বিদ্যুৎ বাঁচাতে বাজারে স্মার্ট ডিমাবেল LED লাইট, সৌজন্যে CMERI

author img

By

Published : Sep 22, 2019, 4:22 PM IST

Updated : Sep 22, 2019, 8:12 PM IST

স্ট্রিট লাইট বা পথবাতির ক্ষেত্রে LED আলোর ব্যবহার নতুন বিষয় নয় । বিদ্যুৎ বাঁচাতে স্মার্ট ডিমাবেল LED লাইট তৈরি করল CMERI (সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইনজিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট) দুর্গাপুর । যার ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী তারা ।

দুর্গাপুর, 22 সেপ্টেম্বর : বিদ্যুৎ বাঁচাতে স্মার্ট LED তৈরি করল CMERI (সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট) দুর্গাপুর । অত্যাধুনিক সেন্সররের সাহায্যে যার ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী CMERI-এর বিজ্ঞানীরা । তাঁদের বক্তব্য, এই "স্মার্ট ডিমাবেল LED স্ট্রিট লাইট সিস্টেম"-এর জন্য প্রায় 60 শতাংশ বিদ্যুৎ বাঁচানো যাবে । তৈরির পর ছ'মাস পরীক্ষামূলকভাবে CMERI-র একটি কলোনিতে ব্যবহার করা হয় । সেখানে সফল হওয়ার পর গতকাল হাওড়ায় বেসরকারি একটি সংস্থার হাতে এগুলি তুলে দেওয়া হয় ।

স্ট্রিট লাইটের ক্ষেত্রে LED-র ব্যবহার নতুন বিষয় নয় । ডিমাবেল LED লাইট বিষয়টিও নতুন নয় । তবে, স্ট্রিট লাইটের ক্ষেত্রে ডিমাবেল LED-র ব্যবহার তুলনামূলক নতুন বিষয় । আর পাঁচটা LED-র তুলনায় কী কী আলাদা সুবিধা রয়েছে এই নয়া প্রযুক্তিতে?

এখন বাজারে বহু নামীদামি কম্পানির LED লাইট পাওয়া যায় । পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা এমনকী বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে গড়ে ওঠা স্যাটেলাইট টাউনশিপ থেকে বড় বড় আবাসনযুক্ত কলোনির রাস্তায় এখন LED লাইটের ব্যবহার হয়ে থাকে । ডিমাবেল LED এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ কমায় এটা মোটামুটি সকলেই জানে । সম্প্রতি তাই দেশজুড়ে এর কদর অনেকটাই বেড়েছে । দুর্গাপুরের CMERI-এর পাঁচজন বিজ্ঞানী গত একবছর ধরে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে আবিষ্কার করেছে এই "স্মার্ট ডিমাবেল LED স্ট্রিট লাইট সিস্টেম ।" এই LED লাইটগুলির সঙ্গে থাকছে একটি করে সেন্সর ডিভাইস । যে সেন্সর ডিভাইসের কারণে এই LED আলোগুলি আরও অতিরিক্ত 60 শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে সক্ষম । 100 মিটার দৈর্ঘ্যে ও 25 ফুট প্রস্থে এর সেন্সর কাজ করবে । এতে এমনি সময়ে আলোগুলি কম উজ্জ্বল থাকবে । একাধিক ক্ষেত্রে সেন্সরের কারণে সেটি জ্বলে উঠবে । কিছুক্ষণ স্থায়ী হয়ে ফের আলো কমে যাবে ।

ডিমাবেল প্রযুক্তির এই ডিভাইস বিদ্যুৎখুঁটির মাটি থেকে 10-12 ফুট উঁচুতে লাগাতে হবে । এইভাবে সব খুঁটিতে লাগানো সেন্সর ডিভাইসটি লাগানোর পর যেমন একটি সুইচ দিয়ে আলো জ্বালানো হয় সেভাবে সন্ধ্যায় জ্বালিয়ে দিতে হবে । এবার ডিভাইসে প্রোগ্রামিং করা যেতে পারে সময় । ঠিক কতক্ষণ এই আলো ডিম বা হালকা হয়ে থাকবে এবং কতোক্ষণ পুরোপুরি জ্বলবে সেটা পূর্বে নির্ধারিত করা যেতে পারে । ১০ সেকেন্ড, ২০ সেকেন্ড, ৩০ সেকেন্ড বা 40 সেকেন্ডের প্রোগ্রামিং হতে পারে । ধরা যাক যে ৩০ সেকেন্ডের প্রোগ্রামিং করা হয়েছে । তাহলে ৩০ সেকেন্ড পর এই LED আলোগুলি মৃদু আলো দেবে । এবার ওই রাস্তায় যখন কোনও ব্যক্তি যানবাহন নিয়ে অথবা হেঁটে যাবেন তখনই সেই আলোগুলির উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে ।

এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে । এদিকে, ডিভাইসগুলির সঙ্গে প্রোগ্রামিং করা থাকবে কিছু মোবাইল নম্বর । যাঁরা এগুলির দেখভাল করবেন তাঁদের নম্বর । যদি একটি কলোনির ৩ নম্বর স্ট্রিটের ১৬ নম্বর খুঁটির আলো না জ্বলে তাহলে 1 নম্বর ফোন নম্বর যেটা দেওয়া থাকবে তাতে মেসেজ যাবে যে ওই বাতি জ্বলছে না । যদি ওই ব্যাক্তি তা দেখেও না ব্যবস্থা নেন তাহলে দ্বিতীয় অর্থাৎ ওই ব্যক্তির ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির মোবাইলে এবং তার সাত দিন পর ওই দুই ব্যক্তির আরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মোবাইলে মেসেজ যাবে । অর্থাৎ কেউ গিয়ে অভিযোগ না জানালেও অভিযোগ চলে যাবে । জেনে যাবে কর্তৃপক্ষ ।

দেখুন ভিডিয়ো

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই LED আলোর ফাইল গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্ণধারের হাতে । দুর্গাপুরের CMERI-এর পাঁচজন বিজ্ঞানীর একবছরের এই গবেষণায় খরচ হয়েছে মাত্র তিন লাখ । তৈরি করার পর প্রথম ছ'মাস সেগুলি পরীক্ষার জন্য লাগানো হয় দুর্গাপুরের CMERI কলোনির রাস্তায় ।

শীঘ্রই এই অত্যাধুনিক LED বাজারে এলে বাজিমাত করবে বলে আশাবাদী CMERI -এর ডিরেক্টর ডঃ হরিশ হিরানি । তাঁর মতে, "এখন দেখার স্ট্রিট লাইটের এই নয়া মডেল দেশকে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচানোর ক্ষেত্রে নয়া পথ দেখাতে পারে কি না । ব্যাটারিতেও চালানো যাবে এই 20 ওয়াটের আলো এবং আগামীদিনে সৌরবিদ্যুতের সাহায্যেও চালানো যায় কি না তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে ।"

Intro:দেশে সর্বপ্রথম দুর্গাপুরের সি এম ই আর আই এর বিজ্ঞানীরা ""স্মার্ট ডিমাবেল এল ই ডি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম"" এর আবিষ্কার করে তাক লাগালো।এই অত্যাধুনিক এল ই ডি পথবাতির প্রযুক্তি শনিবার হাওড়া বেসরকারি একটি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হল আনুষ্ঠানিকভাবে।কিন্তু আর পাঁচটা এল ই ডি পথবাতির তুলনায় কি কি আলাদা সুবিধা রয়েছে এই নয়া প্রযুক্তিতে?
এতদিন পর্যন্ত আমরা বাজারে বহু নামী দামী কোম্পানির এল ই ডি ল্যাম্প দেখেছি।এই এল ই ডি ল্যাম্প বিদ্যুৎ খরচ কমায় এটা মোটামুটি সকলেই জানে।সম্প্রতি তাই দেশজুড়ে এল ই ডি আলোর কদর বেড়েছে।পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা এমনকি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে গড়ে ওঠা স্যাটেলাইট টাউনশীপ থেকে বড় বড় আবাসনযুক্ত কলোনির রাস্তায় এখন এল ই ডি আলোর ব্যাবহার।কিন্তু দুর্গাপুরের সি এম ই আর আই এর ৫ জন বিজ্ঞানী গত একবছর ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে আবিষ্কার করেছে "" স্মার্ট ডিমাবেল এল ই ডি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম ""। এই এল ই ডি পথবাতিগুলির সাথে থাকছে একটি করে সেন্সর ডিভাইস।যে সেন্সর ডিভাইসের কারনে এই এল ই ডি আলোগুলি আরও অতিরিক্ত ৬০℅ বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে সক্ষম।এই সেন্সর অর্থাৎ ডিমাবেল প্রযুক্তি র এই ডিভাইস বিদ্যুতখুঁটির মাটি থেকে ১০-১২ ফুট উঁচুতে লাগাতে হবে এইভাবে সব খুঁটিতে লাগানো এই সেন্সর ডিভাইস লাগানোর পরে যেমন একটি সুইচ দিয়ে আলো জ্বালানো হয় সেভাবে সন্ধ্যায় জ্বালিয়ে দিতে হবে।এরপরে ওই ডিভাইসে প্রোগ্রামিং করা ১০ সেকেন্ড,২০ অথবা ৩০ সেকেন্ডের প্রোগ্রামিং করা থাকবে।মনে করা হল ৩০ সেকেন্ডের প্রোগ্রামিং করা।তাহলে ৩০ সেকেন্ড পরে এই এল ই ডি পথবাতিগুলি মৃদু আলো দেবে।এবার ওই পথে যখন কোনও ব্যাক্তি যানবাহন নিয়ে অথবা পায়ে হেঁটে পারাপার করবেন তখনই সেই পথ বাতিগুলির আলো বেড়ে যাবে।এই ডিভাইসে প্রোগ্রামিং করা আছে যাতে করে রাস্তা দিয়ে কোনও জীবজন্তু গেলে এই আলোগুলি পুর্নমাত্রায় না জ্বলে ওঠে।এতে করে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবে।অন্যদিকে এই পথবাতির আরো একটা আকর্ষন হতে চলেছে যে এই ডিভাইসের সাথে প্রোগ্রামিং করা থাকবে কিছু মোবাইল নাম্বার।যারা এই পথবাতি দেখভাল করবেন তাদের।মনে করুন একটি কলোনির ৩ নম্বর স্ট্রিট এর ১৬ নম্বর খুঁটির পথবাতি জ্বলছে না তাহলে ১ নম্বর ফোন নাম্বার যেটা দেওয়া থাকবে তাতে ম্যাসেজ যাবে যে ওই বাতি জ্বলছে না।যদি ওই ব্যাক্তি তা দেখেও না ব্যবস্থা গ্রহন করেন তাহলে দ্বিতীয় অর্থাৎ ওই ব্যাক্তির উর্ধ্বতন ব্যাক্তির মোবাইলে এবং তার সাত দিন পরে এই দুই ব্যাক্তির আরো উর্ধ্বতন ব্যাক্তির মোবাইলে ম্যাসেজ যাবে।অর্থাৎ কেও অভিযোগ না জানালেও অভিযোগ জানতে পারবেন।অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই এই ই ডি আলোর প্রযুক্তির ফাইল আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হল হাওড়া র একটি বেসরকারি সংস্থার কর্নধারের হাতে।দুর্গাপুরের সি এম ই আর আই এর পাঁচজন বিজ্ঞানীদের একবছরের এই গবেষণায় খরচ হয়েছে তিনলক্ষ টাকা।প্রথম ৬ মাস তৈরি করার পরে তার পরীক্ষার জন্য লাগানো হয় দুর্গাপুরের সি এম ই আর আই কলোনির রাস্তায়।বিজ্ঞানীরা আজ খুশি তাদের আবিষ্কৃত এই প্রযুক্তি র ফাইল আজ তুলে দেওয়া হল একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে। শীঘ্রই এই অত্যাধুনিক এই ই ডি পথবাতি বাজারে এলে বাজিমাত করবে বলে আশাবাদী সি এম ই আর এই ডাইরেক্টর ডঃ হরিশ হিরানী।এখন দেখার পথবাতির এই নয়া মডেল দেশকে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচানোর ক্ষেত্রে নয়া পথ দেখাতে পারে কিনা। ব্যাটারী তেও চালানো যাবে এই ২০ ওয়াটের পথবাতি এবং আগামীদিনে সৌরবিদ্যুতের সাহায্যেও এই অত্যাধুনিক পথবাতির প্রচলনের আবিষ্কার এই জন্য কাজ চালাচ্ছেন।।Body:হConclusion:হ
Last Updated :Sep 22, 2019, 8:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.