ETV Bharat / state

দেবী বন্দনায় ঢাক কাঁধে মোহিনীরা

author img

By

Published : Sep 25, 2019, 10:58 PM IST

Updated : Sep 26, 2019, 8:42 AM IST

MOHINI

নিজে হাতে মহিলাদের এই ঢাকি দল তৈরি করেছেন শিবপদ ৷ দলের নাম 'মোহিনী কাহারবা ঢাকি সমিতি' । কেবল শহরে নয় ঢাক কাঁধে তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন সারা দেশেই ৷

মছলন্দপুর , 25 সেপ্টেম্বর : উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরে তৈরি হয়েছে স্বতন্ত্র এক মহিলা ঢাকি দল ৷ কেবল শহরে নয় ঢাক কাঁধে তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন সারা দেশেই ৷ দিল্লি, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরু, অসম, মুম্বই-সহ দেশের নানা জায়গায় মানসী দত্ত, বাসন্তী গাইন, রুমা বিশ্বাস, সুলতা মালী ও বিশাখা দাসরা ঢাক বাজাতে যান ৷

মহিলাদের এই ঢাকি দল তৈরি করেছেন শিবপদ ৷ দলের নাম 'মোহিনী কাহারবা ঢাকি সমিতি' । বংশ পরম্পরায় শিবপদের ঢাক বাজানোয় সুনাম রয়েছে৷ পাঁচ বছর আগে তিনি খড়গপুর IIT-র এক অনুষ্ঠানে ঢাক বাজাতে গিয়েছিলেন । সেখানে এক তরুণী তাঁর কাছ থেকে ঢাকের কাঠি চেয়ে নিয়ে ঢাক বাজাতে শুরু করেন । শিবপদ দাস নতুন কিছু করার কথা ভাবেন ৷ তাঁর পাড়ার এক, দু'জন মহিলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ ঢাক বাজানোর তালিম দেওয়া শুরু করেন । গত পাঁচ বছরে তিনি 40 জন মহিলাকে ঢাক বাজানো শিখিয়েছেন । শিবপদ বলেন, "প্রথমে ভালো লাগা থেকে মহিলাদের নিয়ে ঢাকির দল গড়েছিলাম । আজ সেই ভালো লাগা আমাদের সবার পেশায় পরিণত হয়েছে । গ্রামের মেয়ে-বউরা ঢাক বাজিয়েই জীবিকা উপার্জন করছেন । এটি নারীশক্তির এক জয় ।"

মহিলা ঢাকি দলের অন্যতম মুখ বাসন্তী গাইন বলেন, " স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর আকুলপাথারে পড়ে গিয়েছিলাম । মায়ের পুজোয় আমরা ঢাক বাজাতে পারব না কেন? আমরা ঢাকের তালিম নিলাম । সেই ঢাকের কাঠিই আজ আমাদের রুটিরুজি । মেয়েরা চাইলে সব করতে পারে । " মোহিনী-তে আছে এক স্কুলছাত্রীও । নাম পূজা মালী । মছলন্দপুর ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের এইবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সে । মেয়েরা ঢাক বাজায় শুনে আগ্রহ হয়েছিল তার ।

শুনে নিন মোহিনীদের...
Intro:শিরোনাম---উমার বন্দনায় ঢাকের কাঠি অন্য উমাদের হাতে
অথবা
ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে মছলন্দপুরের মহিলা ঢাকির দল

মছলন্দপুরঃ যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। বাংলা প্রবাদকে সত্যি করলেন মছলন্দপুরের একদল মহিলা। স্বতন্ত্র ঢাকির দল গড়ে নেমে পড়েছেন দশভুজার বন্দনায়। শুধু শহর কলকাতা নয়। উমার বন্দনায় কাঁধে ঢাক নিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবেন অন্য উমার দল।

উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুর। শহরে ছোঁয়া এখনও লাগেনি। শিয়ালদা-বনগাঁর শাখার ৫৪ কিমি দূরের রেল স্টেশন লাগোয়া গঞ্জ আজ নতুন পরিচয় খুঁজে পেয়েছে। মছলন্দপুরের ঢাকিপাড়ার স্বনামধন্য ঢাকি শিবপদ দাসের হাত ধরে এবার পুজোয় নতুন সুর বেঁধেছে মহিলা ঢাকির দল। কেমন সে যাত্রাপথ?

বংশপরম্পরায় ঢাকি হিসেবে সুনাম আছে শিবপদর। বছর পাঁচেক আগে তিনি খড়গপুর আইআইটির এক অনুষ্ঠানে ঢাক বাজাতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক তরুণী তাঁর কাছ থেকে ঢাকের কাঠি চেয়ে নিয়ে ঢাক বাজাতে শুরু করলেন। সেদিন থেকে শিবপদর মাথায় নতুন ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকে। তারপর পাড়ার একজন দু'জন মহিলার সঙ্গে কথা বলে ঢাক বাজানোর তালিম দেওয়া শুরু করলেন। গত পাঁচ বছরে তিনি ৪০ জন মহিলাকে ঢাক বাজানো শিখিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন মোহিনী কাহারবা ঢাকি সমিতি। আজ তাঁরাই শিবপদর তুরুপের তাস। তাঁদের ঢাকের বোলেই মেতে উঠবে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। চলতি বছর কলকাতার কয়েকটি মণ্ডবে ঢাক বাজাবেন। শুধু কলকাতা নয়, দিল্লি, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরু, আসাম, মুম্বই-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানসী দত্ত, বাসন্তী গাইন, রুমা বিশ্বাস, সুলতা মালী ও বিশাখা দাসরা ঢাক বাজাতে যাবেন।

মোহিনী কাহারবা ঢাকি সমিতির কর্ণধার শিবপদ বলেন, 'প্রথমে নেশার টানেই মহিলাদের নিয়ে ঢাকির দল গড়েছিলাম। আজ সেই নেশা আমাদের সবার পেশায় পরিণত হয়েছে। গ্রামের মেয়ে-বউরা সংসারের জোয়াল বইছেন ঢাক বাজিয়েই। নারিশক্তির এ এক জয় বইকী।'

মহিলা ঢাকি দলের অন্যতম মুখ বাসন্তী গাইন বলেন, 'স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর আকুলপাথারে পড়ে গিয়েছিলাম। মায়ের পুজোয় আমরা ঢাক বাজাতে পারব না কেন? আমরা ঢাকের তালিম নিলাম। সেই ঢাকের কাঠিই আজ আমাদের রুটিরুজি। মেয়েরাও চাইলে সব করতে পারে।' মোহিনী ঢাকি দলে রয়েছে স্কুলছাত্রীও। নাম পূজা মালী। মছলন্দপুর ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভাবের সে জানাল, মেয়েরা ঢাক বাজায় শুনে তারও আগ্রহ হয়। অবশেষে শিবপদর কাছে তালিম নিয়ে সে মহিলা ঢাকির দলে নাম লিখিয়েছে। দশভুজার বন্দনায় ঢাক বাজিয়ে ঘরে দুটো পয়সা আনতে চায়। চায় আরও পথ পেরোতে। মানসী, পূজা, রুমা, বাসন্তীরা তৈরি হচ্ছেন কাঁধে ঢাক নিয়ে বিভুঁইয়ে পাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে।

দেবীর আবাহনের সুর বেজে উঠেছে। চরাচর কাশফুলের দোলায় মাতোয়ারা। মর্ত্যে আসছেন দশভুজা। দেবীর বন্দনায় মছলন্দপুরের মোহিনী যেন নারিশক্তির নয়া বিজয়কেতন। আজ তাঁদের হাতে কাঠি। কাঁধে ঢাক। কাঁধে সংসারের জোয়ালটাও।Body:শিরোনাম---উমার বন্দনায় ঢাকের কাঠি অন্য উমাদের হাতে
অথবা
ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে মছলন্দপুরের মহিলা ঢাকির দল

মছলন্দপুরঃ যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। বাংলা প্রবাদকে সত্যি করলেন মছলন্দপুরের একদল মহিলা। স্বতন্ত্র ঢাকির দল গড়ে নেমে পড়েছেন দশভুজার বন্দনায়। শুধু শহর কলকাতা নয়। উমার বন্দনায় কাঁধে ঢাক নিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবেন অন্য উমার দল।

উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুর। শহরে ছোঁয়া এখনও লাগেনি। শিয়ালদা-বনগাঁর শাখার ৫৪ কিমি দূরের রেল স্টেশন লাগোয়া গঞ্জ আজ নতুন পরিচয় খুঁজে পেয়েছে। মছলন্দপুরের ঢাকিপাড়ার স্বনামধন্য ঢাকি শিবপদ দাসের হাত ধরে এবার পুজোয় নতুন সুর বেঁধেছে মহিলা ঢাকির দল। কেমন সে যাত্রাপথ?

বংশপরম্পরায় ঢাকি হিসেবে সুনাম আছে শিবপদর। বছর পাঁচেক আগে তিনি খড়গপুর আইআইটির এক অনুষ্ঠানে ঢাক বাজাতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক তরুণী তাঁর কাছ থেকে ঢাকের কাঠি চেয়ে নিয়ে ঢাক বাজাতে শুরু করলেন। সেদিন থেকে শিবপদর মাথায় নতুন ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকে। তারপর পাড়ার একজন দু'জন মহিলার সঙ্গে কথা বলে ঢাক বাজানোর তালিম দেওয়া শুরু করলেন। গত পাঁচ বছরে তিনি ৪০ জন মহিলাকে ঢাক বাজানো শিখিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন মোহিনী কাহারবা ঢাকি সমিতি। আজ তাঁরাই শিবপদর তুরুপের তাস। তাঁদের ঢাকের বোলেই মেতে উঠবে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। চলতি বছর কলকাতার কয়েকটি মণ্ডবে ঢাক বাজাবেন। শুধু কলকাতা নয়, দিল্লি, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরু, আসাম, মুম্বই-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানসী দত্ত, বাসন্তী গাইন, রুমা বিশ্বাস, সুলতা মালী ও বিশাখা দাসরা ঢাক বাজাতে যাবেন।

মোহিনী কাহারবা ঢাকি সমিতির কর্ণধার শিবপদ বলেন, 'প্রথমে নেশার টানেই মহিলাদের নিয়ে ঢাকির দল গড়েছিলাম। আজ সেই নেশা আমাদের সবার পেশায় পরিণত হয়েছে। গ্রামের মেয়ে-বউরা সংসারের জোয়াল বইছেন ঢাক বাজিয়েই। নারিশক্তির এ এক জয় বইকী।'

মহিলা ঢাকি দলের অন্যতম মুখ বাসন্তী গাইন বলেন, 'স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর আকুলপাথারে পড়ে গিয়েছিলাম। মায়ের পুজোয় আমরা ঢাক বাজাতে পারব না কেন? আমরা ঢাকের তালিম নিলাম। সেই ঢাকের কাঠিই আজ আমাদের রুটিরুজি। মেয়েরাও চাইলে সব করতে পারে।' মোহিনী ঢাকি দলে রয়েছে স্কুলছাত্রীও। নাম পূজা মালী। মছলন্দপুর ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভাবের সে জানাল, মেয়েরা ঢাক বাজায় শুনে তারও আগ্রহ হয়। অবশেষে শিবপদর কাছে তালিম নিয়ে সে মহিলা ঢাকির দলে নাম লিখিয়েছে। দশভুজার বন্দনায় ঢাক বাজিয়ে ঘরে দুটো পয়সা আনতে চায়। চায় আরও পথ পেরোতে। মানসী, পূজা, রুমা, বাসন্তীরা তৈরি হচ্ছেন কাঁধে ঢাক নিয়ে বিভুঁইয়ে পাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে।

দেবীর আবাহনের সুর বেজে উঠেছে। চরাচর কাশফুলের দোলায় মাতোয়ারা। মর্ত্যে আসছেন দশভুজা। দেবীর বন্দনায় মছলন্দপুরের মোহিনী যেন নারিশক্তির নয়া বিজয়কেতন। আজ তাঁদের হাতে কাঠি। কাঁধে ঢাক। কাঁধে সংসারের জোয়ালটাও।Conclusion:শিরোনাম---উমার বন্দনায় ঢাকের কাঠি অন্য উমাদের হাতে
অথবা
ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে মছলন্দপুরের মহিলা ঢাকির দল

মছলন্দপুরঃ যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। বাংলা প্রবাদকে সত্যি করলেন মছলন্দপুরের একদল মহিলা। স্বতন্ত্র ঢাকির দল গড়ে নেমে পড়েছেন দশভুজার বন্দনায়। শুধু শহর কলকাতা নয়। উমার বন্দনায় কাঁধে ঢাক নিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবেন অন্য উমার দল।

উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুর। শহরে ছোঁয়া এখনও লাগেনি। শিয়ালদা-বনগাঁর শাখার ৫৪ কিমি দূরের রেল স্টেশন লাগোয়া গঞ্জ আজ নতুন পরিচয় খুঁজে পেয়েছে। মছলন্দপুরের ঢাকিপাড়ার স্বনামধন্য ঢাকি শিবপদ দাসের হাত ধরে এবার পুজোয় নতুন সুর বেঁধেছে মহিলা ঢাকির দল। কেমন সে যাত্রাপথ?

বংশপরম্পরায় ঢাকি হিসেবে সুনাম আছে শিবপদর। বছর পাঁচেক আগে তিনি খড়গপুর আইআইটির এক অনুষ্ঠানে ঢাক বাজাতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক তরুণী তাঁর কাছ থেকে ঢাকের কাঠি চেয়ে নিয়ে ঢাক বাজাতে শুরু করলেন। সেদিন থেকে শিবপদর মাথায় নতুন ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকে। তারপর পাড়ার একজন দু'জন মহিলার সঙ্গে কথা বলে ঢাক বাজানোর তালিম দেওয়া শুরু করলেন। গত পাঁচ বছরে তিনি ৪০ জন মহিলাকে ঢাক বাজানো শিখিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন মোহিনী কাহারবা ঢাকি সমিতি। আজ তাঁরাই শিবপদর তুরুপের তাস। তাঁদের ঢাকের বোলেই মেতে উঠবে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। চলতি বছর কলকাতার কয়েকটি মণ্ডবে ঢাক বাজাবেন। শুধু কলকাতা নয়, দিল্লি, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরু, আসাম, মুম্বই-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানসী দত্ত, বাসন্তী গাইন, রুমা বিশ্বাস, সুলতা মালী ও বিশাখা দাসরা ঢাক বাজাতে যাবেন।

মোহিনী কাহারবা ঢাকি সমিতির কর্ণধার শিবপদ বলেন, 'প্রথমে নেশার টানেই মহিলাদের নিয়ে ঢাকির দল গড়েছিলাম। আজ সেই নেশা আমাদের সবার পেশায় পরিণত হয়েছে। গ্রামের মেয়ে-বউরা সংসারের জোয়াল বইছেন ঢাক বাজিয়েই। নারিশক্তির এ এক জয় বইকী।'

মহিলা ঢাকি দলের অন্যতম মুখ বাসন্তী গাইন বলেন, 'স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর আকুলপাথারে পড়ে গিয়েছিলাম। মায়ের পুজোয় আমরা ঢাক বাজাতে পারব না কেন? আমরা ঢাকের তালিম নিলাম। সেই ঢাকের কাঠিই আজ আমাদের রুটিরুজি। মেয়েরাও চাইলে সব করতে পারে।' মোহিনী ঢাকি দলে রয়েছে স্কুলছাত্রীও। নাম পূজা মালী। মছলন্দপুর ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভাবের সে জানাল, মেয়েরা ঢাক বাজায় শুনে তারও আগ্রহ হয়। অবশেষে শিবপদর কাছে তালিম নিয়ে সে মহিলা ঢাকির দলে নাম লিখিয়েছে। দশভুজার বন্দনায় ঢাক বাজিয়ে ঘরে দুটো পয়সা আনতে চায়। চায় আরও পথ পেরোতে। মানসী, পূজা, রুমা, বাসন্তীরা তৈরি হচ্ছেন কাঁধে ঢাক নিয়ে বিভুঁইয়ে পাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে।

দেবীর আবাহনের সুর বেজে উঠেছে। চরাচর কাশফুলের দোলায় মাতোয়ারা। মর্ত্যে আসছেন দশভুজা। দেবীর বন্দনায় মছলন্দপুরের মোহিনী যেন নারিশক্তির নয়া বিজয়কেতন। আজ তাঁদের হাতে কাঠি। কাঁধে ঢাক। কাঁধে সংসারের জোয়ালটাও।
Last Updated :Sep 26, 2019, 8:42 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.