আসানসোল, 8 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে কুলটির চবকা যৌনপল্লি এলাকার বাসিন্দারা চরম কষ্টে ছিলেন। আর সেই কষ্টের কথা জেনে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু চবকা এলাকায় আজ থেকে কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করলেন। এখানে একসঙ্গে 500 জন প্রতিদিন খেতে পাবেন বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষক। তবে শুধু চবকা নয় এর আগে আরও তিনটি প্রত্যন্ত এলাকায় কমিউনিটি কিচেন তৈরি করে গরিব মানুষদের প্রতিদিনকার খাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক চন্দ্রশেখর।
শিক্ষক ও সমাজসেবী চন্দ্রশেখর খোঁজ পান আসানসোলের বেশ কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় পাথর খাদানে কাজ করা শ্রমিকদের দিন চলছে না। এই খোঁজ পাওয়ার পর স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় তিনটি কমিউনিটি কিচেন শুরু করেন ওই এলাকাগুলিতে। প্রতিদিন প্রায় 600 মানুষ সেখানে খেতে পাচ্ছেন। এরপরে তিনি খবর পান কুলটির চবকা যৌনপল্লি এলাকার বাসিন্দারা না খেতে পেয়ে খুব কষ্টে আছেন।
চন্দ্রশেখরবাবু জানান, “গত পরশু রাতে কুলটির নিয়ামতপুরের চবকায় যাই খবর নিতে। এখানে যৌনকর্মীরা খুব নিম্নবিত্ত। দুর্দশা চোখে দেখা যায় না। ওখানে আলাপ হয় রবি ঘোষ, কপিল বাউড়ি সহ আরও কিছু স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গে। তাঁরা স্বেচ্ছাশ্রম দিতে এগিয়ে আসতে রাজি হওয়ায় সেই রাতেই পরিকল্পনা করি রোজ খাবার দেওয়ার। কিন্তু 500 লোকের রোজ খাবার, অনেক সামগ্রী লাগে। স্থানীয় আরও এক যুবক শিব ঠাকুর সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন । এখানকার মহাবীর স্থান, মানব সেবাদল সংগঠন শিবের কথা শুনে সাহায্য করতে রাজি হয়ে যায় । আজ থেকেই খাবার দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।”
মানুষের দুর্দশার খবর পেলেই, ছুটে যান এই শিক্ষক। মানুষজন দুবেলা খাবার পাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে এর চেয়ে ভালো আর কীইবা হতে পারে!