Mahamari Puja : ঐতিহাসিক মহামারি পুজোর পরই পালাবে করোনা, আশায় বিষ্ণুপুরবাসী

author img

By

Published : Sep 15, 2021, 10:39 PM IST

Bankura people expects that coronavirus will be removed after Mahamari Puja

মহামারি মানেই করোনা, কলেরা বা গুটি বসন্ত নয় ৷ বিষ্ণুপুরে মহামারি দেবী (Mahamari Puja) রূপে পূজিত হয় ৷ মল্লরাজ বীরহাম্বির এই পুজো শুরু করেছিলেন বলে কথিত রয়েছেন ৷

বাঁকুড়া, 15 সেপ্টেম্বর : বারে বারে এই পৃথিবীতে দেখা গিয়েছে মহামারি ৷ কখনও কলেরা, কখনও প্লেগ, কখনও গুটি বসন্ত তো কখনও ম্যালেরিয়া ৷ একের পর মহামারির সাক্ষী থেকেছে বিশ্ব ৷ আর এখন চলছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তাণ্ডব ৷ তবে মহামারী শুধু প্রাণঘাতীই নয়, এটি মল্লভূমের এক প্রাচীন দেবীও ৷

এই পুজোর শুরু করেছিলেন 49তম মল্লরাজ বীরহাম্বির । বিষ্ণুপুর রাজ পরিবারের কূলদেবী মৃণ্ময়ী দেবীর পুজোর সময় মহানবমীর নিশুতি রাতে পূজিত হন মহামারি দেবী (Mahamari Puja)৷ এই পুজোর একমাত্র সাক্ষী থাকতেন শুধু রাজা ও রাজপুরোহিত ৷ এখনও নিয়ম-মাফিক রাজপরিবারে সদস্য এবং রাজপুরোহিতই মহামারি দেবীর পূজোর সময়ে উপস্থিত থাকেন ।

এই পুজোকে কেন্দ্র করে কথিত আছে এক অলৌকিক কাহিনি ৷ মহারাজা বিরহাম্বির কোনও এক নিশুতি রাতে দুর্গ পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন ৷ তখন তিনি এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পান ৷ এক দেবীকে খচ্চরে চেপে ঘুরে বেড়াতে দেখে নাকি রাজা তাঁকে ক্রুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কে ? প্রশ্নের উত্তর না-মেলায় মহারাজা রেগে গিয়ে রাজসৈনিক দিয়ে সেই দেবীকে বন্দি করেন । এরপর আবার জানতে চাওয়া হলে তিনি নাকি বলেন, "আমি মহামারি দেবী ৷ মৃন্ময়ী পুজোর নবমীর রাতে আমাকেও পুজো করবে ৷"

আরও পড়ুন: Engineers' Day: বিশ্বের সব ইঞ্জিনিয়ারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

রাজাকে মহামারি দেবী নাকি তিনটি বরও দিয়েছিলেন ৷ তিনি বলেন, এই রাজ পরিবারের কেউ সর্পাঘাতে মারা যাবে না, রাজ পরিবারের কখনও অন্নের অভাব হবে না আর এই মল্লরাজধানীতে কখনও মহামারি দেখা দেবে না । তারপর থেকেই শুরু হয় এই দেবীর পুজো ৷ রাজা আর নেই ৷ তবুও রাজমহলের ভাঙাচোরা দেওয়ালের নোনাধরা ইটগুলো আজও সাক্ষী রয়েছে সেই ইতিহাসের ৷

ঐতিহাসিক মহামারি পুজোর পরই পালাবে করোনা, আশায় বিষ্ণুপুরবাসী

আরও পড়ুন: Saayoni Ghosh on Tripura : মেদিনীপুর থেকে 100 ছেলে পাঠিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপিকে ধূলিসাৎ করে দেব, হুঁশিয়ারি সায়নীর

রাজ পরিবারের সদস্য সম্রাট সিংহ ঠাকুর এই কথিত গল্পের কথা জানালেন ৷ পুজোর বেশকিছু নিয়ম আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয় বলে জানালেন রাজ পরিবারের পুরোহিত । আর মাত্র কিছু দিন ৷ তারপরই দেবীর পুজো হবে এই মল্লভূমে ৷ দেবীর বর অনুযায়ী পুজোর পরই বিশ্ব থেকে করোনা বিদায় নেবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন বিষ্ণুপুরবাসী ।

আরও পড়ুন: By-Election : ভবানীপুরে ভোট বিমুখ জনতাকে বুথমুখী করতে নয়া কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.