হাওড়া, 8 মার্চ: নারী-পুরুষের পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বারাই হবে সমাজের কল্যাণ ৷ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই বার্তা দিলেন 'সরোদ সিস্টার্স' ত্রৈলী দত্ত ও মৈশিলী দত্ত । জি-20-র আসরে তাঁদের সংগীতও যেন এই বার্তাই তুলে ধরেছে...মিলে সুর মেরা তুমহারা ৷
যে নারী রাঁধে, সে আবার চুলও বাঁধে - বর্তমান সমাজের সর্বক্ষেত্রে আধুনিক নারীশক্তি নিজেদের সক্ষমতার ছাপ ফেলছে । তা সে সমাজ গঠন হোক বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রেই হোক, আজকের নারী দিবসে নারী ব্রিগেড তাদের সাফল্যের ধ্বজা ওড়াচ্ছে সর্বত্র ৷ সে রকমই দুই নারী হাওড়ার সরোদ সিস্টার্স ৷
নিজেদের শাস্ত্রীয় সংগীত সাধনার মাধ্যমে সকলের মন জয়ের সুরেলা সফরে ব্রতী রয়েছেন শিবপুরের দুই বোন ৷ যাঁরা এই রাজ্য থেকেই জি-20 শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সামনে তুলে ধরেছেন দেশের সংস্কৃতির শিকড়কে । জি-20-তে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত 78 জন কৃতী বাদ্যযন্ত্র শিল্পীর মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাসুন্দিয়ার বাসিন্দা ত্রৈলী দত্ত ও মৈশিলী দত্ত । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতা, কূটনীতিকদের সামনে নিজেদের আঙুলের জাদুর স্পর্শে সরোদের মুর্ছনায় মুগ্ধ করেছেন তাঁরা ৷
ছোট থেকেই দু'জনের শাস্ত্রীয় সংগীতের মাধ্যমে গুরুর শিক্ষায় পথ চলা শুরু । তারপর একে একে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে নিজেদের সংগীত শিল্পী রূপে প্রতিষ্ঠিত করা, একইসঙ্গে অগনিত শ্রোতাকে দেশের মূল সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানোর মহান কাজে ব্রতী হয়ে এগিয়ে চলেছেন দত্ত বোনেরা । বড় বোন ত্রৈলী বর্তমানে কলকাতার নিউআলিপুরে সংসার সামলাচ্ছেন, ছোট বোন মৈশিলী পড়াশোনা করছেন । যদিও সবকিছু সামলেই দুই বোন তাঁদের সংগীতকেও সমৃদ্ধ করে চলেছেন ।
মৈশিলী বলেন, "বিষয়টা শুধু নারী পুরুষের নয়, সমাজের যে স্তরে যিনি আছেন, তাঁর চারপাশের মানুষদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই সমাজের কল্যাণ সম্ভব ।" একই অভিমত দিদি ত্রৈলী দত্তরও । তিনি আবার বর্তমান সমাজে সংগীতের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন ৷ তাঁর কথায়, "বর্তমান সমাজের যে পরিস্থিতি ও পরিকাঠামো, সেখানে সংগীত সমাজকে মানসিক সুস্থতা ও সদর্থক দৃষ্টি প্রদান করতে পারে । শুধু শিল্পী তৈরি করা নয়, বরং সমাজকে সচেতন করার মাধ্যমে সদর্থক দৃষ্টি তৈরি করাটাও একজন সংগীত শিল্পীর কর্তব্য বলেই আমি মনে করি ।"
আরও পড়ুন: