আলিপুরদুয়ার, 24 অগাস্ট : আবারও থমকে গেল অসম থেকে বক্সার জঙ্গলে বাঘ আনার কাজ ৷ সেরাজ্য থেকে 9টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে আসার কথা ছিল ৷ কিন্তু কোরোনার কারণে ভেস্তে গেল সেই কাজ ৷ মোট তিন ধাপে 9 টি বাঘ আনার কথা ছিল এই জঙ্গলে ৷ বক্সারে বাঘ এনে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করাও সম্পুর্ণ হয়ে গেছিল ৷
এই বিষয়ে বক্সা টাইগার রিজ়ার্ভের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভংকর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, NTCA , ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার মিলে একটি পাঁচ বছরের টাইগার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে । সেই প্রজেক্টের মূল উদ্দেশ্য হল অসমের জঙ্গল থেকে বক্সার জঙ্গলে বাঘ নিয়ে আসা ৷ কিন্তু কোরোনার জেরে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে ৷ পাশাপাশি ভারী বর্ষণের কারণেও কিছু সমস্যা হচ্ছে ৷ তবে বর্ষা শুরু হলে সমস্ত প্রকল্পের কাজ পুরো দমে শুরু হবে ৷
একই সঙ্গে তৈরি রাখা হয়েছে বাঘের খাবারও ৷ পরও বেশ কয়েক দফায় চিতল হরিণ ছাড়া হয়েছিল জঙ্গলে ৷ শোনা যাচ্ছে সম্বর হরিণও ছাড়া হবে সেখানে । বক্সা টাইগার রিজ়ার্ভে শেষ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মিলেছিল আশির দশকে । তারপর থেকে এখানে বাঘের সরাসরি দর্শন হয়নি । তবে বাঘ শুমারি রিপোর্টে প্রতিবারই বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গলের পাগ মার্ক , স্ক্যাট কালেকশন হয়ে থাকে । কিন্তু সরাসরি বাঘের দেখা না মেলায় একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে বাঘের অস্তিত্ব নিয়ে ৷ সেই অস্তিত্ব প্রমাণ করতে বক্সারে ৭৬২ স্কোয়ার কিলোমিটার জঙ্গল এলাকায় প্রায় দেড়শটি CC ক্যামেরা লাগানো হলেও দেখা মেলেনি বনের রাজার ।
এরপরই বক্সার জঙ্গলের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অসম থেকে এখানে রয়্যাল বেঙ্গল এনে ছাড়া হবে । কিন্তু তখন রাজনৈতিক কারণে পিছিয়ে যায় সেই কাজ ৷ অসম সরকার দাবি করে , তারা জানতই না বক্সারে বাঘ আনা হবে ৷ এরপর সমস্ত জট কাটলেও বাধ সাধল কোরোনা ৷ পুনরায় পিছিয়ে গেল সেই কাজ ৷
পাঁচ বছরের এই প্রকল্পটির মধ্যে প্রায় দু'বছরের কাজ শেষের পথে । তবে কোরোনার কারণে বাঘ আনার প্রকল্প এখনও থমকে আছে । শুভংকরবাবু জানান, "কোরোনা এবং বর্ষার জেরে এই প্রকল্পের কাজ থমকে আছে । আমরা আশা করছি বর্ষা থামলেই NTCA এবং রাজ্যের নির্দেশে অসম থেকে বাঘ আনার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে । এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা ৷"