রাঁচি, 17 অক্টোবর: শ্বশুরবাড়ি থেকে ব্যান্ড পার্টি এবং আতশবাজি ফাটিয়ে বিবাহিত মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে এলেন এক ব্যক্তি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরে ৷ 2022 সালের 28 এপ্রিল মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন প্রেম গুপ্তা ৷ কিন্তু, বিয়ের পরপরই জামাই সচিন গুপ্তা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রী সাক্ষী গুপ্তার উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে ৷ তার পরেই মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন প্রেম গুপ্তা ৷ আর সেটাও মেয়েকে কনের সাজে সাজিয়ে, ব্যান্ড বাজিয়ে ও আতশবাজি ফাটিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনলেন তিনি ৷
প্রেম গুপ্তা রাঁচির কৈলাশ নগরের কুমারোটলির বাসিন্দা ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার শুরু হয় ৷ তাঁকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল ৷ সম্প্রতি প্রেম গুপ্তা সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ৷ সেখানে তিনি জানিয়েছেন, গত বছর 28 এপ্রিল মেয়ে সাক্ষীর সঙ্গে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সচিন গুপ্তার বিয়ে দেন তিনি ৷ কিন্তু, বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই সাক্ষীর উপরে সচিন এবং তাঁর বাড়ির লোকজন অত্যাচার শুরু করেন ৷
তা সত্ত্বেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন সাক্ষী ৷ বিষয়টি জানতে পেরে, কষ্ট পেয়েছিলেন প্রেম গুপ্তা ৷ কিন্তু, মেয়ের সিদ্ধান্তের উপর কিছু করতে পারছিলেন না ৷ বিয়ের প্রায় একবছর পর সাক্ষী জানতে পারেন সচিনের এর আগেও দু’টি বিয়ে হয়েছিল ৷ সেই বিয়ে দু’টি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ৷ আর এর জন্যও দায়ী সচিন এবং তাঁর পরিবারের বধূ নির্যাতনের মতো অপরাধ ৷ তবে, এই প্রতারণার বিষয়টি জেনেও সাক্ষী মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ৷ অভিযোগ তারপরেও সচিন এবং তাঁর বাবা-মা’র অত্যাচার বন্ধ হয়নি ৷
আরও পড়ুন: সিলভার স্ক্রিনে সমকামিতা, প্রথা ভাঙার লড়াইয়ে বরাবর এগিয়ে বিশ্ব-সিনেমা
তাই সম্প্রতি সাক্ষী গুপ্তা সিদ্ধান্ত নেন, তিনি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসবেন ৷ মেয়ের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে দেরি করেননি প্রেম গুপ্তা ৷ মেয়েকে সাজিয়ে গুছিয়ে, ব্যান্ড বাজিয়ে যেমন শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছিলেন ৷ তেমনই মেয়েকে দুঃসহ জীবন থেকে বের করে আনার আনন্দে, কনের সাজে সাক্ষীকে সাজান তিনি ৷ এরপর ব্যান্ড বাজিয়ে এবং আতশবাজি ফাটিয়ে ধুমধাম করে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন প্রেম গুপ্তা ৷ সচিন গুপ্তা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছেন সাক্ষী ৷
