ETV Bharat / state

কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় অখুশি অমৃতা, সন্ত্রাসের প্রশ্নে বিঁধলেন মহুয়াকেও - LOK SABHA ELECTION 2024

Amrita Roy Slams Mahua Moitra: নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অখুশি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্র্রার্থী অমৃতা রায়। প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও তাদের দায়িত্ব পালন করেনি বলে তাঁর অভিযোগ। আক্রমণ করেন মহুয়াকেও।

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 13, 2024, 10:36 PM IST

Amrita Roy
নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অখুশি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্র্রার্থী অমৃতা রায় (নিজস্ব চিত্র)
নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অখুশি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্র্রার্থী অমৃতা রায় (নিজস্ব প্রতিনিধি)

কৃষ্ণনগর, 13 মে: নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় । প্রশাসন থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় তিনি যে খুশি নন, তা জানিয়ে দিলেন সোমবার সন্ধ্যায়। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করলেন অমৃতা। তাঁর কটাক্ষ, সন্ত্রাস করে এবং ভোটারদের ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে জিততে চাইছেন মহুয়া।

নির্বাচন শেষে নাকাশিপাড়া থানায় আসেন অমৃতা। স্থানীয় বিলকুমারি এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "বিলকুমারিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। ওটা সংখ্যালঘু প্রধান এলাকা। সেখানে কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছিল না। খবর পেয়ে আমি গিয়ে ভোটারদের নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলাম।" এরপর ভোটাররা তাঁকে জানান, ভোট হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের উপর অত্যাচার করা হতে পারে । আর তাই জন্যই তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছেন ।

অমৃতার অভিযোগ বিলকুমারিতে গিয়ে ভোটারদের অভিযোগ শুনে নিকাশি পাড়া থানার আইসিকে তিনি ফোন করেছিলেন। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। শুধু তাই নয়, রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় তিনি যে একেবারেই খুশি নন, সে কথাও জানান কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী। এমনকী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেও বিলকুমারির ভোটারদেরে নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে অমৃতার।

মহুয়া দাবি করেছেন, এই নির্বাচনে 1 লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি প্রার্থী বলেন, "মহুয়া কীভাবে এ কথা বলছেন, তা এখানে এসেই বুঝলাম। অন্য লোকের ভোট কেটে, ভয় দেখিয়ে লিড পেতে চাইছেন । শুধু বিলকুমারি নয়, চোপড়াতেও অনেকের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। "

একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন অমৃতা। তাঁর কথায়, "কেন্দ্রীয় বাহিনীর এখন পুলিশের অধীনে । আর পুলিশ রাজ্য সরকারের অধীনে । এখান থেকেই সবাই বুঝতে পারবেন আমি কী বলতে চাইছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে কোনও লাভই হয়নি। মুক্ত ও অবাধ ভোট হয়নি। "

আরও পড়ুন:

  1. শেষ দেখে ছাড়ব', গাড়ি ভাঙচুর থেকে মাথা ফাটা; বিক্ষোভের মুখে হুঙ্কার দিলীপের
  2. বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে ভোট অনুব্রত-হীন বীরভূমে

নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অখুশি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্র্রার্থী অমৃতা রায় (নিজস্ব প্রতিনিধি)

কৃষ্ণনগর, 13 মে: নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় । প্রশাসন থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় তিনি যে খুশি নন, তা জানিয়ে দিলেন সোমবার সন্ধ্যায়। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করলেন অমৃতা। তাঁর কটাক্ষ, সন্ত্রাস করে এবং ভোটারদের ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে জিততে চাইছেন মহুয়া।

নির্বাচন শেষে নাকাশিপাড়া থানায় আসেন অমৃতা। স্থানীয় বিলকুমারি এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "বিলকুমারিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। ওটা সংখ্যালঘু প্রধান এলাকা। সেখানে কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছিল না। খবর পেয়ে আমি গিয়ে ভোটারদের নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলাম।" এরপর ভোটাররা তাঁকে জানান, ভোট হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের উপর অত্যাচার করা হতে পারে । আর তাই জন্যই তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছেন ।

অমৃতার অভিযোগ বিলকুমারিতে গিয়ে ভোটারদের অভিযোগ শুনে নিকাশি পাড়া থানার আইসিকে তিনি ফোন করেছিলেন। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। শুধু তাই নয়, রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় তিনি যে একেবারেই খুশি নন, সে কথাও জানান কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী। এমনকী থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেও বিলকুমারির ভোটারদেরে নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে অমৃতার।

মহুয়া দাবি করেছেন, এই নির্বাচনে 1 লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি প্রার্থী বলেন, "মহুয়া কীভাবে এ কথা বলছেন, তা এখানে এসেই বুঝলাম। অন্য লোকের ভোট কেটে, ভয় দেখিয়ে লিড পেতে চাইছেন । শুধু বিলকুমারি নয়, চোপড়াতেও অনেকের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। "

একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন অমৃতা। তাঁর কথায়, "কেন্দ্রীয় বাহিনীর এখন পুলিশের অধীনে । আর পুলিশ রাজ্য সরকারের অধীনে । এখান থেকেই সবাই বুঝতে পারবেন আমি কী বলতে চাইছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে কোনও লাভই হয়নি। মুক্ত ও অবাধ ভোট হয়নি। "

আরও পড়ুন:

  1. শেষ দেখে ছাড়ব', গাড়ি ভাঙচুর থেকে মাথা ফাটা; বিক্ষোভের মুখে হুঙ্কার দিলীপের
  2. বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে ভোট অনুব্রত-হীন বীরভূমে
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.