ETV Bharat / bharat

'ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে প্রভাব পড়বে', সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন মাকিন সেনেটর

American senator on CAA: ভারতে লাগু হওয়া সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন সেনেটর ৷ এর আগে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিল ৷ তার কড়া জবাব দিয়েছিল ভারত সরকার ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 19, 2024, 12:17 PM IST

ETV Bharat
সিএএ

ওয়াশিংটন, 19 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন এক মার্কিন সেনেটর ৷ ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকরের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন সেনেটর ৷ মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে দু'টি দেশের মধ্যে একই মূল্যবোধ থাকা উচিত, তা যে ধর্মই হোক না কেন ৷

11 মার্চ, 2024 তারিখে দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ ৷ এই আইন অনুযায়ী তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র- পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে সময়ে সময়ে বহু অ-মুসলিম শরণার্থী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছে ৷ 2014 সালের 31 ডিসেম্বর তারিখের আগে যাঁরা এই তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করাই 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের উদ্দেশ্য, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

লোকসভা ভোটের আগে এই আইন কার্যকর করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ এমনকী এই আইনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই ৷ এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না ৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও হিন্দুদের মতোই সমান অধিকার পাবে ৷

এদিকে এই সিএএ নিয়ে সেনেটর বেন কার্ডিন একটি বিবৃতি জারি করেছেন, "ভারত সরকারের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বিতর্কিত ৷ এই আইনে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আমি গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি ৷ এর সবচেয়ে খারাপ দিকটি হল, পবিত্র রমজান মাসে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে ৷" সেনেটর বেন কার্ডিন বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক সেনেট ফরেন রিলেসশন কমিটির চেয়ারম্যান ৷

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র ফলে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কেও প্রভাব পড়বে ৷ এই প্রসঙ্গটিও তিনি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ আমরা একে অপরকে যে সহযোগিতা করব তা আমাদের মধ্যের মূল্যবোধগুলির উপর নির্ভর করে ৷ আর এই মূল্যবোধগুলি যে কোনও ধর্মের মানবাধিকার রক্ষার জন্য ৷"

গত সপ্তাহে সিএএ লাগু হওয়ার পরেই তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৷ স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়, ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সমান আচরণ করাই গণতান্ত্রিক নীতির মৌলিক বিষয় ৷ এরপর ভারত সরকার ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের কড়া সমালোচনা করে ৷ ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তথ্য ভুয়ো তথ্যের উপর ভিত্তি করে এবং অযাচিত ৷

হিন্দু-প্যাক্টের সহ-আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেন, "সিএএ কোনও ভারতীয় নাগরিকের উপর প্রভাব ফেলবে না ৷ এই আইনের চরিত্র ধর্মনিরপেক্ষ নয় বলে দাগানো হয়েছে ৷ কিন্তু সেই তত্ত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় ৷ আমরা আমেরিকাবাসী হিসেবে হতাশ ৷ আমেরিকার মূল্যবোধকে সমর্থন না-করে আমাদের সরকার মানবিক প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. মোদিরাজ্যে পাকিস্তান থেকে আসা 18 হিন্দু শরণার্থীকে নাগরকিত্ব দেওয়া হল
  2. 'সংবিধানে রয়েছে, নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়', সাফ বার্তা শাহের
  3. দেশজুড়ে লাগু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আবেদন কীভাবে ? যোগ্য কারা ? রইল বিস্তারিত

ওয়াশিংটন, 19 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন এক মার্কিন সেনেটর ৷ ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকরের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন সেনেটর ৷ মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে দু'টি দেশের মধ্যে একই মূল্যবোধ থাকা উচিত, তা যে ধর্মই হোক না কেন ৷

11 মার্চ, 2024 তারিখে দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ ৷ এই আইন অনুযায়ী তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র- পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে সময়ে সময়ে বহু অ-মুসলিম শরণার্থী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছে ৷ 2014 সালের 31 ডিসেম্বর তারিখের আগে যাঁরা এই তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করাই 2019 সালের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের উদ্দেশ্য, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

লোকসভা ভোটের আগে এই আইন কার্যকর করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ এমনকী এই আইনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই ৷ এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না ৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও হিন্দুদের মতোই সমান অধিকার পাবে ৷

এদিকে এই সিএএ নিয়ে সেনেটর বেন কার্ডিন একটি বিবৃতি জারি করেছেন, "ভারত সরকারের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বিতর্কিত ৷ এই আইনে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আমি গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি ৷ এর সবচেয়ে খারাপ দিকটি হল, পবিত্র রমজান মাসে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে ৷" সেনেটর বেন কার্ডিন বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক সেনেট ফরেন রিলেসশন কমিটির চেয়ারম্যান ৷

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র ফলে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কেও প্রভাব পড়বে ৷ এই প্রসঙ্গটিও তিনি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ আমরা একে অপরকে যে সহযোগিতা করব তা আমাদের মধ্যের মূল্যবোধগুলির উপর নির্ভর করে ৷ আর এই মূল্যবোধগুলি যে কোনও ধর্মের মানবাধিকার রক্ষার জন্য ৷"

গত সপ্তাহে সিএএ লাগু হওয়ার পরেই তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৷ স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়, ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সমান আচরণ করাই গণতান্ত্রিক নীতির মৌলিক বিষয় ৷ এরপর ভারত সরকার ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের কড়া সমালোচনা করে ৷ ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তথ্য ভুয়ো তথ্যের উপর ভিত্তি করে এবং অযাচিত ৷

হিন্দু-প্যাক্টের সহ-আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেন, "সিএএ কোনও ভারতীয় নাগরিকের উপর প্রভাব ফেলবে না ৷ এই আইনের চরিত্র ধর্মনিরপেক্ষ নয় বলে দাগানো হয়েছে ৷ কিন্তু সেই তত্ত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় ৷ আমরা আমেরিকাবাসী হিসেবে হতাশ ৷ আমেরিকার মূল্যবোধকে সমর্থন না-করে আমাদের সরকার মানবিক প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. মোদিরাজ্যে পাকিস্তান থেকে আসা 18 হিন্দু শরণার্থীকে নাগরকিত্ব দেওয়া হল
  2. 'সংবিধানে রয়েছে, নাগরিকত্ব আইন কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়', সাফ বার্তা শাহের
  3. দেশজুড়ে লাগু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আবেদন কীভাবে ? যোগ্য কারা ? রইল বিস্তারিত
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.