ETV Bharat / state

লক্ষ লক্ষ বেকারের চাকরির জন্য ইকোনমিক ফ্রেইট করিডর রাজ্যে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

CM Mamata Banerjee: ডানকুনি-কল্যাণী-সহ সারা রাজ্যে বেশ কয়েকটি ইকোনমিক ফ্রেইট করিডর হচ্ছে ৷ এর ফলে লক্ষ লক্ষ বেকারের চাকরি হবে ৷ লোকসভা ভোটের মুখে মালদার প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 1, 2024, 12:54 PM IST

CM Mamata Banerjee
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মালদা, 1 ফেব্রুয়ারি: লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে বেকারত্ব দূরীকরণের কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ৷ বুধবার মালদা শহরের সরকারি মঞ্চ থেকে তিনি জানান, বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য তাঁরা রাজ্যে বেশ কয়েকটি ইকোনমিক ফ্রেইট করিডর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ এই করিডরগুলি তৈরি হয়ে গেলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে ৷ উপকৃত হবেন বেকার যুবক-যুবতীরা ৷ এ দিন মালদা জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যও তিনি বেশ কিছু সরকারি সুবিধের কথা তুলে ধরেন ৷ লোকসভা ভোটের মুখে তাঁর মুখে ফের উঠে এসেছে এনআরসি ইস্যুও ৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা গোটা রাজ্যে কয়েকটি ইকোনমিক করিডর করছি ৷ কারণ, ইকোনমিক করিডর করলে চারদিকে চাকরির সুবিধে হবে ৷ ডানকুনি-কল্যাণী ইকোনমিক ফ্রেইট করিডর হচ্ছে ৷ ডানকুনি থেকে এই করিডর বর্ধমান, বাঁকুড়া হয়ে চলে যাবে পুরুলিয়া পর্যন্ত ৷ আরেকটি ফ্রেইট করিডর ডানকুনি-পানাগড় হচ্ছে ৷ ডানকুনি-হলদিয়া করিডরও হচ্ছে ৷ এছাড়া মঙ্গলবার আমি আরও দুটি ইকোনমিক ফ্রেইট করিডর উত্তরবঙ্গের জন্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আমার যতদূর মনে আছে, এই করিডর দু'টি পানাগড়, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি হয়ে কোচবিহার পর্যন্ত করা হবে ৷ এই করিডরগুলির দু'পাশে প্রচুর কারখানা তৈরি হবে ৷ বাংলার লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে ৷ কারও বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না ৷"

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বক্তব্য, "মালদার অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে কাজ করতে যান ৷ আমি তাঁদের আগে প্রশ্ন করেছিলাম, তাঁরা কেন বাইরে কাজে যাচ্ছেন ৷ তাঁরা উত্তর দিয়েছিলেন, বাইরে বেশি মজুরি মেলে ৷ কিন্তু টাকা বেশি পেলেও বাইরে তাঁদের খাবার খরচা, বাড়িভাড়া দিতে হয় ৷ নিজের জায়গায় থাকলে বাড়িতেই খাবার জুটে যায় ৷ বাড়িভাড়ার খরচও হয় না ৷ পরিবার পরিজনের সঙ্গে থাকা যায় ৷ আমি তাঁদের বলছি, আপনারা ফিরে আসুন ৷ বাংলায় কাজের অভাব নেই ৷"

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ব্যবসা করতে চাইলেও পাঁচ লক্ষ টাকা পাবেন ৷ রাজ্যে সবরকম সুযোগ পাবেন ৷ আমি 28 লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রেজিস্ট্রি করিয়েছি ৷ এতে তাঁদের পরিবারের লোকজন সবসময় বাড়ির লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ৷ বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে সেই পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে চাইলে আমরা ফিরিয়ে আনব ৷ কিন্তু সবার নাম ভোটার লিস্টে তুলবেন ৷ নইলে বিজেপি সরকার এনআরসি করে সবাইকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছু না-বলায় হতাশ মালদাবাসী
  2. 11 লক্ষ বঞ্চিতের তালিকা দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ, ধরনায় জড়ো হওয়ার আহ্বান মমতার
  3. বিজেপিকে ‘টাইট’ দিতে ‘পলিটিক্যাল ফাইট’ করতে পারে একমাত্র তৃণমূল, মমতার নিশানায় সিপিএম-কংগ্রেস

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মালদা, 1 ফেব্রুয়ারি: লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে বেকারত্ব দূরীকরণের কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ৷ বুধবার মালদা শহরের সরকারি মঞ্চ থেকে তিনি জানান, বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য তাঁরা রাজ্যে বেশ কয়েকটি ইকোনমিক ফ্রেইট করিডর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ এই করিডরগুলি তৈরি হয়ে গেলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে ৷ উপকৃত হবেন বেকার যুবক-যুবতীরা ৷ এ দিন মালদা জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যও তিনি বেশ কিছু সরকারি সুবিধের কথা তুলে ধরেন ৷ লোকসভা ভোটের মুখে তাঁর মুখে ফের উঠে এসেছে এনআরসি ইস্যুও ৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা গোটা রাজ্যে কয়েকটি ইকোনমিক করিডর করছি ৷ কারণ, ইকোনমিক করিডর করলে চারদিকে চাকরির সুবিধে হবে ৷ ডানকুনি-কল্যাণী ইকোনমিক ফ্রেইট করিডর হচ্ছে ৷ ডানকুনি থেকে এই করিডর বর্ধমান, বাঁকুড়া হয়ে চলে যাবে পুরুলিয়া পর্যন্ত ৷ আরেকটি ফ্রেইট করিডর ডানকুনি-পানাগড় হচ্ছে ৷ ডানকুনি-হলদিয়া করিডরও হচ্ছে ৷ এছাড়া মঙ্গলবার আমি আরও দুটি ইকোনমিক ফ্রেইট করিডর উত্তরবঙ্গের জন্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আমার যতদূর মনে আছে, এই করিডর দু'টি পানাগড়, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি হয়ে কোচবিহার পর্যন্ত করা হবে ৷ এই করিডরগুলির দু'পাশে প্রচুর কারখানা তৈরি হবে ৷ বাংলার লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে ৷ কারও বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না ৷"

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বক্তব্য, "মালদার অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে কাজ করতে যান ৷ আমি তাঁদের আগে প্রশ্ন করেছিলাম, তাঁরা কেন বাইরে কাজে যাচ্ছেন ৷ তাঁরা উত্তর দিয়েছিলেন, বাইরে বেশি মজুরি মেলে ৷ কিন্তু টাকা বেশি পেলেও বাইরে তাঁদের খাবার খরচা, বাড়িভাড়া দিতে হয় ৷ নিজের জায়গায় থাকলে বাড়িতেই খাবার জুটে যায় ৷ বাড়িভাড়ার খরচও হয় না ৷ পরিবার পরিজনের সঙ্গে থাকা যায় ৷ আমি তাঁদের বলছি, আপনারা ফিরে আসুন ৷ বাংলায় কাজের অভাব নেই ৷"

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ব্যবসা করতে চাইলেও পাঁচ লক্ষ টাকা পাবেন ৷ রাজ্যে সবরকম সুযোগ পাবেন ৷ আমি 28 লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রেজিস্ট্রি করিয়েছি ৷ এতে তাঁদের পরিবারের লোকজন সবসময় বাড়ির লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ৷ বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে সেই পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে চাইলে আমরা ফিরিয়ে আনব ৷ কিন্তু সবার নাম ভোটার লিস্টে তুলবেন ৷ নইলে বিজেপি সরকার এনআরসি করে সবাইকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছু না-বলায় হতাশ মালদাবাসী
  2. 11 লক্ষ বঞ্চিতের তালিকা দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ, ধরনায় জড়ো হওয়ার আহ্বান মমতার
  3. বিজেপিকে ‘টাইট’ দিতে ‘পলিটিক্যাল ফাইট’ করতে পারে একমাত্র তৃণমূল, মমতার নিশানায় সিপিএম-কংগ্রেস
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.