দার্জিলিং, 1 এপ্রিল: জি-20 সামিটের মধ্যে দিয়ে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিকমানের ট্যুরিজম সার্কিট গড়ার লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আজ শিলিগুড়িতে আসছেন আসছেন আট রাষ্ট্রদূত। পর্যটনের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য চা শিল্প, স্থানীয় হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পর অভাবনীয় সম্ভারও রাখা থাকবে সামিটে। ঐতিহাসিক আমল থেকে চলে আসা রূপোলি চা পাতা তোলার মতো অভূতপূর্ব সৌন্দর্য্যের সাক্ষী থাকতে চলেছেন সামিটে অংশগ্রহণকারী বিদেশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সব মিলিয়ে জি-20 সামিটের জন্য প্রস্তুত শৈলরানি দার্জিলিং এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শহর শিলিগুড়ি।
শিলিগুড়িতে আসছেন বিদেশি প্রতিনিধি দলের সদস্য-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ওমান, কোরিয়া, ব্রিটেন, মেক্সিকো, জাপান মিলিয়ে মোট আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত থাকবেন। এছাড়া এই কয়েকদিনে প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি এই সামিটে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে শুক্রবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন সুকনায় সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রকের সচিব অরবিন্দ সিং, যুগ্ম সচিব থেন্ডুপ নামগ্যাল শেরপা, অতিরিক্ত সচিব রাজেশ ভার্মা-সহ সচিব রাধা কাটয়াল নারাঙ্গ।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে জি-20 সামিট, তার আগে শিলিগুড়িকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ সরকারের
আর জি-20 সামিটের মধ্যে দিয়ে পর্যটনে যেমন বড় বিনিয়োগ আসবে,তেমনি চা শিল্প ও পাহাড়ের হস্ত ও কুটির শিল্পতেও ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বিদেশি ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে বিশেষ হেরিটেজ স্থান ও হেরিটেজ শিরোপাধারী দার্জিলিং হিমালয়ান রেল আলাদা জায়গা করবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বৈঠকে সচিব অরবিন্দ সিং বলেন, "চা শিল্পের পাশাপাশি পাহাড়ের লোক সংস্কৃতি, হস্ত ও কুটির শিল্পকেও তুলে ধরা হবে। সেজন্য স্টলও থাকবে। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানকে নিয়ে দার্জিলিং ও সিকিমকে কেন্দ্র করে একটি পর্যটন সার্কিট অবশ্যই প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরা হবে।" উল্লেখ্য, জি-20 সামিটের কারণে শহর শিলিগুড়িকে ঢেলে সাজাতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে এসজেডিএ। রাজ্য সরকারের নির্দেশে সেই কাজ করেছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৷