তেহট্ট, 2 মে: মহুয়া মৈত্রের জন্য প্রচারে গিয়ে ফের একবার সংসদ থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে টেনে আনলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সঙ্গে মতুয়া ভোটব্য়াঙ্কেও শান দিয়েছেন মমতা ৷ আগামিকাল শুক্রবার বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে কৃষ্ণনগরেই আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আর আগে বৃহস্পতিবার মমতা কৃষ্ণনগরের সভা থেকে বলেন, "আপনাদের ভোটে জিতেছে মহুয়া ৷ আর তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হল! একদিনে 147 জন সাংসদকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে ৷" এখানেই শেষ নয়, কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, "আমরাও পারি আপনাদের যত বিধায়ক আছে, তাদের বিধানসভা থেকে বহিষ্কার করতে ৷"
কৃষ্ণনগর আসন যে এবারের বিজেপির অন্যতম টার্গেট তা বারবার মোদির ছুটে আসা থেকেই স্পষ্ট ৷ প্রার্থী ঘোষণা এমনকী লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেও একবার কৃষ্ণনগর কলেজ মাঠে সভা করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ৷ এবার শুক্রবার ফের রাজমাতা অমৃতা রায়ের সমর্থনে সভা করতে আসছেন তিনি ৷ তার আগে এদিন নরেন্দ্র মোদির নাম না করে মমতা বলেন, "এখানে আবার আগামিকাল মিথ্য়া কথা বলতে আসছেন ৷ মহুয়া ওদের ভয় পায় না, তাই মহুয়াকে নিয়ে ওদের এতো ভয় ৷ ওর উপর এত রাগ ৷ কার সঙ্গে কার বন্ধুত্ব তা খুঁজে বের করতে গেলে, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে ৷"
মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা কৃষ্ণনগরে এসে তাঁদের ভাবাবেগকেও স্পর্শ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিন তিনি বলেন, "বড় মা'কে যখন চিনত না তখন আমি বারবার ছুটে যেতাম ৷ তিনি অসুস্থ হলে কলকাতায় এনে চিকিৎসা করিয়েছি ৷ হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করেছি ৷ মতুয়াদের মিথ্য়া কথা বলছে নাগরিকত্ব দেবে ৷ কীসের নাগরিকত্ব ? আপনারা এমনিতেই নাগরিক ৷" বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করে মমতা আরও বলেন, "বনগাঁর আপনাদের প্রার্থী কেন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি ? চালু আছে ৷ জানে করলেই বিদেশি হয়ে যাবে ৷"
এরই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "ইউসিসি চালু হলে তপশিলি, আদিবাসী, ওবিসি, মতুয়াদের অস্তিত্ব থাকবে না ৷ শুধু এক দেশ এক নেতা থাকবে ৷ অনেক জায়গায় ভোট করতে দেয় না ৷ সারা পৃথিবীতে এটা লজ্জার যা এদেশের সরকার করছে ৷ আইপিএস, আইএএসদের সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ফোন করে ধমকাচ্ছে ৷ বিজেপির হয়ে কাজ করতে বলা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন
'কুণালকে সরাতে বলুন নেত্রীকে', সুদীপকে বাবলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে