পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বিপাকে পর্যটকরা

By

Published : Dec 15, 2019, 8:56 PM IST

ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের ৷ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দক্ষিণবঙ্গের ৷ যার জেরে বিপাকে পর্যটকরা ৷

image
ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুর

শিলিগুড়ি, 15 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 ও NRC-এর প্রতিবাদে আজ ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারী ৷ ভেঙে দেওয়া হয় সিগন্যালিং সিস্টেম । বিক্ষোভের ফলে উত্তরবঙ্গের NJP স্টেশন থেকে দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশে আসা সব ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয় । এমন কী মাঝপথ থেকেও কিছু ট্রেন ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ ফলে চরম বিপাকে পড়তে হয় পর্যটক থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের ।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019-র প্রতিবাদে অশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা । আঁচ পড়ছে রেল পরিষেবাতেও । বিক্ষোভের ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে থমকে যায় । দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস সহ বহু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয় । আগাম কোনও সূচনা না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের । অভিযোগ, ট্রেন বাতিল করে দেওয়ার পরও স্টেশন চত্বরে কোনও আধিকারিকের দেখা মেলেনি ।

ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুরের জন্য বাতিল বহু ট্রেন

কলকাতার এক পর্যটক বলেন, "দার্জিলিং বেড়াতে এসেছিলাম । আজ দার্জিলিং মেলে ফেরার কথা ছিল । আগাম রিজ়ার্ভেশনও করা ছিল । যদিও স্টেশনে এসে জানতে পারি ট্রেন বাতিল । আর ফেরার কোনও উপায় নেই । এটা সরকারের অপদার্থতার ফল । সমস্যা পোহাতে হচ্ছে আমাদের ।" বেঙ্গালুরুগামী আর এক পর্যটক বলেন, "বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কোচবিহারে এসেছিলাম । ফেরার কথা ছিল আজ । যদিও ট্রেন বাতিলের জেরে ফিরতে পারলাম না । রাত কাটাতে হবে হোটেলে । অপেক্ষা করতে হবে আগামীকালের জন্য ।"

এবিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভনান চন্দ বলেন, ‘‘আপাতত দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগকারী সব ট্রেন বাতিল করা হয়েছে । মূলত ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুরের জেরে সিগন্যালিং ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায় ৷ পাশাপাশি রেল ট্র্যাকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ফলে ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি । তবে পরিস্থিতির উপর নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি ৷

Intro:ভালুকা রোড স্টেশনে ভাংচুর; উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছন্ন উত্তরবঙ্গের, বিপাকে পর্যটকেরা

শিলিগুড়ি, ১৫ ডিসেম্বরঃ সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন ও NRC এর প্রতিবাদে আজ ভালুকা রোড স্টেশনে ভাংচুর চালানো হয় আন্দোলনকারীদের তরফে। নষ্ট হয়ে যায় সিগন্যালিং সিস্টেম। স্বাভাবিক কারণেই উত্তরবঙ্গের এনজেপি স্টেশন থেকে দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া সব ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। এমনকি কিছু কিছু ট্রেন মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হয়৷ এরই জেরে চরম বিপাকে পড়তে হয় পর্যটক থেকে শুরু করে যাত্রীরা। স্বাভাবিক কারণেই কিছুটা ক্ষোভ বিক্ষোভের পারদও চড়তে থাকে। বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় স্টেশন চত্বরে।

Body:দিনকয় যাবৎ অশান্ত গোটা রাজ্য সহ প্রতিবেশী রাজ্যও। জ্বলছে অশান্তির আগুন। আঁচ পড়ছে রেল পরিসেবাতেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে প্রশাসন ব্যাকফুটে রয়েছে বলে দাবী আমজনতার। ফলস্বরূপ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এক্কেবারে থমকে যায়। মূহুর্তের মধ্যেই দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস সহ বহু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। আগাম কোন সূচনা না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। অভিযোগ, ট্রেন বাতিল করে দেওয়ার পরেও স্টেশন চত্বরে কোন আধিকারীকের দেখা মেলেনি। টিকিট বাতিল করে টাকা ফেরতের কথা বলা হলেও বিশৃঙ্খলা চরমে।

কলকাতার গোবরডাঙ্গার বাসিন্দা বরুণ কুন্ডু বলেন, দার্জিলিং বেড়াতে এসেছিলাম। আজ দার্জিলিং মেলে ফেরার কথা ছিল। আগাম রিজার্ভেশন করা ছিল।।যদিও স্টেশনে এসে জানতে পারি ট্রেন বাতিল। ফেরার কোন উপায় নেই। এটা সরকারের অপদার্থতার ফল। সমস্যা পোহাতে হচ্ছে আমাদের। অন্যদিকে, এক বেঙ্গালোরের বাসিন্দা দিলীপ জৈন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে কোচবিহারে এসেছিলেন। ফেরার কথা ছিল আজ। যদিও ট্রেন বাতিলের জেরে ফিরতে পারলেন না। রাত কাটাতে হবে হোটেলে। অপেক্ষা করতে হবে আগামীকালের।

Conclusion:এবিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মূখ্য জনসংযোগ আধিকারীক শুভনান চন্দ বলেন, আপাতত দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগকারী সব ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। মূলত ভালুকা রোড স্টেশনে ভাংচুরের জেরে সিগন্যালিং ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাশাপাশি রেল ট্র‍্যাক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি। আগামীকাল পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক হবে? উত্তরে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details