ETV Bharat / state

বাংলাদেশি সাংসদ খুনে ধৃত কসাইয়ের 12 দিনের সিআইডি হেফাজত - Bangladesh MP Murder case

Bangladesh MP Murder case: বাংলাদেশের সাংসদ খুনে ধৃত কসাইকে 12 দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে পাঠাল বারাসত আদালত । তবে আদালতে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি অভিযুক্ত ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 24, 2024, 1:32 PM IST

Updated : May 24, 2024, 2:37 PM IST

ETV BHARAT
ধৃত কসাইকে আদালতে পেশ (নিজস্ব চিত্র)

বারাসত, 24 মে: বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনোয়ারের খুনে ধৃত কসাই জিহাদ হাওলাদারকে 12 দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাসত আদালতে । এ দিন মুখ ঢাকা অবস্থায় সিআইডি'র গোয়েন্দারা ধৃতকে পেশ করেন বারাসত আদালতে । তবে, খুনের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথাই বলেননি ধৃত যুবক । ওপার বাংলার সাংসদ খুনের রহস্য উদঘাটন করতে এ দিন ধৃত জিহাদ হাওলাদারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সিআইডি ।

বাংলাদেশি সাংসদ খুনে ধৃত কসাইকে বারাসত আদালতে পেশ (ইটিভি ভারত)

সিআইডি'র তদন্তকারীরা মনে করছেন, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে অনেক মিসিং তথ্য মিলতে পারে । তাতে তদন্তের অগ্রগতি হতে পারে বলেই ধারণা গোয়েন্দাদের । সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর 24-এর ওই যুবকের বাড়ি বাংলাদেশে । তিনি অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করে বসবাস করছিলেন । পরে তিনি মুম্বইয়ে চলে যান । পেশায় জিহাদ একজন কসাই । গত 2 মাস আগে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসেন খুনের 'মাস্টারমাইন্ড' বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান । সেই মতো খুনের দিন নিউটাউনের ফ্ল্যাটে কসাই জিহাদ বাংলাদেশের সাংসদের নিথর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে খুনিদের সাহায্য করেন বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে সিআইডি । তাই তিনিও এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি করেছেন সিআইডি'র গোয়েন্দারা ।

আরও পড়ুন:

খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে এই কসাইকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে নিয়ে আসে সিআইডি'র বিশেষ তদন্তকারী দল । এরপর ভবানী ভবনে রাতভর ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদ হাওলাদারকে জেরা করা হয় । সিআইডি'র দাবি, জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন যে, ঘটনার দিন তিনি-সহ চারজন বাংলাদেশি নাগরিক নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের বি-ইউ ব্লকের চার তলার 56 নম্বর ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন । সেখানে আগে থেকেই খুনের সবকিছু পরিকল্পনা তৈরি ছিল । সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনোয়ার সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । খুনের পর তাঁর নিথর দেহ ফ্ল্যাটেই টুকরো টুকরো করে কেটে তা সরিয়ে দেওয়া হয় অন‍্যত্র । এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ট্রলি এবং প্লাস্টিকের ব‍্যাগও ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ।

আরও পড়ুন:

তবে সিআইডি সেই দেহাংশের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালালেও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সাংসদের দেহের কোনও টুকরোই উদ্ধার করতে পারেনি । যার ফলে তদন্ত করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সিআইডিকে ।

এ দিকে, বাংলাদেশের সাংসদের খুনের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে । সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জিহাদ আগেও খুনের ঘটনার মতো মারাত্মক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন । ফলে, তাঁর এই ধরনের প্রবণতা আগে থেকেই ছিল । তাই তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে সিআইডি হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে আদালতে জানান তদন্তকারীরা ।

আরও পড়ুন:

বারাসত, 24 মে: বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনোয়ারের খুনে ধৃত কসাই জিহাদ হাওলাদারকে 12 দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাসত আদালতে । এ দিন মুখ ঢাকা অবস্থায় সিআইডি'র গোয়েন্দারা ধৃতকে পেশ করেন বারাসত আদালতে । তবে, খুনের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথাই বলেননি ধৃত যুবক । ওপার বাংলার সাংসদ খুনের রহস্য উদঘাটন করতে এ দিন ধৃত জিহাদ হাওলাদারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সিআইডি ।

বাংলাদেশি সাংসদ খুনে ধৃত কসাইকে বারাসত আদালতে পেশ (ইটিভি ভারত)

সিআইডি'র তদন্তকারীরা মনে করছেন, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে অনেক মিসিং তথ্য মিলতে পারে । তাতে তদন্তের অগ্রগতি হতে পারে বলেই ধারণা গোয়েন্দাদের । সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর 24-এর ওই যুবকের বাড়ি বাংলাদেশে । তিনি অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করে বসবাস করছিলেন । পরে তিনি মুম্বইয়ে চলে যান । পেশায় জিহাদ একজন কসাই । গত 2 মাস আগে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসেন খুনের 'মাস্টারমাইন্ড' বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান । সেই মতো খুনের দিন নিউটাউনের ফ্ল্যাটে কসাই জিহাদ বাংলাদেশের সাংসদের নিথর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে খুনিদের সাহায্য করেন বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে সিআইডি । তাই তিনিও এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি করেছেন সিআইডি'র গোয়েন্দারা ।

আরও পড়ুন:

খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে এই কসাইকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে নিয়ে আসে সিআইডি'র বিশেষ তদন্তকারী দল । এরপর ভবানী ভবনে রাতভর ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদ হাওলাদারকে জেরা করা হয় । সিআইডি'র দাবি, জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন যে, ঘটনার দিন তিনি-সহ চারজন বাংলাদেশি নাগরিক নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের বি-ইউ ব্লকের চার তলার 56 নম্বর ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন । সেখানে আগে থেকেই খুনের সবকিছু পরিকল্পনা তৈরি ছিল । সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনোয়ার সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । খুনের পর তাঁর নিথর দেহ ফ্ল্যাটেই টুকরো টুকরো করে কেটে তা সরিয়ে দেওয়া হয় অন‍্যত্র । এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ট্রলি এবং প্লাস্টিকের ব‍্যাগও ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ।

আরও পড়ুন:

তবে সিআইডি সেই দেহাংশের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালালেও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সাংসদের দেহের কোনও টুকরোই উদ্ধার করতে পারেনি । যার ফলে তদন্ত করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সিআইডিকে ।

এ দিকে, বাংলাদেশের সাংসদের খুনের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে । সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জিহাদ আগেও খুনের ঘটনার মতো মারাত্মক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন । ফলে, তাঁর এই ধরনের প্রবণতা আগে থেকেই ছিল । তাই তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে সিআইডি হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে আদালতে জানান তদন্তকারীরা ।

আরও পড়ুন:

Last Updated : May 24, 2024, 2:37 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.