Deaf and Dumb School বন্ধ সরকারি তহবিল, ঝাড়গ্রামে অন্ধকারে মূক ও বধিরদের স্কুল

author img

By

Published : Aug 24, 2022, 3:42 PM IST

Jhargram Deaf and Dumb School

অনিশ্চয়তার মুখে মূক ও বধিরদের জন্য এলাকার একমাত্র স্কুলটি ৷ এখানে যারা আসে, তারা কথা বলতে পারে না, শুনতেও পায় না ৷ তাদের জন্য বেতন ছাড়া কোনও রকমে স্কুল চালাচ্ছেন শিক্ষকেরা ৷ তবে আর কতদিন এভাবে চলবে তা কেউ জানে না (Deaf and Dumb School) ৷

ঝাড়গ্রাম, 24 অগস্ট: মূক ও বধির শিশুদের পঠনপাঠনের জন্য বিদ্যালয়টি আজ আর্থিক তহবিলের অভাবে ধুঁকছে । যে কোনও দিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এর দরজা ৷ এই অঞ্চলে এটি মূক ও বধিরদের জন্য শিক্ষার একমাত্র কেন্দ্র । শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাগ্রতা ও এলাকার কয়েকজনের সহযোগিতাই বাঁচিয়ে রেখেছে শেষ আশাটুকু । (Jhargram Deaf and Dumb School facing economical crisis appeals to Government for help) ।

ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবায়তনে রয়েছে মূক ও বধির শিশুদের পঠন-পাঠনের জন্য সেবায়তন কল্যাণ কেন্দ্র । 1992 সালে সমাজসেবী পাঁচকড়ি দে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে স্কুলটির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । কেন্দ্র সরকারের দীনদয়াল উপাধ্যায় স্কিমের আওতায় বিদ্যালয়টি আর্থিক সহায়তাও পেত । ধীরে ধীরে তা অঞ্চলবাসীর মনে জায়গা তৈরি করে নেয় ।

অর্থাভাবে ভুগছে ঝাড়গ্রামের মূক ও বধিরদের স্কুল

আরও পড়ুন: খড়কুটোর ঘরে শুধুই ভোট চাওয়া, প্রত্যয়ের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠার স্বপ্নে বুঁদ বাচ্চারা

সেবায়তন, ঝাড়গ্রাম, লালগড়, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, বেলপাহাড়ি, শিলদা-সহ পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু কথা বলতে না-পারা এবং শুনতে না-পারা ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে থেকে পড়াশোনা করে গিয়েছে । কিন্তু করোনাকালে সব কেমন বদলে গেল । বিদ্যালয়ে প্রায় 20 জন শিক্ষক ছিলেন । 135 জন মূক ও বধির ছাত্র-ছাত্রী হস্টেলে থেকে পড়াশুনো করত । করোনার কারণে প্রায় দু'বছর বন্ধ ছিল বিদ্যালয় । চলতি বছরের 7 জুলাই মাত্র 32 জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ফের শুরু হয় ক্লাসঘর । শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যাও কমে হয়েছে 11 ৷

স্কুলের দাবি, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা আসে না ৷ পাশে নেই রাজ্য সরকারও ৷ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা মাইনে তো দূরের কথা, কোনও রকম সাম্মানিকও পান না । উলটে তাঁরা কেউ কেউ নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে এবং এলাকার সমাজসেবীদের সাহায্য নিয়ে কোনওক্রমে বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন । বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিমান রায় বলেন, "বর্তমান সময়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই । আমরা শিক্ষকরা কেউ বেতন পাই না ৷ কয়েকজনের অর্থ সাহায্যে বিদ্যালয়টি চলছে । এই বিশেষ বিদ্যালয়টির জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করতে আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব।"

আরও পড়ুন: মালিয়াড়ায় মূক ও বধির ভাইবোনের দিন কাটে ভিক্ষায়, জোটেনি সরকারি সাহায্য

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.