কলকাতা, 13 এপ্রিল: বেঙ্গালুরুর রামেশ্বম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই চক্রী শুধুমাত্র যে কলকাতার তিনটি হোটেলে রাত কাটিয়েছে, তাই নয়, বরং তারা চাঁদনি চক মার্কেটেও যায় । জানা গিয়েছে, একটি মোবাইল সারাইয়ের দোকানে তারা গিয়েছিল । প্রায় দু'ঘণ্টা মোবাইলের দোকানে তারা সময় কাটায় বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এমনটাই জানা গিয়েছে এনআইএ সূত্রে।
ইতিমধ্যে এনআইএ'র তদন্তকারীরা সংশ্লিষ্ট দোকান থেকে ঘুরেও গিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দোকানের কর্মচারীদের। পরবর্তীকালে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। শনিবার ওই দোকানের এক কর্মী আব্দুল সংবাদমাধ্যমকে জানান, যে ফোনটি তাঁদের কাছে সারাই করতে দেওয়া হয়েছিল, তা তাঁরা ঠিক করতে পারেননি। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ সূত্রে এই খবর আসার পরেই লালবাজারের গোয়েন্দারা চাঁদনি চকের সংশ্লিষ্ট দোকানে গিয়ে মালিকের সঙ্গে কথা বলেন।
জানা গিয়েছে, গত 12 মার্চ ওই ব্যক্তি ফোন সারাতে তাঁদের দোকানে এসেছিলেন। দোকানের এক কর্মচারী তদন্তকারীদের জানান, একজনই এসেছিল তাঁদের দোকানে। মোবাইলের একটি অডিয়োতে সমস্যা হচ্ছিল। তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ মোবাইলটি পরীক্ষা করে দেখেন। ঠিক করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু কাজ হয়নি। তাঁরা অভিযুক্তদের বলেছিলেন, একদিনের জন্য মোবাইলটি তাঁদের দোকানে রেখে যেতে। তেমনই ফোন রেখে গিয়েছিল ওরা ৷ কিন্তু পরের দিনও মোবাইল সারানো যায়নি। তাই অভিযুক্তকে মোবাইলটি ফেরত দিয়ে দেন দোকানের কর্মচারীরা। তারপর আর কেউ তাঁদের দোকানে মোবাইল সারাই করতে আসেনি ৷
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, 28 দিন ধরে বাংলায় ঘুরেছে ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। যদিও কিছুতেই টের পায়নি পুলিশ। শুধু তাই নয়, গত 13 মার্চ কলকাতার লেনিন সরণির একটি হোটেলে উঠেছিল ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। কিন্তু নাম লেখার এক জায়গায় দেখা গিয়েছে তারা একটি বিশেষ নাম লিখে কেটে দিয়েছে। সূত্রের খবর, আসলে ওই নামটিতেও পরিচিত ছিল ওই জঙ্গি। সেকারণে তারা ওই নামটি লিখেছিল। যে নামটি তারা কেটেছে সেটি হল ভিগ্নেশ। রেজিস্টারে তারা টুরিস্ট পরিচয় দিয়েছিল। জানিয়েছিল তারা দার্জিলিং থেকে এসেছে। এরপর তারা চেন্নাই ফিরে যাবে।
এদিকে ক্যাফে বিস্ফোরণে জড়িতদের খোঁজ দিতে পারলে 10 লাখ টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছিল এনআইএ। রামেশ্বরমের ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, কর্ণাটক, কেরল ও তেলেঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। কাঁথি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনার রাজনৈতিক চাপানউতোরও চরমে উঠেছে। ধৃতদের নাম আবদুল মাতিন ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সজীব। এই সজীবই ক্যাফেতে আইইডি বসিয়েছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: