আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন । কী করতে হবে বলে দেব । প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি লোক গিয়ে কি করতে হবে বলে দেবে ।"
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘একটা তৃণমূলের লোককে আমরা নাগরিকত্ব দেব না । তারপর ওদের খ্যামটা নাচ কাকে বলে দেখাব । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন বাঁচায় ।’’ এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে এমন মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরির হয়েছে । প্রশ্ন উঠছে, সরকার যদি আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব দেয়, তাহলে কি কোনও রাজনৈতিক দল দেখে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় ?
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে ওই বক্তব্য নিয়ে সাফাই দিয়েছেন শান্তনু ৷ তিনি বলেন, ‘‘ওরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছে । ওরা বলে দিয়েছে, নাগরিকত্বের দরকার নেই । কেন তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে ? ওদের ভোটার কার্ডই যেন নাগরিকত্বের প্রমাণ হয় ।’’
আরও পড়ুন: