ETV Bharat / state

School Headmaster: চেক জালিয়াতি করে স্কুলের টাকা নয়ছয়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 14, 2023, 7:43 PM IST

School Headmaster
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক

চেক জালিয়াতি করে স্কুলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ নথি চেয়ে পাঠাল স্কুল পরিদর্শক ৷ চেকে লেখা টাকার পরিমান বাড়িয়ে কারচুপির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ।

চেক জালিয়াতি করে স্কুলের টাকা নয়ছয়

আসানসোল, 14 সেপ্টেম্বর: চেক লেখা হয়েছিল 9 হাজার এবং 36 হাজার 250 টাকা । কিন্তু চেক জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হল 29 হাজার এবং 2 লক্ষ 36 হাজার 250 টাকা । স্কুলের টাকা নয়ছয়ের এমনই অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল পৌরনিগম এলাকায় ৷ অভিযুক্ত বাবুতালাউ নজরুল প্রাথমিক মুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আলম কাদরি ৷ তিনি আসানসোল পৌরনিগমের 23 নম্বর ওয়ার্ডের এডুকেশন এবং হেলথ কমিটির সম্পাদক তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন 23 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা এডুকেশন ও হেলথ কমিটির সভাপতি সিকে রেশমা ।

জানা গিয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ডের স্কুলগুলিকে নিয়ে একটি এডুকেশন ও হেলথ কমিটি গঠন করা হয় । এই ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক থাকেন যেকোনও একটি স্কুলের বরিষ্ঠ প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি হন ওই এলাকার কাউন্সিলর । সর্বশিক্ষা মিশনের যে সমস্ত টাকা আসে তা এই ওয়ার্ড কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয় এবং সেই টাকা তোলার জন্য সাক্ষর লাগে ওয়ার্ড এডুকেশন হেলথ কমিটির সম্পাদক এবং সভাপতির । সিকে রেশমার কথায়, কয়েকদিন আগে একটি রেজুলেশন করে 9 হাজার এবং 36 হাজার 250 টাকা তোলার জন্য দুটি চেকে তিনি সই করেন ৷ এরপর সেই চেক সই করার জন্য এই ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক সৈয়দ আলম কাদরিকে দেওয়া হয় । তিনিই প্রতিবার টাকা তুলে নিয়ে আসেন । কিন্তু তিনি পরে জানতে পারেন চেকে যে টাকা লেখা হয়েছিল তার তুলনায় অনেক বেশি নাকি তুলে নেওয়া হয়েছে ।

ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি বলেন, "এরপর আমি ব্যাংকে যোগাযোগ করে জানতে পারি 36 হাজার 250 টাকা যে চেক লেখা হয়েছিল তাতে জালিয়াতি করে 2 লক্ষ 36 হাজার 250 টাকা তোলা হয়েছে এবং 9 হাজার টাকা যে চেকে লেখা হয়েছিল সেটা থেকে 29 হাজার টাকা তোলা হয়েছে । চেক দেখলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে কীভাবে জালিয়াতি করা হয়েছে ।" যদিও সৈয়দ আলম কাদরি ওয়ার্ড এডুকেশন এবং হেলথ কমিটির সম্পাদক বলেই ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনও সন্দেহ করা হয়নি বলে দাবি করেন সিকে রেশমা । বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আসানসোল উত্তর থানায় এবং স্কুল পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি । আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।

আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতি! সল্টলেকে ইডি দফতরে পৌঁছলেন সাংসদ নুসরত জাহান

অন্যদিকে স্কুল পরিদর্শক সন্দীপ কোঁড়া বলেন, "আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে সমস্ত নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র নিয়ে দু'দিনের মধ্যে সশরীরে আসতে বলেছি । তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ৷ আমরা সমস্ত তদন্ত রিপোর্ট উচ্চ অধিকারীদের কাছে পাঠিয়ে দেব ।" অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই ওয়ার্ড এডুকেশন ও হেলথ কমিটির সম্পাদক সৈয়দ আলম কাদরির বক্তব্য, "উনি কী অভিযোগ করছেন আমি সে বিষয়ে কিছু বলব না । জানিও না । আমি সমস্ত ব্যাংকের কাগজপত্র নিয়ে স্কুল পরিদর্শকের কাছে গিয়ে জবাব দেব ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.