পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Transgender Swastha Sathi Scheme: চিকিৎসা ক্ষেত্রে সমান অধিকার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় এবার রূপান্তরকামীরাও

By

Published : Apr 3, 2023, 7:54 PM IST

সমাজে তাঁদের নানা দাবি-দাওয়া রয়েছে । রয়েছে বঞ্চনার অনেক অভিযোগ । এবার চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেকটা সুরাহা পেলেন সমাজের রূপান্তরকারীরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনা হয়েছে রূপান্তরকামীদের ।

Etv Bharat
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় রূপান্তরকামীরা

কলকাতা, 3 এপ্রিল: এতদিন যাঁরা সমাজের চোখে ব্রাত্য ছিলেন আজ তাঁরাও পেলেন সমান অধিকার। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনা হল রূপান্তরকামীদের। স্বাস্থ্যভবনের বিশেষ পদক্ষেপের জেরে চিকিৎসাক্ষেত্রে মুছে গিয়েছে অলিখিত ভেদাভেদ । সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আমজনতার মতোই এবার স্বাস্থ‌্যসাথী কার্ডের সুযোগ সুবিধা পাবেন রূপান্তরকামীরাও। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার জন্য একটি ফর্মপূরণ করতে হবে। সেই ফর্মে উপভোক্তার লিঙ্গ কী তা লিখতে হয়। সেই জায়গায় রূপান্তরকামীরা নিজেদের পরিচয় প্রাকশ্যে আনতে পারেন ।

যদিও এই বিষয় নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন রূপান্তরকামী সমাজকর্মী রঞ্জিতা সিংহ। তিনি বলেন, "যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনতেই হয়, তাহলে এত দেরিতে কেন? সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে বোঝা যাচ্ছে আমারও রাজনীতির শিকার। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য এইসব করা হচ্ছে।"

রূপান্তরকামীদের জন্য এই ভাবনার পাশাপাশি আরও একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। জানা গিয়েছে, এবার বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদেরও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুরকমিশনার বা জেলাশাসকরা নোডাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন। বৃদ্ধাশ্রমের পাঁচজন বা তার বেশি আবাসিকরা একসঙ্গে আবেদন করলে তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনা হবে। তবে সেই ফর্মে উল্লেখ থাকতে হবে উপভোক্তার ছেলে-মেয়ে বা আত্মীয়স্বজন আছেন কি না। এই সুযোগ চালু হলে আগামী দিনে অনেক বৃদ্ধাশ্রমের আবাদিকরা উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন বৃদ্ধাশ্রমের মালিক করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সরকার যদি ব্যবস্থা করে তাহলে আমাদের খুব সুবিধা হয়। মূলত আমাদের আবাসিকদের চিকিৎসা জন্য সরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। এই সুযোগ চালু হলে আমাদের অনেকটাই সুবিধা হবে।"

আরও পড়ুন: রূপান্তরকামীদের অধিকার রক্ষায় বড় পদক্ষেপ রাজ্যের

অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে 2 কোটি 85 লক্ষ পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এসেছে। মাসে গড়ে 200-22 কোটি টাকা সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয় বিমার দাবি বাবদ টাকা মেটাতে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগের কথা শোনা যায়। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সাধারণ মানুষকে বেসরকারি হাসপাতালে ভোগান্তি পোহানোর ঘটনা প্রায়শই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। ফলে সেই সমস্যা মেটানোর জন্য আগামী দিনে নানা ভাবনা রয়েছে স্বাস্থ্যভবনের।

ABOUT THE AUTHOR

...view details