কলকাতা, 4 জুলাই: গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, এই রোগের অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু যে হারে রোগী বেড়ে চলেছে তাতে সময় মতো অস্ত্রোপচার প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে। তবে এবার সেই সমস্যা সমাধান ঘটল। চলতি মাসের দুটো দিন যে সমস্ত রোগীরা গলব্লাডারে পাথরের জন্য অস্ত্রোপচার করানোর কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য অভিনব সুযোগ আনল এমআর বাঙুর হাসপাতাল।
এমআর বাঙুর হাসপাতালের অভিনব এই প্রচেষ্টার সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন অফ মিনিমাল এক্সেস সার্জনস অফ ইন্ডিয়া (ইস্ট জোন চ্যাপ্টার) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল চ্যাপ্টার অফ অ্যাসোসিয়েশন অফ সার্জনস অফ ইন্ডিয়া। সরকারি হাসপাতালে 2 টাকায় অস্ত্রোপচার হলেও, বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করতে বাংলার সেরা সার্জনদের এক জোট হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এমআর বাঙুর হাসপাতালে জুলাই মাসের 11 ও 12 তারিখ বিনামূল্যে রোগীরা করাতে পারবেন গলব্লাডারের অস্ত্রোপচার।
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রায় 10 থেকে 12 জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই অস্ত্রোপচার কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন," বর্তমানে গলব্লাডারের পাথরের সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা যায় ৷ বর্তমানে জেলায় মাইক্রো সার্জারি করা হলেও এমআর বাঙুর হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচারের জন্য উন্নত মানের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই চাপ এত বেশি হয় যে বহু মানুষ অস্ত্রোপচারের দিন না পেয়ে অপেক্ষায় থাকেন। তাই এই সমস্যা দূর করতে এই ধরণের পরিকল্পনা নিয়েছি।"
আরও পড়ুন: শরীরে যকৃতের বিপরীত অবস্থান! দোসর ক্যানসার; নীলরতনে সম্পন্ন জটিল অস্ত্রোপচার
বর্তমানে গলব্লাডারে পাথরের অস্ত্রোপচার করতে ব্যবহার হয় ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি। অতএব, নাভির পাশে ফুটো করে ছোট একটা ক্যামেরাকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। এরপর তিনটে ছোট ফুটো করে পেটের মধ্যে প্রবেশ করানো হয় সার্জিক্যাল সরঞ্জাম। কিছুক্ষণের মধ্যে গলব্লাডারকে লিভার থেকে ছিন্ন করে, পিত্তনালী ও রক্তনালীর সংযোগ কেটে দেওয়ার পর নাভির ফুটো দিয়ে সেটাকে বের করে আনেন দক্ষ চিকিৎসক। এই পদ্ধতিতেই অপারেশন করবেন চিকিৎসকরা। যাঁরা অস্ত্রোপচার করাতে ইচ্ছুক তাঁদের অবশ্যই এমআর বাঙুর হাসপাতালে ওপিডিতে এসে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। 4 তারিখ থেকে শুরু হয়েছে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ ৷ চলবে 8 জুলাই পর্যন্ত ৷