চণ্ডীতলা, 3 নভেম্বর : হুগলির চণ্ডীতলায় রহস্যজনকভাবে খুন হল এক যুবক । এদিকে পুলিশকে না জানিয়ে মৃতদেহ দাহ করার চেষ্টা করে পরিবার । খবর পেয়ে দেহ আটক করে পুলিশ । আজ মৃতদেহ শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ । মৃতের নাম ভক্তিভূষণ বাগ (35) । গতকাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ চণ্ডীতলার কানাইডাঙায় গুলিবিদ্ধ হয় সে । তবে কী কারণে এই খুন তা পরিষ্কার নয় । এদিকে মৃতের বাবা ও স্ত্রী মৃত্যুর দুরকম কারণ বলায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক ।
জানা গেছে, সোমবার বেলুড়ে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিল মৃত যুবকের পরিবার । তবে ভক্তিভূষণের স্ত্রী বাড়িতে ছিল । বাইরে বেরোলেও পরে বাড়ি ফিরে আসে ওই যুবক । জানা গেছে, বাড়ির সামনে একটি মারুতি ভ্যান আসে । সেখানে থেকে কেউ বা কারা বাড়ির কাছেই তাকে মাথায় গুলি করে । এখানেই ধন্দে পড়েছে পুলিশ । কারণ মৃতের স্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খাটের মধ্যে শোয়া অবস্থায় স্বামীকে মৃত দেখেন তিনি । কোনও গুলির আওয়াজও পাননি । পরিবারের লোকজন আহত যুবককে ডানকুনির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায় । ততক্ষণে মৃত্যু হয় ওই যুবকের ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে দাহ করার চেষ্টা করে যুবকের পরিবার । খবর পেয়ে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ মৃতদেহ আটক করে । মৃত যুবকের পরিবার পুলিশকে জানায়, মাথায় শাবলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ছেলের । যদিও পুলিশ মৃতের মাথায় গুলির চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হয়, গুলি করেই খুন করা হয়েছে ভক্তিভূষণকে । কেন গুলি করে খুন করা হল ওই যুবককে? পরিবারের লোকেরাই বা কেন চেপে যেতে চাইল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়া ও লোন করে দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তোলার অভিযোগ ছিল । বাড়িতে ফটো শপের কাজ করলেও নিজেকে WBCS অফিসার পরিচয় দিয়ে এসব কাজ করত সে । সম্প্রতি শিয়াখালায় একটি বার লিজ নিয়েছিল । সেটিও বন্ধ হয়ে যায় । তবে পরিবারের লোকজন ভক্তিভূষণের এই কাজকর্মের বিষয়ে অবগত ছিল না বলেই জানিয়েছে । তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ ।
