কলকাতা, 23 মে: মৃত্যুর পর পরিজনকে শেষ বিদায়ের সময় কেউ সাজিয়ে দেন তাঁর পছন্দের পোশাকে ৷ কেউ বা বালিশ, লেপ বা তোষকের উপর শুইয়ে রাখেন মৃতদেহকে ৷ এই অবস্থাতেই বৈদ্যুতিক চুল্লিতে ঢোকানো হচ্ছে মৃতদেহ ৷ তার জেরেই বিগড়ে যাচ্ছে চুল্লির অভ্যন্তর ৷ কখনও কখনও দূষণ নিয়ন্ত্রক ডিভাইস পর্যন্ত কাজ করছে না ৷ এর জেরে মানুষের জন্য বিষাক্ত কালো উৎপন্ন হচ্ছে ৷ অর্থাৎ শ্মশানের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের জন্য তা ক্ষতিকর হয়ে উঠছে ৷
এতে লাগাম দিতে বালিশ, তোষক, লেপ বা কম্বলের মতো জিনিস চুল্লির ভিতরে না ঢোকানোর নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পৌরনিগম ৷ এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করা হল ৷ বিভিন্ন শ্মশানে সেই সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কলকাতা পৌরনিগমের পৌর কমিশনার ধবল জৈন এই নির্দেশিকা জারি করেছেন ৷ প্রতিটি শ্মশানের সাব রেজিস্ট্রারদের এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে ৷ এমন ধরনের জিনিসপত্র যেন চুল্লির মধ্যে না ঢোকে, তাতে নিয়মিত নজর হবে সাব রেজিস্ট্রাররা ৷
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, শবদেহ দাহ করার সময় যে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বা বিকট গন্ধ বের হয়, তা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর ৷ তবে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যাধুনিক এয়ার পলিউশন কন্ট্রোল যন্ত্র লাগানো হয়েছে কলকাতার প্রতিটি শ্মশানে ৷ কোনও ভাবেই যাতে সেই ধোঁয়া বা গন্ধ আশপাশের লোকালয়ে ছড়িয়ে না যায় ৷ কিন্তু সম্প্রতি কলকাতার দু'টি শ্মশানে সেই কাণ্ড ঘটেছে ৷ সেই অভিযোগ জমা পড়েছে পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগে ।
অভিযোগের কারণ খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায়, মৃতদেহে জামাকাপড় পরানো অবস্থায় চুল্লিতে ঢোকানো হচ্ছে ৷ আবার কোথাও মৃতদেহের সঙ্গে বালিশ-বিছানাও ভিতরে যাচ্ছে ৷ তাই ফের কড়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পৌরনিগম ৷ এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্মশান কর্মীদের এই ধরনের জিনিস বাইরে রেখে শুধুমাত্র পাতলা কাপড় জড়িয়ে চুল্লিতে ঢোকানো উচিত ৷ অনেক সময় পরিজনদের চাপে এবং অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় এই কাজ করেন শ্মশানকর্মীরা । এর জেরে বহু মূল্যের চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ডিভাইসও কাজ করছে না ৷ যা আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ক্ষতিকর ৷
আরও পড়ুন: