কাঁথি, 21 সেপ্টেম্বর: কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং নির্মাণের দুর্নীতির মামলা (College Corruption Case) এবার তদন্তভার গেল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসকের (DM of Purba Medinipur) হাতে। কাঁথি থানার পুলিশের হাত থেকে উচ্চপর্যায়ে তদন্তের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলা উঠলে, তা তদন্তের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি 4 নভেম্বরে মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সৌমেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ বহাল থাকবে বলে জানান।
কলেজের বিল্ডিং দুর্নীতি মামলায় প্রথম সারির অভিযুক্তদের তালিকায় নাম উঠে আসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা কাঁথি পৌরসভার দু'বারের পৌরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর। তিনি কাঁথি কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন। কলেজের বিল্ডিং দুর্নীতির মামলায় তদন্তের শুরু করে কাঁথি থানার পুলিশ। আগেই কাঁথি থানার তদন্তকারীরা কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আরও পড়ুন: এবার জেলেই পুজো কাটবে পার্থ-কল্যাণের
কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে অনেক নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে কাঁথি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং নির্মাণ দুর্নীতি নিয়ে কাঁথি আদালতে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আবু সোহেল। কাঁথি মহাকুমা আদালত থেকে সেই মামলা কাঁথি থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় তদন্তের জন্য। এরপর তদন্ত শুরু করে কাঁথি থানার পুলিশ ৷ এই মামলায় গ্রেফতারের আশঙ্কা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।
কলকাতার হাইকোর্ট সৌমেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেন। আদালত বলে তদন্ত চলতে পারে কিন্তু সৌমেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করতে পারবেন না পুলিশ। মামলাকারী তথা পেশায় আইনজীবী আবু সোহেল বলেন, "উচ্চপর্যায়ে তদন্তের জন্য কলকাতার হাইকোর্টের বিচারক পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত হলে অনেক রাঘববোয়াল এই ঘটনায় গ্রেফতার হবে। তদন্ত করে উপযুক্ত দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।"
আরও পড়ুন: বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু
কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, "কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তের জন্য জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু মন্তব্য করব না । যদিও এ বিষয়ে সৌমেন্দু অধিকারীর ও অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।"