মালদা, 17 মার্চ : এবার চাঁচলেও বিজেপির অন্দরে কোন্দলের গল্প? হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে একাধিক নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়াল চাঁচলের পদ্মশিবিরে (BJP Leaders Removed From WhatsApp)। এনিয়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভও জানিয়েছেন গ্রুপ থেকে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতারা। যদিও কার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার কারণ জানা নেই। জানা নেই খোদ দলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতিরও।
বর্তমান রাজনীতিতে সামাজিক মাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলের বিভিন্ন নির্দেশ, তথ্য এমনকি কৌশল আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে এখন এটাই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। বিজেপির চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় তেমনই একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। সেই গ্রুপে অনেক নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ওই গ্রুপ থেকে একের পর এক নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সবাইকে সরিয়ে দিয়েছেন দলের সোশ্য়াল মিডিয়া কনভেনর মৃগাঙ্ক দাস। তাঁর দাবি, সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মেনেই তিনি এই কাজ করেছেন।
চাঁচল 12 নম্বর জেলা পরিষদ মণ্ডল সম্পাদক সন্দীপ পান্ডে বলেন, "বুধবার রাতেই হঠাৎ ঘটনাটি আমার নজরে আসে। দলের এক পদাধিকারী মৃগাঙ্ক দাস এই গ্রুপ থেকে সবাইকে রিমুভ করেছেন। এমনকি দলের জেলা সহ-সভাপতি দীপঙ্কর রামকেও রিমুভ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মৃগাঙ্ক দাস জানিয়েছেন, জেলার নির্দেশে তিনি এই কাজ করেছেন। আমরা বিষয়টি দলের উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে জানাই। তিনি জানান, এমন কোনও নির্দেশিকা কাউকে দেওয়া হয়নি। তাহলে কি আমাদের কণ্ঠরোধ করার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে?’’
এক্ষেত্রে মৃগাঙ্কবাবুর পাশেই রয়েছেন বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রতন দাস। তিনি বলেন, "জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই আমাদের গ্রুপ ছিল। দেখা যাচ্ছে, যারা চাঁচলের গ্রুপে ছিল, তাঁদের বেশিরভাগই অন্য দলে চলে গিয়েছে। তাই আমাদের সংগঠন নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকেও তুলে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সেই গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে দলের সব কর্মীকে নিয়ে আসা হবে।"
বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, "এমন কোনও বিষয় আমার জানা নেই। দলের সমস্ত গ্রুপই সক্রিয় রয়েছে। চাঁচলে কেন এমনটা হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।"