ETV Bharat / state

Black Fever: কালাজ্বর নির্মূলে তৎপর স্বাস্থ্য বিভাগ, বাড়ি বাড়ি চলল স্প্রে

author img

By

Published : Oct 23, 2022, 9:17 PM IST

Etv Bharat
কালাজ্বর নির্মূলে তৎপর স্বাস্থ্য বিভাগ

বুনিয়াদপুর পৌরসভা ও বংশীহারি ব্লকের একাধিক জায়গায় কালাজ্বরে অতিষ্ঠ জনজীবন(Buniadpur Municipality)৷ চলতি মাস পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা 22(Black Fever)৷ যা রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনিক মহলে ৷

বংশীহারি, 23 অক্টোবর: দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পৌরসভা ও বংশীহারিতে কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে । এই নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন (Health Department in act against Black Fever)। কালাজ্বরে আক্রান্ত এলাকাগুলিতে বেলেমাছির প্রকোপ যাতে বৃদ্ধি না-হয় তার জন্য বাড়ি বাড়ি স্প্রে করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর । রবিবার বংশিহারি ব্লকের মহাবারী গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দারমানিক, সমাসপুর এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাটির বাড়িগুলিতে স্প্রে করা হয় ।

গত 2020 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বংশীহারিতে কালাজ্বরে কেউ সংক্রমিত হননি(Buniadpur Municipality and Banshihari Block)। 2022 সালে বুনিয়াদপুর পৌরসভা ও বংশীহারি ব্লকে অক্টোবর পর্যন্ত কালাজ্বরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 22 ৷ বেলে মাছির কামড়ে এই রোগের সূত্রপাত । সঠিক সময় চিকিৎসা করাতে না-পারলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে । যদিও বংশীহারি ও বুনিয়াদপুরে পাঁচজন আক্রান্ত রোগীর সঠিক চিকিৎসার ফলে সকলেই সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে ।

বিশেষ করে মাটির বাড়িতে বিভিন্ন ফাঁকফোকরে এই বেলে মাছি বংশবিস্তার করে । সন্ধ্যের দিকে সেখান থেকে বের হয়ে মানব শরীরে কামড়ালে জ্বর আসে । 15 দিন ধরে জ্বর থাকে ৷ এছাড়াও রোগীর পেট ফোলা, গায়ের রং কালো ও রোগী রোগা হতে থাকেন ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ডাঃ দীপাঞ্জন রায় বলেন, "কালাজ্বর(Black Fever)নির্মূল করতে আক্রান্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি স্প্রে করা হচ্ছে । গত তিন বছরে যেসব গ্রাম আক্রান্ত হয়েছিল বছরে দু'বার সেই এলাকায় এই স্প্রে করা হয় । বেলে মাছির বংশবিস্তার বন্ধ-সহ এরা যাতে মানুষকে না কামড়ায় তার জন্যই বাড়ি বাড়ি এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ।"

ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পুলকেশ সাহা জানান, মাটির বাড়ির ফাটলে এই মাছি দেখা যায় । সাধারণ মশার থেকে একটু আলাদা আকৃতির । বেশি উচ্চতায় মাছিটি উঠতে পারে না । আইআর এস স্প্রে-র মাধ্যমে বেলে মাছিগুলোকে মারা হয় । এদের বংশবিস্তার করতে দেওয়া হয় না । বংশীহারির ন'টি জায়গায় এই স্প্রে চলছে । 14 দিনের বেশি শরীরে জ্বর এই রোগের লক্ষণ বলে ধরা হয় । তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসায় এ রোগ সেরে যায় । আক্রান্ত রোগীদের সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থাও আছে ।

আরও পড়ুন : বুনিয়াদপুরে সদ্যোজাত ও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় নার্সিংহোমে ভাঙচুর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.