কলকাতা, 23 জুন : তিনি সাংসদ ৷ তার ওপর শাসক দলের ৷ স্বাভাবিক ভাবেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ৷ ক্যাম্পে আমন্ত্রিত হয়ে টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করেছিলেন তিনি ৷ নিজেও টিকা নিয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) ৷ বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও এসএমএস না আসায় সন্দেহ হয় সাংসদের ৷ তখনই স্থানীয় বিধায়ক জাভেদ খানকে বিষয়টি জানান ৷ পাশাপাশি বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠকে টিকা কেন্দ্রের খোঁজ নিতেও পাঠিয়েছিলেন ৷ তারপরই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে ৷ জানা যায়, গোটা ক্যাম্পটাই ভুয়ো ৷ শুধু তাই নয়, ক্যাম্পের উদ্যোক্তা, যিনি নিজেকে কলকাতা পৌরসভার জয়েন্ট কমিশনার বলে পরিচয় দিয়েছেন, তিনিও ভুয়ো !
একেই তো ভুয়ো ক্যাম্প ৷ তার ওপর আবার ভুয়ো আইএএস ৷ সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিজ্ঞতার কথা নিজেই জানালেন ৷ মিমি বলেন, "আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ৷ বলা হয় যে, কলকাতা পৌরনিগমের জয়েন্ট কমিশনারের উদ্যোগে তৃতীয় লিঙ্গ, বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য একটা ক্যাম্প করা হচ্ছে ৷ আমাকে বলা হয়, আমি ওই ক্যাম্পে গেলে ওঁদের ভাল লাগবে ৷ আমি বললাম, আমি গেলে যদি ওঁদের ভাল লাগে তাহলে আমি অবশ্যই যাব ৷ আমি যাই-ও ৷ ওখানে আমি নিজেও ভ্যাকসিন নিয়েছি ৷ আমাকে ভ্যাকসিন নিতে দেখে লোকে যাতে উৎসাহী বোধ করেন, ভ্যাকসিন নেন তাই আমি নিজেও ভ্যাকসিন নিলাম ৷"
ভ্যাকসিন নেওয়া হলেও, মেসেজ না পেয়েই খটকা লাগে যাদবপুরের সাংসদের ৷ উদ্যোক্তাদের কাছে সার্টিফেকেটের খোঁজও করেন তিনি ৷ তখন তাঁকে বলা হয়, তিনি বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে তিনি সার্টিফেকেট পেয়ে যাবেন ৷ মিমি বলেন, "আমার বাড়ি যেহেতু ওই ক্যাম্প থেকে কাছেই, তাই আমি বাড়ি চলেও আসি ৷ কিন্তু সার্টিফিকেট না পেয়ে আমি আবার ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি ৷ আমার অফিসের লোকজন গিয়ে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে দেখা করে সার্টিফিকেটের জন্য ৷ তখন আবার ওঁদের বলা হয় যে তিন-চারদিনের মধ্যে আমার সার্টিফিকেট আসবে ৷ কিন্তু সার্টিফিকেট পেতে তো এত সময় লাগার কথাই নয় ৷ তখন আমি খোঁজ নিই বাকিদের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কি না, মেসেজ এসেছে কি না ৷ দেখা যায় কারোরই সে সব কিছুই হয়নি ৷ তখন বুঝতে পারি যে গোটা জিনিসটাই ভুল দিকে যাচ্ছে ৷ তখনই আমি গোটা বিষয়টি বন্ধ করে দিই ৷ এবং তৎক্ষণাৎ পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তাকে গ্রেফতার করাই ৷"
আরও পড়ুন : ভুয়ো টিকাকরণ শিবির থেকে ধৃত ভুয়ো আইএএস আধিকারিক