মোদির কেদারযাত্রায় "বিধিভঙ্গ", কমিশনে চিঠি তৃণমূলের

author img

By

Published : May 19, 2019, 11:08 AM IST

Updated : May 19, 2019, 3:57 PM IST

চিঠিতে বলা হয়েছে, "আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে চোখ ও কান বন্ধ রেখেছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন ।"

কলকাতা, 19 মে : ফের নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস । চিঠিতে বলা হয়েছে, "শুক্রবার বিকেলে লোকসভার শেষ দফার প্রচারের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে । তা সত্ত্বেও, গত দুদিন ধরে নরেন্দ্র মোদির কেদারনাথ যাত্রা সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে । যা চূড়ান্ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ । "

গতকাল কেদারনাথে যান মোদি । সেখানে ধ্যান করেন । জাতীয় ও আঞ্চলিক মিডিয়ায় তাঁর যাত্রা সম্প্রচারিত হয় । জনতার উদ্দেশে হাত নেড়ে "হর হর মহাদেব" স্লোগান দেওয়ার আর্জি জানান । পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, নির্জনে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি কমিশনের কাছে কৃতজ্ঞ । কিছু পাওয়ার আশায় প্রার্থনা করেন না । তাহলে কি নির্বাচনের জয়ও প্রার্থনা করেননি ? সে প্রসঙ্গে মোদি বলেন, "না । কিছু না । আমি বিশ্বাস করি যে, ভগবান সবাইকে যোগ্য বানিয়েছেন । তবে হ্যাঁ । দেশবাসীর জন্য আমি প্রার্থনা করি ।"

Election Commission
সেই চিঠি

তারপরই মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা । আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি লেখে তৃণমূল । তাতে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় । চিঠিতে লেখা হয়, "আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে চোখ ও কান বন্ধ রেখেছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন ।"

Intro:কলকাতা, ১৯ মে: আর বিড়ম্বনায় পড়তে চান না। তাই জেলা পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে কুইক রেসপন্স টিম। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিবেক দুবে। কন্ট্রোল রুম গুলোতে আছেন ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসাররা। তাঁরা SOS এর মাধ্যমে খবর দিচ্ছেন QRT কে। সেই নির্দেশ মোতাবেক চলছে QRTর গতিবিধি। বিবেক দুবে নিজেও আছেন কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে।
Body:সূত্র জানাচ্ছে, অনেক ভাবনা-চিন্তা করে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক সুদীপ জৈনের কাছে রেখেছিলেন প্রস্তাবটা। তারপরেই তড়িঘড়ি বানানো হয়েছে একটি অ্যাপ। অনেকটা ইভিএম ট্রাকিং অ্যাপের মত। GPS পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে যেভাবে সেক্টর অফিসারদের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালায় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর, ওই একই পদ্ধতিতে এবার QRTর গাড়ি গুলোতেও চালানো হচ্ছে নজরদারি।
Conclusion:আসলে ষষ্ঠ দফায় কুইক রেসপন্স টিম নিয়ে আঙুল উঠেছিল বিস্তর। যার দায় অনেকটাই গিয়ে পরে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাঁধে। এবার তাই QRTর সক্রিয়তা নিয়ে নেওয়া হয়েছে বিশেষ কিছু চিন্তা ভাবনা। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের নির্দেশ, যে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটলে ৫-৭ মিনিটের মধ্যে পৌঁছতে হবে কুইক রেসপন্স টিমকে। এ বিষয়ে রীতিমত কড়া নির্দেশ দিয়েছেন দুবে। এই সময় কোনও ভাবেই যাকে পনেরো মিনিটে না ছাড়িয়ে যায় তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন দুবে।

৪৬১টি QRT কাজ করছে রবিবার। কলকাতার ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ১৭৮। পাশাপাশি শহরে সক্রিয় কলকাতা পুলিশও‌। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা ভূমিকা পালন করছেন। কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী, ফ্লাইং স্কোয়াড ‌ সক্রিয় আছে।

ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে রাজ্য পুলিশ না রেখে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ড্যান্টদের দেওয়া হয়েছিল QRT পরিচালনার দায়িত্ব। নির্বাচনের পরে সবকটি রাজনৈতিক দল QRT র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদতে সেদিন পথ চিনতে পারেনি ভিন রাজ্যের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরা‌। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার QRT তে রাখা হচ্ছে রাজ্য পুলিশের একজন করে কনস্টেবল‌ গাইড হিসেবে থাকবেন। তবে এবারেও টিম পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন কম্পানি কমান্ডান্টরাই।
Last Updated :May 19, 2019, 3:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.