সোনারপুর, 31 মে: মাংস-ভাত খাওয়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে দশ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল । এই ঘটনায় বুধবার গ্রেফতার বছর পঁয়ত্রিশের শংকর হালদার নামে এক ব্যক্তি । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা শংকর হালদার 10 বছরের এক নাবালিকাকে তার বাড়ির কাছ থেকে মাংস-ভাত খাওয়ানোর নাম করে ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে চলে যায় একটি জঙ্গলের মধ্যে । এরপর ঘণ্টাখানেক ধরে চলে নৃশংস অত্যাচার । যাতে চিৎকার করতে না পারে তার জন্য মুখ বেঁধে এই অত্যাচার চালানো হয় ৷
নাবালিকার প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করে অভিযুক্ত । এরপর স্থানীয়দের চোখে পড়ে যাওয়ায় সেখানে ছুটে গিয়ে অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন তাঁরা । এরপর তাকে আটকে রাখে পুলিশের খবর দেওয়া হয় । এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে । তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে আজ অভিযুক্তকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় ।
এই বিষয়ে নির্যাতিতার মা জানান, তিনি কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরে মেয়েকে খাবারের লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ৷ এরপর মেয়ের উপর অত্যাচার চালায় ৷ প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির আর্জি জানিয়েছেন তিনি । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় । সকলেই ধৃতের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : কীর্তনের দলে সুযোগ করে দেওয়ার টোপ দিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার 'ধর্ষণ', গ্রেফতার অভিযুক্ত
এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে । বুধবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে পেশ করলে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক ।
