সন্দেশখালি, 16 মে: সন্দেশখালি আছে সন্দেশখালিতেই। ফের ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের। বুধবার রাতে সন্দেশখালি থানা এলাকায় ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে, দুই স্থানীয় তৃণমূল নেতার নামও রয়েছে। বাকি তিন জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে অভিযোগকারীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে টোটো করে বসিরহাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। সেখানেই ওই মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সন্দেশখালি মাঝেরপাড়া এলাকায় এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে কয়েকজন ৷ কিন্তু ওই মহিলা চিৎকার করলে ভয়ে পুকুরের পাশে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এমনটাই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার স্বামী। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে সন্দেশখালি থানায় কর্মরত। তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা হয়েছে। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে, ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, দুই তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক ও সৈকত দাস ওরফে পিকাই তাঁর স্ত্রীকে অপহরণের ছক কষেছিল ৷
তিন জন দুষ্কৃতী এসে ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তিন জনই মুখ বাধা অবস্থায় এসেছিল সেই কারণেই চিহ্নিতকরণ করা যায়নি বলেও জানাচ্ছেন ওই মহিলার স্বামী। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে বসিরহাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।
অভিযোগ দায়ের করতে থানাতেও যান তিনি। অভিযোগের পরও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারীও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, "যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাব আমরা। তিন জন পুলিশ আধিকারিক এসেছিলেন ঘটনার পরে কিন্তু আমরা কোনও অভিযোগ করিনি ৷ কারণ পুলিশ ওকে নিয়ে গিয়ে আরও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।"
আরও পড়ুন
ভোট মিটতেই হিংসা! দিলীপ ঘোষের পোলিং এজেন্টের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মন্তেশ্বরে
প্রতিবাদী মহিলাকে রাতে অপহরণের চেষ্টা, নতুন করে উত্তেজনা সন্দেশখালিতে