Sambhu Samanta : নিজের স্বপ্নপূরণ হয়নি, সবুজ গালিচাতেই বাচ্চাদের জীবন গড়তে বদ্ধপরিকর 'টোটোচালক' শম্ভু

author img

By

Published : Jun 23, 2022, 9:51 PM IST

Sambhu Samanta News

গরিব ঘরের ছেলেদের ফুটবল শেখানো লক্ষ্য মানকুণ্ডুর শম্ভু সামন্তের ৷ টোটো চালিয়ে ফুটবল কোচিং চালান তিনি ৷ খেলা শেখানোর পাশাপাশি বাচ্চাদের বিভিন্ন খাওয়ার ব্যবস্থা করেন শম্ভু (Sambhu Samanta runs Football Coaching Centre at his own expense) ৷

মানকুণ্ডু, 23 জুন : টোটো চালিয়ে ফুটবল কোচিং চালান মানকুণ্ডুর শম্ভু সামন্ত । গরিব ঘরের ছেলেদের ফুটবল শেখানোই লক্ষ্য তাঁর । বাবা-মা নেই জীবনে পড়াশোনা খেলাধুলা কিছুই হয়নি ৷ চায়ের দোকানে কাজ করে, রিক্সা চালিয়ে জীবন শুরু ৷ বর্তমানে ভাড়ার টোটো চালিয়ে বাচ্চাদের জীবন গড়ার কারিগর হতে চান তিনি ।

মানকুণ্ডর মনসাতলা বজরঙ্গবলী মাঠেই ফুটবল কোচিং সেন্টার খুলেছেন শম্ভু । সেখানেই ছোটো ছোটো ছেলেদের নিয়ে বিকেল থেকে ফুটবলের আসর বসান তিনি । মানকুণ্ডুর একটি ভাড়া বাড়িই আপাতত তাঁর ঠিকানা। শম্ভুর হাত ধরে বেশ কিছু খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে । তাঁর লক্ষ্য আগামিদিনে গরীবে পরিবারের ছেলেদের খেলোয়াড় তৈরি করা । বাবার পয়সা না-থাকা ছেলেদের পাশে দাঁড়াতে চান শম্ভু । তাঁর জন্য সকলের সমান অধিকারের লড়াইয়ের জন্য লড়ছেন তিনি ৷ নিজের আর্থিক অনটনের মধ্যেও সমস্ত টাকা ফুটবল কোচিংয়ের জন্য ব্যয় করে চলেছে ৷

আরও পড়ুন : খেলার জগতে আত্মপ্রকাশ মতুয়াদের, জার্সি উদ্বোধন ‘মতুয়া মিলন বীথি’ ফুটবল ক্লাবের

কোচ শম্ভু সামন্ত বলেন, "ছোটবেলা থেকে খেলাধুলোর শখ ছিল ৷ আমার বাবা-মা ছোট থেকেই নেই ৷ ফুটপাতে মানুষ আমি ৷ খেলাধুলা করতে পারিনি চন্দননগরের আজাদ সংঘ মাঠে খেলাধুলা দেখতে যেতাম । চায়ের দোকানে লোকের বাড়িতে কাজ করতাম খাওয়ার জন্য । এসব করেও ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ছিল । খেলতে যেতাম প্রতিদিন । খেলার জন্য প্রয়োজন খাবার । আমার কেও না-থাকায় বাধ্য হয়ে খেলাধুলাও ছাড়তে হয় । পড়াশোনাও হয়নি । খুব ছোটবেলা থেকে রিক্সা চালিয়ে খেলাধুলা করতাম । কিন্তু বেশিদিন টেনে নিয়ে যেতে পারিনি ৷ তারপর থেকেই প্রতিজ্ঞা করি যারা টাকার অভাবে খেলাধুলা করতে পারছে না, তাদের সাহায্য করব । প্রতিদিন টোটো চালিয়ে যেটা বাঁচে সেটা দিয়ে বল, জার্সি কিনে দিই এদের । যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব ।"

ছোটো দেবজিৎ পাসওয়ান বলে, "স্যর আমাকে দেখে মায়ের সঙ্গে কথা বলে । আমরা ফুটবল খেলার সঙ্গে সঙ্গে ছোলা, দুধ কিনে খাওয়ান আমাদের স্যার । বাবা ইলেক্ট্রিকের কাজ করে । সেভাবে সামর্থ্য নেই । আমাদের বুট জার্সি মজা স্যরই কিনে দেন । তিন বছর ধরে খেলতে আসছি । এখানে বিভিন্ন জায়গায় খেলতে নিয়ে যায় আমাদের স্যর। আমরা ভাল খেলোয়ার হতে চাই।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.