ETV Bharat / state

মেডিকেল কলেজে ভরতির নামে প্রতারণা, বিহার থেকে গ্রেপ্তার 3

author img

By

Published : Sep 27, 2019, 4:45 AM IST

মেডিকেল কলেজে ভরতির নামে প্রতারণা ৷ বিহার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷

ধৃত

কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর : রীতিমতো কেঁচো খুঁড়তে কেউটের সন্ধান । সরকারি মেডিকেল কলেজে ভরতি প্রতারণা চক্রের তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইমের বড়সড় চক্রের পর্দা ফাঁস করলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে । তারা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা ।

গত মাসে দমদম রোডের বাসিন্দা অনির্বাণ সাহা নামে এক ছাত্র লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ চলতি বছর জয়েন্ট পরীক্ষায় ভালো র‍্যাঙ্ক করেছিলেন তিনি ৷ এরপর ভালো কলেজে ভরতি হওয়ার জন্য ইন্টারনেটে খোঁজ শুরু করেন । তখনই দেখতে পান একটি ওয়েবসাইট ৷ যেটি ভারত সরকারের নামে ছিল । তাতে মেডিকেল কাউন্সিল ও ভারত সরকারের লোগো-স্ট্যাম্প দেওয়া ছিল । সঙ্গে ছিল একটি ইমেইল। সেই ইমেইল মারফত যোগাযোগ করেন অনির্বাণ । এরপর তাঁর থেকে 6 লাখ 19 হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় ৷ পরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে অভিযোগ দায়ের করেন অনির্বাণ ৷

তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে, প্রতারণা চক্রটি ঘন ঘন নিজেদের ফোন নম্বর এবং মোবাইল পরিবর্তন করে । পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য মোবাইলে ক্লোন করা IMEI নম্বর ব্যবহার করা হয় । পাশাপাশি অ্যাপে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট দিয়ে ঘন ঘন টাকার লেনদেন করে চক্রটি । সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারী অফিসার শুক্লা সিংহ রায়ের নেতৃত্বে একটি দল বিহারের নওয়াদায় যায় । সেখান থেকে ওংকার কুমার ওরফে সুরজ কুমার (22), রাকেশ কুমার (19) এবং রনধীর কুমারকে (19) গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে 10 টি মোবাইল, বেশ কয়েকটি সিম কার্ড, একটি ল্যাপটপ, বেশ কয়েকটি ATM কার্ড এবং বেশ কয়েকটি পাসবুক ৷ তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা এক লাখ 40 হাজার টাকাও ফ্রিজ় করেছে পুলিশ ।

এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানা যায়, শুধুমাত্র জাল ওয়েবসাইট তৈরি করে মেডিকেল কলেজে ভরতির সুযোগ করে দেওয়াই নয়, দেশজুড়ে স্ন্যাপডিল, সপ ক্লুজ, পেট্রোল পাম্প ডিলারশিপের লটারির নামে প্রতারণা চক্র চালাত তারা । এভাবে অনেকেই জালে পা দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে ধৃতেরা ।

Intro:কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে রীতিমতো কেউটের সন্ধান। সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার নামে প্রতারণার তদন্ত করতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা সাইবার ক্রাইমের বড়সড় চক্রের পর্দা ফাঁস করল। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। তারা বিহারের বাসিন্দা। Body:গত মাসে দমদম রোডের বাসিন্দা অনির্বাণ সাহা নামে এক ছাত্র লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানায় দায়ের করে অভিযোগ। অনির্বাণ এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় মেডিকেলে র্য্যাঙ্ক পেয়েছেন। তিনি ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ইন্টারনেটে খোঁজ শুরু করেন। তখনই দেখতে পান একটি ওয়েবসাইট। জেটি ভারত সরকারের নামে ছিল। মেডিকেল কাউন্সিল এবং ভারত সরকারের লোগো, স্ট্যাম্প দেওয়া ছিল। সঙ্গে ছিল একটি ইমেইল। সেই ইমেইল মারফত যোগাযোগ শুরু করেন অনির্বাণ। আর এতেই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে দেন। তার কাছ থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেওয়া হয় 6,19,500/- টাকা। একটা সময় প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পারেন অনির্বাণ। তারপরেই তিনি দায়ের করেন অভিযোগ।

তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে ওই প্রতারণা চক্রটি ঘন ঘন নিজেদের ফোন নম্বর এবং মোবাইল পরিবর্তন করে। এমনকি মোবাইলে ক্লোন করা আইএমইআই নাম্বার ব্যবহার করে। যাতে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া যায়। পাশাপাশি প্রতারণা চক্রটি জাল পেটিএম ব্যবহার করে ঘন ঘন টাকার লেনদেন করে। এই সব সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা কিছু ক্লু পায়। সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারী অফিসার শুক্লা সিংহ রায়ের নেতৃত্বে একটি দল বিহারের নওয়াদায় যায়। সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় ওঙ্কার কুমার ওরফে সুরজ কুমার (২২), রাকেশ কুমার (১৯) এবং রণধীর কুমার (১৯)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছে উদ্ধার হয়েছে 10 টি মোবাইল ফোন, বেশ কয়েকটি সিম কার্ড, একটি ল্যাপটপ, পেটিএম পেমেন্ট ব্যাংক ডেবিট কার্ড, বেশকিছু এটিএম কার্ড এবং বেশ কয়েকটি পাসবুক উদ্ধার করে। অ্যাকাউন্টে থাকা এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ফ্রিজ করেছে পুলিশ।Conclusion:যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে পড়ে আরও বড় চক্রের কথা। শুধুমাত্র জাল ওয়েবসাইট তৈরি করেই সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ করে দেওয়ার চক্র নয়। ধৃতরা পেটিএম, স্ন্যাপডিল, সপ ক্লুজ, পেট্রোল পাম্প ডিলারশিপের লটারির নামে দেশ জোড়া প্রতারণা চক্র চালায়। এভাবে তারা গোটা দেশের প্রচুর মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে।





ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.