রায়গঞ্জ, 21 ডিসেম্বর : রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মীদের পর এবার অতিথি অধ্যাপক সংগঠনের তরফে শুরু হল অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ । সংগঠনের দাবি, তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নির্দেশিকা মাফিক দেওয়া হয় না ৷ সেই কারণেই তারা বাধ্য হয়ে এই আন্দোলনে বসেছে ৷
অভিযোগ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষকরা সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলেও রায়গঞ্জ কলেজের অতিথি অধ্যাপক সে সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । তাঁরা বারবার করে কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে আলোচনা করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত তাঁদের জন্য নেওয়া হয়নি । এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত আংশিক এবং অতিথি শিক্ষকদের এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বললেও সে সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না তাঁরা ।
দীর্ঘদিন এই দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ফল মেলেনি । শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন তাঁরা । যতদিন পর্যন্ত না তাঁদের দাবি-দাওয়া মানা হবে একইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা ।
এই বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি রাজীব আলি মিনাজ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত আংশিক এবং অতিথি অধ্যাপকদের একইরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বললেও এতদিন পর্যন্ত আমরা তা পাইনি । আমরা এই দাবিতে আজ থেকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলাম । দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে । আমরা আমাদের ন্যায্য দাবিতেই আন্দোলন করছি ।
আরও পড়ুন :- "কাছাকাছি মনে হলেও, শনি ও বৃহস্পতি থাকছে 73 কোটি কিলোমিটার দূরে"
আন্দোলন প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল । তবে অতিথি লেকচারারদের বিষয়টি রায়গঞ্জ কলেজের সঙ্গে যুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত নয় । তবুও আমরা তাঁদের সমস্ত দাবিদাওয়া কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার পাঠিয়েছি । সেই বিষয়টি জানা সত্ত্বেও কেন তাঁরা এই অবস্থান ধর্মঘট করছে বুঝতে পারছি না । তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব । আমরা তাঁদের পাশেই আছি ।’’
