কলকাতা, 23 মার্চ: পার্টি অফিসের সামনে রাখা ছিল ড্রপ বক্স। ইচ্ছুক দাতারা বন্ড কিনে সেখানে ফেলে গিয়েছেন। তাতে কারও নাম লেখা ছিল না। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করল তৃণমূল ৷ সুপ্রিম কোর্টে সিপিএমের করা নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মামলার রায়ে অস্বস্তিতে কমবেশি সবক'টি রাজনৈতিক দল। কে, কত টাকা দিয়েছে সেই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই তথ্য সামনে আসতেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। 1,600 কোটি টাকারও বেশি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ঢুকেছে তৃণমূলের অ্যাকাউন্টে। প্রাপ্তির নিরিখে তৃণমূলের স্থান দ্বিতীয়। সেই বন্ড নিয়েই এবার সাফাই দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, "তৃণমূল ভবনের সামনে ড্রপ বক্স রাখা থাকত ৷ যারা অনুদান দিতে চেয়েছেন, তারা সেখানে দিয়ে গিয়েছেন। সেখানে শুধুমাত্র একটা আলফা নিউম্যারিক কোড ছিল। কিন্তু সেখানে বলা থাকত না কোন কোম্পানি বা কে দাতা। দেশজুড়ে এই সিস্টেম বিজেপিই তৈরি করেছে।" গোটা বিষয়টি বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, "বিজেপি নিজেরা বিষয়টি জানত ৷ কারণ সিবিআই, ইডি আছে। তাদের পাঠিয়ে একটা প্রসেস এনে টাকাটা নিতে পেরেছে। তৃণমূল জানত না কোন সংস্থা কত টাকা দিচ্ছে। ড্রপ বক্স খুলে যে বন্ড পাওয়া গিয়েছে নিয়ম মাফিক পার্টির রেজিষ্টার অ্যাকাউন্টে তা জমা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যা নগদ হয়েছে তাই মিলেছে। কেন অমুকের থেকে নিয়েছে এটা প্রশ্ন উঠতে পারে না। কারণ তৃণমূল জানে না। তৃণমূল সিবিআই, ইডি পাঠিয়ে দর কষাকষি করে টাকা তোলেনি।"
কুণাল আরও বলেন, "এই ইলেক্টোরাল বন্ড বিজেপি শুরু করেছিল। বিজেপি এই আইনটা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয় দশক ধরে দাবি করেছে ভোট রাষ্ট্রের তহবিলে হোক। কালো টাকা, বিপুল টাকা খরচ, এগুলো বন্ধ হোক তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের দাবি। সরকারি টাকায় ভোট হোক। বিজেপি সে কথা শোনেনি। বিজেপি নতুন নিয়ম এনেছে বন্ড। বাকিরাও আমরা সেই নিয়ম মেনেছি। আমি নির্দিষ্ট করে বলে রাখি করা তৃণমূলকে কত দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস জানত না। কোন কোম্পানি তৃণমূল কংগ্রেসকে টাকা দিয়েছে এটা তৃণমূল কংগ্রেস জানত না কারণ, কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ীই সব হয়েছে।"
আরও পড়ুন: