পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

পুজোর আর দুই সপ্তাহ , ব্যস্ত কুমোরটুলির পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের পুটুয়াপাড়াও

By

Published : Sep 18, 2019, 11:12 PM IST

কুমোরটুলির পাশাপাশি ব্যস্ত কৃষ্ণনগরের পুটুয়াপাড়াও ৷ দেশে বিদেশে পরিচিতি আছে মৃৎশিল্পীদের ৷ কিন্তু তাঁদের আক্ষেপের কারণ কী? মৃৎশিল্পী শিল্পী গোপাল পাল বলেন, " দিনের পর দিন কাঁচা মালের দাম বাড়ছে ৷ শিল্পে লাভের হার কমছে ৷ তাও শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরা ৷ যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন ৷ "

Putuya

কৃষ্ণনগর, 18 সেপ্টেম্বর : রাজ্যে এখন উৎসবের বাতাস ৷ অপেক্ষার আর দুই সপ্তাহ ৷ শারদীয়ার আনন্দে রাজ্যবাসী ৷ মূর্তি তৈরির কাজ এখন শেষ মুহূর্তে ৷ শুধু শহরের কুমোরটুলিই নয়, ব্যস্ত কৃষ্ণনগরের পুটুয়াপাড়াও ৷ মূর্তি গড়ার পাশাপাশি শিল্পীরা তৈরি করছেন দেবীর সাজও৷

দুর্গাপুজোর জন্যই নয় মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত থাকেন সারা বছরই৷ গণেশ পুজোর সময়ে মূর্তি তৈরির প্রথম কাজ শুরু হয় ৷ পুটুয়াপাড়ায় তৈরি হয় ছোটো বড় নানা রকমের গণেশ মূর্তি ৷ এরপর বিশ্বকর্মা পুজোর জন্যেও মূর্তি তৈরির কাজ চলে সেখানে ৷ ভাদ্র মাসের শুরু থেকেই দুর্গা মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা ৷ শিল্পীদের সৃষ্টি দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়, একই সঙ্গে বিদেশেও পুজো হয় কৃষ্ণনগরের পুটুয়া পাড়ার দু্র্গা মূর্তি ৷ মধ্যপ্রদেশ থেকে মেক্সিকো , বিখ্যাত পুটুয়াপাড়ার দেবী মূর্তি ৷

দেবীর সাজ তৈরিতে ব্যস্ত পুটুয়ার শিল্পী

তাঁদের সৃষ্টি যথেষ্ট প্রশংসা পেলেও আক্ষেপ থেকে যায় শিল্পীদের মনে ৷ বিদেশে যাঁদের পরিচিতি আছে তাঁদের আক্ষেপের কারণ কী? মৃৎশিল্পী শিল্পী গোপাল পাল বলেন, " দিনের পর দিন কাঁচা মালের দাম বাড়ছে ৷ শিল্পে লাভ কমছে ৷ তাও শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরা ৷ যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন ৷ "

Intro:হাতে সময় খুবই কম। তাই চরম ব্যস্ত কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির পুটুয়া পাড়া। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব এর বাকি নেই তিন সপ্তাহ। সেখানে রাত দিন এক করে, নাওয়া খাওয়া ভুলে এক একজন শিল্পী তাদের হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় সাজসজ্জার পাশাপাশি ব্যস্ততা মহামায়ার রূপদানে। দেবী দুর্গার পাশাপাশি কার্তিক , গণেশ , লক্ষী এবং সরস্বতী কে নিয়েও তাদের ব্যস্ততাও কম নয়। রাজ্যের মধ্যে কলকাতার কুমোরটুলির পরেই যে, শিল্পীদের কদর সব থেকে বেশি, সেই রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের রাজধানী কৃষ্ণনগর শহরের পূর্ব প্রান্তে ঘূর্ণির পুটুয়াপাড়া।
এমনিতে এখানকার শিল্পীরা সারা বছর ধরেই ব্যস্ত থাকেন। গণেশ মূর্তি দিয়ে শুরু হয় ব্যস্ততা। এরপর একে একে গঙ্গা মাতা, মনসা , বিশ্বকর্মা। এরপরই শুরু হয় বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দেবী দুর্গা কে গড়ে তোলার ব্যস্ততা। ভাদ্র মাসের সূচনা কাল থেকে শুরু হয় প্রস্তুতি। এখানকার শিল্পীদের নিপুণ হাতে তৈরি এক একটি দেবী মূর্তি চলে যায় দেশ বিদেশে। মধ্য প্রদেশ থেকে মেক্সিকো। সর্বত্রই কদর তাদের। তবু কৃষ্ণনগরের পুটুয়া পাড়ার শিল্পীদের আক্ষেপ যায় না। কেন? শিল্পী গোপাল পাল অভিযোগ করে বলেন, যে ভাবে দিনের পর দিন কাঁচা মালের দাম বাড়ছে, তাতে শিল্পটা কে বাঁচানোই দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্পী গোপাল পাল তার দক্ষ দুটি হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলেছেন এক একটি দেবী মায়ের শোলা থেকে সুতোর সাজ।Body:KRISHNAGAR DURGAConclusion:

ABOUT THE AUTHOR

...view details