কলকাতা, 29 এপ্রিল: এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও নোটিশ জারি করে তাঁদের তলব করতে পারবে না পুলিশ। ভূপতিনগরে এনআইএ আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় এমনই নির্দেশ দিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ ৷ সোমবার এনআইয়ের হলফনামা জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে । রাজ্য সেই হলফনামার পালটা বক্তব্য জানাতে সময় চায় । আদালত 2 মে মামলার পরবর্তী শুনানি করবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি, বিচারপতি জানিয়েছেন, তদন্ত যেমন চলছে তেমনই চলবে ।
ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে গিয়েছিল এআইএ ৷ সেখানে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। তাঁদের উপর হমলার ঘটনার তদন্ত কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে দেওয়ার আবেদন করে আদালতে মামলা করে এনআইএ। 2022 সালের 2 ডিসেম্বর ভুপতিনগরে একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৷ সেই ঘটনায় একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এনআইএ আধিকারিকরা তদন্ত করতে যান ৷ ভূপতিনগরে ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ পৌঁছন এনআইএ আধিকারিকরা । পুলিশকে আগে থেকে জানান হলেও তারা ফোর্স পাঠায়নি বলে অভিযোগ ।
তদন্তে গিয়ে মনোব্রত জানা নামে এক অভিযুক্তকে সকাল 6টা 15 নাগাদ গ্রেফতার করে এনআইএ । তারপর শতাধিক মহিলারা এসে চড়াও হন এনআইএ আধিকারিকদের উপর । পরে মনোব্রত জানার স্ত্রী মণি জানা উলটে এনআইএ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইয়ার করেন বলে অভিযোগ । সেখানে শ্লীলতাহানি ও ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয় । মনোব্রত জানাকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় । যদিও তার কোনও প্রমাণ নেই । হামলার ঘটনায় এক এনআইএ আধিকারিক আক্রান্ত হন। পাশাপাশি সংস্থার গাড়িও ভাঙচুর করা হয় ।
এই ঘটনায় রাজ্যের বক্তব্য ছিল, খুব ভোরে কলকাতার বিভিন্ন থানাতেও বাহিনী সবসময় তেরি থাকে না । আর ওটা মেদিনীপুরের মতো একটা জায়গা । তবে পুলিশ প্রয়োজনীয় সবরকম সহযোগিতা করেছে । যদিও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মনোব্রত জানার স্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন সেখানে পুলিশ কীভাবে 325 ধারা যুক্ত করলো? 325 ধারা সাধারণত গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে যুক্ত করা হয় । কিন্তু মনোব্রত জানার হাতে একটু আঁচড়ে লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে । তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না । রাজ্য আদালতে তার সদুত্তর দিতে পারেনি । এনাআইএ ও রাজ্য উভয়পক্ষের কাছেই রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত ।
আরও পড়ুন: