ETV Bharat / city

Controversy Over State BJP Meeting : ‘প্রয়োজন নেই’, ড্যামেজ কন্ট্রোলের বৈঠকে শীর্ষনেতাদের গরহাজিরা নিয়ে মন্তব্য সুকান্তর

author img

By

Published : Apr 20, 2022, 12:14 PM IST

রাজ্য বিজেপিতে ভাঙন এবার ‘ওপেন সিক্রেট’ ৷ মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদারের ডাকা বৈঠকে অধিকাংশ শীর্ষনেতার অনুপস্থিতি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে (Controversy Over Absence of Top Leaders in State BJP Meeting) ৷ যা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, সবাইকে সব বৈঠকে ডাকা হয় না ৷ প্রয়োজন অনুযায়ী ডাকা হয় ৷

Controversy Over Absence of Top Leaders in State BJP Meeting Called by Sukanta Majumdar
Controversy Over Absence of Top Leaders in State BJP Meeting Called by Sukanta Majumdar

কলকাতা, 20 এপ্রিল : একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি ৷ যার জেরে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে একাধিক জেলা নেতৃত্ব ইস্তফা দিতে শুরু করেছে ৷ যা আরও প্রকট হয়েছে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবির পর ৷ আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ কিন্তু, সেখানেও বিজেপির অন্দরে ভাঙন স্পষ্ট ৷ বৈঠকে গরহাজির থাকলেন রাজ্য বিজেপির প্রথমসারির নেতারা (Controversy Over Absence of Top Leaders in State BJP Meeting) ৷ যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের চর্চা, রাজ্য বিজেপির ভাঙন এখন ‘ওপেন সিক্রেট’ ৷

বিক্ষুব্ধদের মধ্যে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসু গরহাজির ছিলেন ৷ এমনকি রাজ্য বিজেপির পাঁচ সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মাত্র 2 জনকে ওই বৈঠকে দেখা গেল ৷ তাঁরা হলেন, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং দীপক বর্মন ৷ তাঁরা সুকান্ত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ৷ আর অনুপস্থিতির তালিকায় লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর মত তিন সাধারণ সম্পাদক ৷

সাংবাদিক বৈঠক এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্নও করা হয় ৷ বিতর্ক এড়াতে জবাবে সুকান্ত বলেন, ‘‘আমাদের দলে সবাইকে সব বৈঠকে ডাকা হয় না ৷ যাঁদের যে কাজে প্রয়োজন, তাঁদের সেই অনুযায়ী ডাকা হয় ৷’’ কিন্তু, সুকান্তর জবাব কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে ৷ বিশেষ করে যে জেলাগুলিতে 2019 লোকসভায় বিজেপির ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেনি তৃণমূল, সেই জেলাগুলিতে 2021 এবং তার পরবর্তী সময়ে ধরাশায়ী হতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে ৷

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, হুগলি এবং পশ্চিম বর্ধমান ৷ আর সেই জেলাগুলির নেতৃত্বের অংশ হিসেবে লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অগ্নিমিত্রা পলের বৈঠকে উপস্থিত থাকাকে সুকান্ত মজুমদার অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন ৷ বিশেষ করে সম্প্রতি আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে যেখানে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল 3 লক্ষের বেশি ভোটে হেরেছেন ৷ আর সেই হারের পর পশ্চিম বর্ধমানে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি ৷ আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তিনি ৷ আর সেই অগ্নিমিত্রা পলের বৈঠকে উপস্থিত থাকা সুকান্ত মজুমদারের কাছে অপ্রয়োজনীয় ৷ যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন নেতা ৷

ড্যামেজ কন্ট্রোলের বৈঠকে বিজেপির শীর্ষনেতাদের গরহাজিরা নিয়ে বিতর্ক

আরও পড়ুন : Allegations of Selling Tickets against BJP : 12 লাখে পৌরসভা ভোটের টিকিট বিক্রি বিজেপির ?

বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবিরের অভিযোগ, রাজ্য নেতৃত্ব এখন কাজের লোকের তুলনায়, কাছের লোকদেরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ৷ এমনকি বিজেপির মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আদি বিজেপি নেতৃত্ব, যাঁদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি ৷ তাঁদের কেন ওই বৈঠকে ডাকা হয়নি ? প্রসঙ্গত, বিজেপিতে একের পর এক ইস্তফার হিড়িক মূলত, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে ৷ প্রকাশ্যে সেকথা জানিয়েছেন বহু বিক্ষুব্ধ নেতা ৷ এমনকি সুকান্ত মজুমদারের দল পরিচালনার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে ৷

ঘরে-বাইরে চাপের মুখে কার্যত বিধ্বস্ত সুকান্ত মজুমদার ৷ তার উপর একের পর এক নির্বাচনে হার ৷ যার ফল, জেলার বিজেপি নেতা-কর্মীদের মনোবল তলানিতে ৷ এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷

আরও পড়ুন : Protest Against BJP MLA : ভোটে জিতে এলাকায় আসেন না, বিজেপি বিধায়ককে কালো পতাকা এলাকাবাসীর

আগামী 2 মে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বর্ষপূর্তি ৷ ওই দিনটিকে রাজ্যের জন্য কালো অধ্যায়ের সূচনা বলে দাবি করেন সুকান্ত ৷ তাই 2 মে গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচি পালনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপির তরফে ৷ ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীদের স্মৃতিতে 3 মে একবেলা অনশন (উপোস) করবেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা ৷ ওই দিন কলকাতায় গান্ধিমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন রাজ্য বিজেপির নেতারা ৷ 4 মে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ ৷ 6 মে পর্যন্ত তিনি রাজ্যে থাকবেন ৷ দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে ৷ কর্মসূচি পরে জানানো হবে ৷ 7 মে মৃত কর্মীদের পরিবারে সঙ্গে থাকবেন বিজেপি নেতারা ৷ 8 ও 9 মে ব্লকে ব্লকে মিছিল করবে বিজেপি ৷ 10 মে মৃত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা সত্যাগ্রহ কর্মসূচি পালন করবেন ৷ পরে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা ৷ 11 মে জেলাভিত্তিক একটি করে মিছিলের কথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.