বাঁশওয়াড়া, 26 এপ্রিল: সকালে প্রয়াত হন স্বামী ৷ শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে বিকেল পেরিয়ে যায় ৷ তার পরও ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন না রাজস্থানের সুরজ দেবী ৷ বিকেল পাঁচটা নাগাদ বুথে এসে প্রয়োগ করলেন নিজের ভোটাধিকার ৷ শুক্রবার লোকসভায় নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজস্থানের ভুংড়া গ্রাম ৷
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন 60 বছর বয়সী গণপতলালের ছেলে জিভা নাই ৷ দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন ৷ শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় ৷ জিভা নাইয়ের দুই ছেলে ৷ এক ছেলে কুয়েতে কর্মরত ৷ আরেকজন পারিবারিক গোলমালের জন্য আলাদা থাকেন ৷ কুয়েতে বসবাসকারী ছেলে স্বাভাবিকভাবেই বাবার শেষকৃত্য়ে যোগ দিতে পারেননি ৷ আর অন্য ছেলেটি এসেছিলেন কি না, তা জানা যায়নি ৷ তবে বিকেল চারটে নাগাদ জিভা নাইয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ৷
ভুংড়া গ্রামটি রাজস্থানের বাঁশওয়াড়া জেলার মধ্যে পড়ে ৷ শহর থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম ৷ ফলে ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে সেখানকার মানুষ খুব বেশি সচেতন নন বলেই জানা গিয়েছে ৷ তাই গ্রামের শোকের পরিবেশ তৈরি হওয়ায় অনেকেই ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেন ৷
সেই খবর এসে পৌঁছয় দুই সমাজকর্মী ললিত কালাল ও রবি কালালের কাছে ৷ তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামে যান ৷ প্রথম সুরজ দেবীকে বোঝান ৷ তার পর গ্রামের লোকেদের ভোটদানের গুরুত্ব বুঝিয়ে বলেন ৷ এর পরই সুরজ দেবী ভোটদানে রাজি হন ৷ বুথে আসেন ৷ তাঁর সঙ্গে গ্রামের আরও 50 জন ভোট দিতে আসেন ৷
আরও পড়ুন: