CID Inquiry in Fake Recruitment Case: ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের মামলায় বহরমপুরে শিক্ষা দফতরে হানা সিআইডির

author img

By

Published : Jan 22, 2023, 2:05 PM IST

CID

ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের মামলায় শনিবার সিআইডির দল যায় বহরমপুরের শিক্ষা দফতরে (CID Inquiry in Fake Recruitment Case) ৷ দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে ৷ কলকাতা হাইকোর্টের এক চাকরি প্রার্থীর মামলার পরে গোঠা বিদ্যালয়ে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা সামনে আসে ৷

বহরমপুরে শিক্ষা দফতরে হানা সিআইডির

বহরমপুর, 22 জানুয়ারি: ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের মামলায় (Fake Teacher Recruitment Case) বহরমপুরে শিক্ষা দফতরে তদন্ত চালাল সিআইডির দল (CID Team) । শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হল তদন্ত । দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । সিআইডি স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অনিমেষ সরকার বলেন, "বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে । তদন্ত চলছে ।" সিআইডি দল আসতে পারে এমন খবর শুক্রবার থেকেই বাতাসে ভাসছিল । তার জেরে সারাদিনই শিক্ষা ভবন থমথমে ছিল ।

শনিবার জেলা শিক্ষা দফতরে বর্তমান কর্মী ও আধিকারিকদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক ও কর্মীদের হাজির থাকতে বলেছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল । তিনি বলেন, অনিমেষ তিওয়ারি ও তাঁর বাবা তথা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সুতি থানায় আমি এফআইআর দায়ের করেছিলাম । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত চলছে ।"

সূত্রের খবর, নিয়োগ নথি জাল করে মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি করছিলেন এক ভুয়ো শিক্ষক । ওই ভুয়ো শিক্ষকের নাম অনিমেষ তিওয়ারি । তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি ওই বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষক । কলকাতা হাইকোর্টের এক চাকরি প্রার্থীর মামলার জেরে এমন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে । অনিমেষ কর্মশিক্ষার শিক্ষক হিসেবে বছর তিনেক ধরে ওই বিদ্যালয়ে চাকরি করলেও মেধা তালিকায় তার নাম ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে ।

জানা গিয়েছে, 2019 সালে গোঠা বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে নিয়োগের অনুমোদন দেন তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস । ওই মেমোতেই নিজের ছেলের নাম নিয়োগপত্রে জালিয়াতি করে ঢুকিয়ে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি । ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে অনিমেষ তিওয়ারি চাকরি পান । কীভাবে জাল নিয়োগপত্র তৈরি হল, এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে শিক্ষা দফতরকে । একজন ভুয়ো শিক্ষক, কোন বৈধ অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দিনের পর দিন বেতন পেলেন । এমনকী অনলাইনে বেতন হলেও কীভাবে একই মেমো নম্বরে দু'জন শিক্ষকের বেতন হল ৷ তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী দলকে । এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে শনিবার সিআইডি দল পৌঁছে যায় বহরমপুর শিক্ষা ভবনে । যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তৎকালীন বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস ।

আরও পড়ুন: মর্জিমাফিক বদলি পাবেন না শিক্ষকরা, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.