কলকাতা, 22 নভেম্বর: দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) নামে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করায় জাতীয় স্তরে মুখ পুড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক আখিল গিরি । ক্ষমা চেয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । এরকম পরিস্থিতিতে বামপন্থী আদিবাসী সংগঠনগুলি কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) পদত্যাগের দাবিতে অনড় (Protest Against Akhil Giri Statement) । তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের মন্ত্রী যেভাবে রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণ করেছেন তা অগণতান্ত্রিক । পিছিয়ে পড়া আদিবাসী জনজাতির আইনি সম্মান ক্ষুন্ন করেছে । অথচ, অভিযুক্ত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করল না । বরখাস্ত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত মন্ত্রীকে ।
প্রাক্তন সাংসদ ও সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা আদিবাসী জনজাতি সংগঠনের নেতা রামচন্দ্র ডোম বলেন, "মন্ত্রী অখিল গিরির গ্রেফতার হওয়া উচিত । তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত । রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি । অথচ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা ৷ কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকারের প্রতিনিধিরা ব্রাহ্মণ্যবাদের পক্ষে । এই দুই সরকারের নানান পদক্ষেপে তা স্পষ্ট ।"
রামচন্দ্র ডোম আরও বলেন, "স্বাধীনতার 75 বছরেও আদিবাসীরা এখনও নিজেদের ন্যায্য অধিকার, সংরক্ষণ থেকে বঞ্চিত । অথচ, দুই সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে বেড়াচ্ছে যে তারা আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের জন্য বিশাল কিছু করেছে । ওই কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপনগুলি অন্তঃসার শূন্য ।"
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা আদিবাসী নেতা পুলিন বিহারী বাস্কে বলেন, "দেশের সংবিধান প্রণেতা পিছিয়ে পড়া সমাজের ছিলেন । কিন্তু, স্বাধীনতার 75 বছরেও এই পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কেন্দ্র-রাজ্য কোনও সরকারই কিছুই করেনি । বীরভূমে দেউচা পাচামিতে আদিবাসীদের উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে রাজ্য সরকার । যার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি । আজকের রাজ্য সমাবেশে আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া জনজাতির আরও 27 দফা দাবির কথা তুলে ধরা হচ্ছে । আদিবাসীদের স্বার্থে আমাদের সংগ্রাম চলবে ।"
আরও পড়ুন: আদিবাসী গ্রাম দত্তক নিল মালদা মেডিক্যাল ! গ্রামবাসীদের লালন করবেন ভাবী ডাক্তার'রাই
এদিন ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিউনিউয়ে তিনটি অদিবাসী সংগঠনের ডাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসে । আদিবাসীদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হয় । নাচ, গান, কবিতার মাধ্যমে আদিবাসী, তফসিলি জনজাতির মানুষ নিজেদের দাবি দাওয়ার কথা তুলে ধরেন ।