খড়গপুর, 29 নভেম্বর: দু’জনেই সংসারি, কিন্তু বাধ সাধল পরকীয়া ৷ ভালোবাসার টানে স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়ে সংসার পেতেছিলেন পবিত্রা নামে এক মহিলা ৷ কিন্তু, সেই জঙ্গলেই পবিত্রার দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক তরুণ সিংয়ের বিরুদ্ধে (Woman Body Recovered at Forest in Kharagpur) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর গ্রামীণের ভালুকমচা গ্রামে ৷ তবে, পুলিশের কাছে তরুণ দাবি করেছেন, তিনি পবিত্রাকে খুন করেননি ৷ এদিন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি থেকে পবিত্রার দেহ তোলা হয়েছে ৷ পুলিশ তরুণ সিংকে গ্রেফতার করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে খড়গপুর গ্রামীণের ভালুকমচা গ্রামের বাসিন্দা তরুণ সিংয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পবিত্রা ৷ তরুণ সিংয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে ৷ দুই পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হতেই, দু’জনে বাড়ি ছাড়েন ৷ জনবসতি এলাকা থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলে ঘর তৈরি করে সংসার শুরু করেন তরুণ এবং পবিত্রা ৷ আশেপাশের লোকজনের সঙ্গেও কথাবার্তা চলত তাঁদের ৷ কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে পবিত্রাকে আর দেখতে পাচ্ছিলেন না কেউ ৷ সন্দেহ হওয়ায় তরুণকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন স্থানীয়রা ৷ কিন্তু, তরুণের কথায় কোনও অসঙ্গতি পাননি তাঁরা ৷
কিন্তু, অনেকদিন হয়ে গেলেও পবিত্রাকে দেখতে না-পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয় ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ শুরুতেই তরুণ সিংকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় ৷ জিজ্ঞাসাবাদে তরুণের কথায় অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা ৷ তখনই তাঁকে চাপ দিতেই তরুণ জানান, পবিত্রার দেহ তিনি জঙ্গলে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন ৷ কিন্তু, তরুণ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি পবিত্রাকে খুন করেননি ৷ মৃত্যুর পর দেহ মাটিতে পুঁতেছেন শুধু ৷ এখানেই ধন্দে পড়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: নালন্দায় 4 প্রেমিকের সঙ্গে বৃদ্ধকে খুন ! গ্রেফতার মহিলা-সহ 5
এদিন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পবিত্রার দেহ মাটি থেকে তোলা হয়েছে ৷ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তবে, তরুণ যদি পবিত্রাকে না মেরে থাকেন, তাহলে তাঁর মৃত্যু কীভাবে হল ? সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিশকে ৷ তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে, বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷
