হায়দরাবাদ, 10 জানুয়ারি: স্কুল চত্বরে পানের দোকানে গাঁজা মেশানো চকলেট বিক্রি হচ্ছে দেদার ৷ সেই চকলেট খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ল ছাত্ররা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাঙ্গারেডি জেলার কোথুর এলাকায় ৷ ঘটনায় ওড়িশার তিন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । তিন পান বিক্রেতার কাছ থেকে তল্লাশিতে 8 কেজি ওজনের 42 প্যাকেট চকোলেট উদ্ধার হয়েছে ৷ তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ । বাজেয়াপ্ত চকলেটের মূল্য প্রায় 1 লক্ষ 30 হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে ।
জানা গিয়েছে, কোথুর সরকারি স্কুলের কাছেই ওই পানের দোকানগুলি ৷ সেখানে বিক্রি হত গাঁজা মেশানো চকলেট ৷ যেগুলি খেয়ে অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে পড়ুয়ারা । বিষয়টি নজরে আসে স্কুলের শিক্ষকদের ৷ বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয় ৷ এসওটি ও স্থানীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চকলেটগুলি বাজেয়াপ্ত করে । আবগারি আধিকারিকরা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ছাত্রগুলি সম্পর্কে তথ্য নেনে ।
সূত্রের খবর, উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের ছাত্ররা চকলেট খাওয়ার পর কয়েকদিন ধরে অদ্ভূত আচরণ করছে । অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি তেলেঙ্গানাতেও গাঁজা মেশানো চকলেট এনে বিক্রি করা হত ৷ এগুলি মূলত ওড়িশা থেকে আনা হত ৷ মূল অভিযুক্ত ধীরেন্দ্র বেহারা ওড়িশা থেকে গাঁজা চকলেট এনে টাকার জন্য স্থানীয় অনেক দোকানে বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে । ডিসিপি জানিয়েছেন, পান বিক্রেতারা পরিচিতদের কাছে সিগারেটের নামে গাঁজা মেশানো চকোলেট বিক্রি করত ।
পুলিশ জানিয়েছে, চোরাকারবারীরা টাকা উপার্জনের জন্য গাঁজাকে চকোলেটে মিশিয়ে বিক্রি করত । এই ধরনের চকলেট বিক্রির কথা কেউ জানলে পুলিশকে অবহিত করতে বলেছেন ডিসিপি নারায়ণ রেড্ডি । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ৷ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নেশাজাতীয় চকলেট সরবরাহকারীদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: