Rampurhat rape : বয়ান বদলে ধর্ষণে অভিযুক্ত বেকসুর খালাস, অভিযোগকারিণীর 3 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

7 বছরের মেয়েকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল এক ব্যক্তি ৷ তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করছিলেন মা ৷ কিন্তু বিচার চলাকালীন সাক্ষ্য দেওয়ার সময় অভিযুক্তের পক্ষে কথা বলে মামলাকে মিথ্যে, ভিত্তিহীন করে তোলেন নির্যাতিতার মা ৷ এর ফল হল উল্টো ৷

রামপুরহাট, 5 অক্টোবর : দৃষ্টান্তমূলক রায়ে পকসো আইনে অভিযুক্ত সাজা ছাড়াই খালাস পেলেন আর ধর্ষিতার মায়ের 3 দিনের জেল হেফাজত ও 500 টাকা জরিমানার রায় দিল আদালত ৷ গতকাল রামপুরহাট মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এই সাজা ঘোষণা করেন । আদালতের সরকারি আইনজীবী জানান, ধর্ষিতার মাকে 500 টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও 5 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ।

সূত্রে জানা গিয়েছে, 2020-র 28 সেপ্টেম্বর 7 বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক প্রৌঢ়ার বিরুদ্ধে বীরভূমের মুরারই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুরারইয়ের বাসিন্দা ধর্ষিতার মা । সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এডিজে কোর্টে মামলা দায়ের করে মুরারই থানার পুলিশ । পকসো আইনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি বেশ কিছুদিন জেলও খাটেন ৷

মামলা চলাকালীন সাক্ষ্য দেওয়ার সময় অভিযোগকারিণী ধর্ষিতার মা বয়ান বদলে দেন । তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষ্য দেননি ৷ স্বাভাবিক ভাবে এই মামলা ভিত্তিহীন হয়ে যায় এবং অভিযুক্তকে নিষ্কৃতি দেন বিচারক । কিন্তু এই ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে তাই বিচারপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য উল্টে ধর্ষিতার মাকে সাজা দেওয়ার রায় ঘোষণা করেন ৷ নিজের মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগ করলেও পরে কোনও অজানা কারণে সেই অভিযোগ বদলে মিথ্যে মামলায় পরিণত করেছেন নাবালিকার মা ৷ সরকারি আইনজীবী বলেন, "সমাজে যারা অপরাধ করবে তারা অভিযোগকারীর মিথ্যা সাক্ষ্যের ফলে সাজা পাবে না ৷ এটা বিচারপতি ঠিক ভাবে নেননি ৷ তাই দৃষ্টান্তস্বরূপ অভিযোগকারিণীকে এই শাস্তি দিয়েছেন ৷"