পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজ নিয়ে 'সুপ্রিম' নির্দেশ, সিদ্ধান্ত নিতে হবে 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 29, 2024, 3:30 PM IST

Disqualification Decision of NCP MLAs by February 15: 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকরকে ৷ আজ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT

নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি: বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদনে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয় দফায় সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ আগামী 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷ সোমবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকরকে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ এর আগে 31 জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত ৷ কিন্তু, আরও সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ ৷

সোমবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা রাহুল নারওয়েকরের হয়ে সওয়াল করেন ডিভিশন বেঞ্চে ৷ তিনি আদালতকে জানান, বিধানসভায় শিবসেনার মধ্যে চলা দ্বৈরথের কারণে অধ্যক্ষ এনসিপির সেই আবেদন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ৷ সেই কারণে বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদনটি স্থগিত রেখেছেন তিনি ৷

তুষার মেহতা বলেন, "অধ্যক্ষ আদালতের সময়সীমা মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিস্থিতিতে নেই ৷ তাঁর আরও তিন সপ্তাহ সময় দরকার নির্দেশ জারি করার জন্য ৷" প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য শোনার পর নতুন সময়সীমা ধার্য করে ৷ তাঁরা নির্দেশের বলেছেন, 2024 সালের 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷

উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম দফার সময়সীমা গত বছর অক্টোবর মাসে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ তখন থেকে প্রায় চারমাস সময় পেয়েও শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর আবেদনে সাড়া দেননি অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকর ৷ উল্লেখ্য, শরদ পাওয়ারের ভাই অজিত পাওয়ার এনসিপির বেশ কয়েকজন বিধায়ককে ভাঙিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনার সঙ্গে জোট সরকার তৈরি করে মহারাষ্ট্রে ৷ এই ঘটনায় মহাবিকাশ অগাধির সদস্য শরদ পাওয়ারের এনসিপি অজিত পাওয়ার-সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন করেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ৷

কিন্তু, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেই আবেদনে কোনও সাড়া দেননি অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকর ৷ বরং, বিধানসভায় একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকে 'আসল শিবসেনা' উল্লেখ করেন এবং সরকারিভাবে বিধানসভায় মান্যতা দেন ৷ যার বিরুদ্ধে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু করেছে ৷ যা নিয়ে এই মুহূর্তে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ৷

আরও পড়ুন:

  1. কলকাতা হাইকোর্টের 2 বিচারপতির সংঘাত, মেডিক্যাল নিয়োগ মামলা স্থানান্তরিত সুপ্রিম কোর্টে
  2. একনাথরাই 'আসল শিবসেনা', স্পিকারের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব ঠাকরে
  3. শিন্ডে গোষ্ঠীর বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় সুপ্রিম কোর্টের

ABOUT THE AUTHOR

...view details