ইন্দোর, 4 সেপ্টেম্বর: ইন্দোর পৌরনিগমের পেনশন দুর্নীতি-কাণ্ডে রেহাই পেলেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ৷ শনিবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের একটি বিশেষ আদালত অন্যতম শীর্ষ নেতা-সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করল ৷ কারণ, মধ্যপ্রদেশের সরকার গেরুয়া শিবিরের এই দাপুটে নেতা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে 17 বছরে ধরে কোনও বিচারে ছাড়পত্র (Madhya Pradesh government did not give sanction to prosecute him and others for 17 years) দেয়নি (Former Mayor Kailash Vijayvargiya gets relief in alleged pension scam at Indore Municipal Corporation) ৷
কৈলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কে কে মিশ্র মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান ৷ আদালতের এই রায়ের পর তিনি এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ তাঁর অভিযোগ, পেনশন অনুমোদনের পদ্ধতিতে দেরি হচ্ছে ৷ আর মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কৈলাশ-সহ অন্য অভিযুক্তদের সুরক্ষা দিয়ে এই দুর্নীতিতে মদত জোগাচ্ছেন ৷ সোমবার, 29 অগস্ট বিশেষ আদালতের বিচারক মুকেশ নাথ বিচারে ছাড়পত্র না-মেলায় (citing the lack of sanction for prosecution) সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি বন্ধের নির্দেশ দেন ৷ তাঁর মধ্যে রয়েছেন বিজয়বর্গীয়ও ৷ তবে তিনি জানান, মামলাকারী আদালতে নতুন করে মামলা করতে পারেন ৷
আরও পড়ুন: বিদেশি মহিলাদের মতো যখন তখন সঙ্গী বদলান নীতীশ, বিতর্কিত মন্তব্য কৈলাশের
কংগ্রেস নেতা কে কে মিশ্র (KK Mishra) আদালতে অভিযোগ করেন, 2000-05 পর্যন্ত কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ইন্দোর পৌরনিগমের (Indore Municipal Corporation, IMC) মেয়র ছিলেন ৷ ইন্দোর পৌরনিগম দুঃস্থ, বিধবা, বিশেষ ভাবে শারীরিক সক্ষমদের কোঅপারেটিভ ইনস্টিটিউটগুলির মাধ্যমে পেনশন দিত ৷ কিন্তু আইন অনুযায়ী জাতীয় ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসগুলি এই পেনশন গ্রাহকদের দিতে পারে ৷ এক্ষেত্রে যাঁরা এই পেনশন পাওয়ার যোগ্য নন, কেউ হয়তো মারা গিয়েছেন, কোনও গ্রাহকের অস্তিত্বই নেই- এমন অনেকেকে পেনশন দেওয়া হয়েছে বিজয়বর্গীয়র আমলে ৷ এতে সরকারের 33 কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে ৷
কে কে মিশ্র তৎকালীন পৌরনিগমের কমিশনার সঞ্জয় শুক্লা-সহ (Municipal Commissioner Sanjay Shukla) 14 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "17 বছর ধরে কোনও বিচার হয়নি ৷ রাজ্য সরকার দুর্নীতিকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে ৷" তাঁর আইনজীবী বিভোর খান্ডেলওয়াল জানান, তাঁরা পেনশন অনুমোদন না-হওয়া নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন ৷