ETV Bharat / bharat

কোন সত্যি লুকিয়ে রয়েছে ইউহানের ল্যাবরেটরিতে ?

author img

By

Published : Jun 4, 2021, 7:57 AM IST

Wuhan Lab Leak
ছবি সৌজন্যে : টুইটার

এখনও অনেক জায়গায় ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে । আমরা জানি না, করোনা ভাইরাস কীভাবে ইউহানে এল । কীভাবে এটি এমনভাবে বিবর্তিত হল যা মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়ে গেল । প্রথম যিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন, তিনি কীভাবে সংক্রমিত হলেন, তাও জানা নেই । আর এই প্রতিটি অজানা ক্ষেত্রে কোথাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের হাত রয়েছে কি না... কিছুই জানা নেই ।

নয়াদিল্লি, 4 জুন : 2019 সালের শেষ দিকে প্রথম সংক্রমণ । তারপর কেটে গিয়েছে দেড় বছরেরও বেশি সময় । প্রথম ঢেউ । দ্বিতীয় ঢেউ । কোনও কোনও দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউও এসে গিয়েছে । মানুষ এখনও আক্রান্ত হচ্ছে । মৃত্যুমিছিল এখনও অব্যাহত । কিন্তু আমরা এখনও স্পষ্টভাবে জানি না, এই করোনা ভাইরাস বা সার্স কোভ-2 কীভাবে এল ।

এখনও অবধি প্রচলিত ধারণা যা রয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে, ভাইরাসটি বাদুড়ের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে । তবে আরও একটি সম্ভাবনার কথা একইসঙ্গে সমান্তরালভাবে উঠে আসছে । অনেকেই বলছেন, চিনের ইউহানের একটি ল্যাবরেটরি থেকে কোভিড 19 ছড়িয়ে পড়েছে । আর এই দ্বিতীয় সম্ভাবনাটির পক্ষে সওয়াল দিন দিন জোরালো হচ্ছে । বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য জোরদার সওয়াল করা হচ্ছে । এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, 2019 সালের শেষ দিকে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ইউহান থেকেই ।

কোন কোন বিষয়গুলি আমরা জানি, আর কোন কোন বিষয়গুলি আমাদের এখনও জানা বাকি রয়ে গিয়েছে ?

এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে যা তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে বলা যেতে পারে -- বাদুড়ের শরীরে যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়, তার সঙ্গে সার্স কোভ-2 ভাইরাসটির অনেক মিল রয়েছে । কয়েক দশক আগে করোনা ভাইরাসের কিছু স্ট্রেন দক্ষিণ এশিয়ায় বাদুড়ের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল ।

আরও পড়ুন : 2015 সালেই করোনা নিয়ে গবেষণা ! জৈব অস্ত্র তৈরি করছিল চিন ?

কিন্তু এখনও অনেক জায়গায় ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে । আমরা জানি না, এই ভাইরাস কীভাবে ইউহানে এল । কীভাবে এটি এমনভাবে বিবর্তিত হল যা মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়ে গেল । প্রথম যিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন, তিনি কীভাবে সংক্রমিত হলেন, তাও জানা নেই । আর এই প্রতিটি অজানা ক্ষেত্রে কোথাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের হাত রয়েছে কি না... কিছুই জানা নেই ।

জ়ুনোটিক ট্রান্সমিশন পাথওয়ে অর্থাৎ, পশু-পাখিদের শরীর থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ । এটি নিয়ে এখন গোটা বিশ্বে চর্চা চলছে । বিজ্ঞানীরাও বলছেন, নতুন যে ভাইরাসগুলি আসছে, তার মূল কারণই হচ্ছে জ়ুনোটিক ট্রান্সমিশন ।

কিন্তু কথা হচ্ছে, এক্ষেত্রে সংক্রমণ যেখান থেকে শুরু হয়েছে, তার কাছেই এমন একটি গবেষণাগার রয়েছে, যেখানে করোনা ভাইরাস মানবদেহে মহামারির আকার নিতে পারে কি না তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছিল । ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি । আর এই ল্যাবরেটরিকে ঘিরেই নতুন একটি তত্ত্ব উঠে আসছে । ল্যাব লিক থিওরি । অর্থাৎ, ল্যাবরেটরি থেকে কোনওভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান করছেন অনেকে । এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে । 1977 সাল । এইচ1এন1 অতিমারি । ল্যাবরেটরি থেকে এইচ1এন1 বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল । 7 লাখেও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন সেই সময় ।

আরও পড়ুন : ইউহানের ল্যাবরেটরিতেই তৈরি হয়েছে করোনা ভাইরাস, দাবি ব্রিটিশ অধ্যাপকের

কোন তত্ত্বটি ঠিক, আর কোনটি ভুল ? এই মুহূর্তে বলা মুশকিল । কারণ, হাতে কোনও প্রমাণ নেই এখনও পর্যন্ত । তাই শুধু চক্রান্তের তত্ত্বের কথা না বলে, প্রথমেই যেটা দরকার তা হল সার্স কোভ-2 -এর উৎস নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা ।

জ়ুনোটিক তত্ত্ব

সার্স-কোভ-2-এর উৎস কী তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে গতবছরের শুরুর দিক থেকেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে । সেই সময় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল । প্রথমটি 2020 সালের 19 ফেব্রুয়ারি দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয় । সেখানে অতিমারির উৎস খুঁজে বের করার জন্য চিনা বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন কাজের কথা তুলে ধরা হয়েছিল ।

Wuhan Lab Leak
সত্যি কী ঘটেছিল ইউহানে ? কোনওদিন প্রকাশ্যে আসবে ?

প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন 27 জন বিজ্ঞানী মিলে । সেখানে বলা হয়, ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে "গুজব এবং ভুল তথ্য" ছড়ানো হচ্ছে । কোভিড 19-এর কোনও প্রাকৃতিক উৎস নেই বলে ষড়যন্ত্রের যে তত্ত্বগুলি খাঁড়া করা হচ্ছিল, সেগুলির তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা । তবে প্রাকৃতিকভাবেই যে এই ভাইরাসটি তৈরি হয়েছে, তার সমর্থনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রতিবেদনটিতে ছিল না ।

আরও পড়ুন : করোনার উৎস নিয়ে 90 দিনের মধ্যে গোয়েন্দাদের রিপোর্ট তলব বাইডেনের

পরের মাসে অর্থাৎ 2020 সালের মার্চে আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ন্যাচারাল মেডিসিনে । সেখানে করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে বলে বেশ কিছু যুক্তি খাঁড়া করা হয় ।

  • প্রথম যুক্তি ছিল, সাধারণত এই ধরনের নতুন ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হয় । তাই করোনা ভাইরাসও প্রাকৃতিকভাবেই এসেছে ।
  • দ্বিতীয়ত, সার্স-কোভ-2 ভাইরাসের সিকোয়েন্সটির সঙ্গে আগের করোনা ভাইরাসগুলির চরিত্র অনেকটাই আলাদা । তাই আগের করোনা ভাইরাসগুলির সিকোয়েন্স থেকে নতুন এই ভাইরাস তৈরি করার সম্ভাবনা খুবই কম ।
  • তৃতীয় যুক্তি ছিল, নতুন ভাইরাসের সিকোয়েন্সটি দেখে কোনওভাবেই বলা যায় না, এটি ল্যাবরেটরিতে জেনেটিক হেরফের করে তৈরি করা হয়েছে ।

এখানে তৃতীয় যে যুক্তিটি দেওয়া হয়েছে, তা খুব একটা দাঁড়াচ্ছে না । কারণ, এমন অনেক পদ্ধতি রয়েছে, যাতে বিজ্ঞানীরা কোনওরকম প্রমাণ না রেখেই ভাইরাসের সিকোয়েন্সে অদল-বদল করতে পারেন । যেমন, কোনও জিনোমকে ভেঙে, পরে আবার একসঙ্গে যুক্ত করা । বা আইএসএ প্রটোকল , যেখানে ওভারল্যাপ করা টুকরোগুলি প্রাকৃতিকভাবে হোমোলোগাস পুনর্গঠনের মাধ্যমে আবার কোশ তৈরি করে । এই পদ্ধতিতেই দুটি ডিএনএ নিজেদের মধ্যে ভেঙে আদান-প্রদান করে ।

আরও পড়ুন : 2013 সালে বাদুড়ে ভরা খনি থেকে করোনার মতো ভাইরাস যায় ইউহানের পরীক্ষাগারে

এদিকে বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের জ়ুনোটিক তত্ত্বকে প্রমাণ করার জন্য গবেষণা চলছে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাফল্য আসেনি । 30 টি প্রজাতির মোট 80 হাজার প্রাণীর মধ্যে পরীক্ষা করেও ফল নেগেটিভ এসেছে । এর মধ্যে চিনের বিভিন্ন প্রান্তের গবাদি পশু থেকে শুরু করে বন্য প্রাণী, সবই রয়েছে । তবে মনে রাখতে হবে, এত প্রাণীর মধ্যে পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসার পরেও জু়নোটিক তত্ত্বকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।

ল্যাবরেটরি তত্ত্ব

এবার আসা যাক, ল্যাবরেটরি লিক তত্ত্বে । গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বটি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল । এক্ষেত্রে সবার আগে যে নামটি আসে তা হল 2020 সালে টুইটারে তৈরি হওয়া ড্রাসটিক (DRASTIC) গ্রুপের কথা । 24 জন বিজ্ঞানীকে নিয়ে তৈরি এই দলটির পুরো নাম ডিসেন্ট্রালাইজ়ড র্যাডিক্যাল অটোনমাস সার্চ টিম ইনভেস্টিগেটিং কোভিড 19 । দলের কয়েকজন নিজেদের আসল নাম ব্যবহার করলেও, বেশিরভাগ সদস্যই ছদ্মনামের । দলের মূল লক্ষ্য সার্স কোভ 2-এর সংক্রমণ কীভাবে শুরু হল, তা খুঁজে বের করা ।

2020 সালের জুলাই-অগাস্ট মাসে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বিভিন্ন জার্নালে । প্রতিটিতেই ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে দেখানো হয় । তুমুল চর্চা শুরু হয় বৈজ্ঞানিক মহলে । এরপর 13 মে বিষয়টি আরও বেশি করে শোরগোল ফেলে দেয়, যখন 18 জন বিজ্ঞানী মিলে একটি প্রতিবেদনে সার্স কোভ-2-এর সংক্রমণ কীভাবে হল, তা আবার যাচাই করে দেখার জন্য বলেন ।

আরও পড়ুন : ইউহানের ল্যাবের ছবি সামনে আনল চিনা মিডিয়া

প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি সত্যি ল্যাবরেটরি থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস ? বিশেষ করে এটা যখন প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে এমন কিছু একটা নিয়ে গবেষণা চলছিল, যেটার সঙ্গে সার্স কোভ-2-এর অনেক মিল রয়েছে ।

এক্ষেত্রে শুধু যে জেনেটিক হেরফের করা হতে পারে এমনটাই নয়, আরও অনেকগুলি সম্ভাবনা উঠে আসছে । হতে পারে ল্যাবরেটরিতে যখন কোনও প্রাণীর শরীর থেকে ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল, তখন কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে । অথবা সরাসরি জিনোমের হেরফের না করে কোনও কোশ কিংবা ইদুরের শরীরে তৈরি হওয়া ভাইরাস নিয়ে কাজ চলছিল । সম্ভাবনা অনেক রয়েছে । তবে কোনটা ঠিক তা বলা মুশকিল ।

সত্যি কী ঘটেছিল ইউহানে ? কোনওদিন প্রকাশ্যে আসবে ?

চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিনের যুগ্ম কমিশন তৈরি করা হয় । উদ্দেশ্য ছিল, অতিমারির কারণ খতিয়ে দেখা । কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সেই কমিশন । অনুমান হিসেবে বলা হয়েছিল, করোনা ভাইরাসের উৎস প্রাকৃতিকভাবে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । আর ল্যাবরেটরিতে থেকে ছড়িয়ে পড়ার যে সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে, সেই সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ ।

আরও পড়ুন : করোনার উৎস সন্ধান : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দলকে ঢুকতে দিল না চিন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনেরাল টেডরস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস অবশ্য বলছেন, এখনও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বাকি । বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে ।

সার্স কোভ-2 সত্যি ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা জানার উপায় একটাই । আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা । চিনা গবেষকরা যে সমস্ত সিকোয়েন্স ডেটাবেস ও সংস্থান ব্যবহার করেছিলেন, সেই সবকিছু খতিয়ে দেখা প্রয়োজন । ল্যাবরেটরি নোটবুক থেকে শুরু করে যেসব প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন নথি, ভাইরাল সিকোয়েন্স, অর্ডার লিস্ট... প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি বিষয়গুলির দিকে নজর দিতে হবে । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সার্স কোভ-2-এর সিকোয়েন্স ডেটাবেস 2019 সালের সেপ্টেম্বর থেকে চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছে না ।

সেক্ষেত্রে সার্স কোভ-2-এর সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে এমন করোনা ভাইরাসের স্ট্রেনগুলির সিকোয়েন্স খতিয়ে দেখা দরকার । হতে পারে এমন কিছু সূত্র তাঁদের হাতে এল, যা সর্বসম্মতিক্রমে বিজ্ঞানীরা মেনে নেবেন । 1977 সালের এইচ1এন1 অতিমারির সময়েও এমনই হয়েছিল ।

বায়োলজিক্যাল ব্ল্যাক বক্স

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ জ়ুনোটিক ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে হোক, বা না হোক... তারপরও কিছু প্রশ্ন আমাদের নিজেদের জন্য থেকে যাবে । বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে আমরা যেমন যথেচ্ছাচার করছি, যেভাবে শিল্পজাতকরণের জন্য পশু-পাখিদের প্রজনন করানো হচ্ছে, যেভাবে অতিমারির আকার নিতে পারে এমন ভাইরাস নিয়ে কাজ করার সময় সুরক্ষাবিধি অবহেলা করা হচ্ছে, যেভাবে বড় বড় শহরগুলির মধ্যে হাই-সিকিউরিটি ল্যাবরেটরি তৈরি হচ্ছে, তা সত্যিই চিন্তা বাড়াচ্ছে ।

আরও পড়ুন : 2019’র ডিসেম্বরের আগে ইউহানে মেলেনি করোনার অস্তিত্বের প্রমাণ

সবার আগে যেটা করা উচিত তা হল, ভাইরাস নিয়ে যেসব জায়গায় কাজ হবে, সেগুলিকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা । পারমানবিক শক্তি নিয়ে গবেষণার সময় যেমন সুরক্ষাবিধির ব্যবস্থা করা হয়, সেই একইরকম ব্যবস্থা এক্ষেত্রেও করতে হবে ।

প্রয়োজনে বায়োলজিক্যাল ব্ল্যাক বক্সের ব্যবস্থা করতে হবে । ঠিক যেমনটা থাকে বিমানের ক্ষেত্রে । কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে তদন্তকারীরা ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে । পরবর্তী সময়ে কোনও অতিমারির হাত থেকে বাঁচতে হলে, এই ধরনের বিষয়গুলির উপর নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন । তবে এই মুহূর্তে যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন তা হল, করোনা ভাইরাসের আসলে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ল, তা খুঁজে বের করা । একমাত্র তাহলেও বোঝা যাবে, কোন কোন জায়গায় খামতির কারণে সংক্রমণ অতিমারির আকার নিয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.