দিল্লি, 20 অক্টোবর : দেশজুড়ে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে মহাত্মা গান্ধির জন্মের সার্ধশতবর্ষ ৷ ETV ভারতও সামিল হয়েছিল সেই উদযাপনে ৷ গান্ধিজির প্রিয় ভজন 'বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে, যে পীর পরায়ি জানে রে, পর দুখে উপকার করে তো ইয়ে, মান অভিমান না আনে রে' -এর উপর এক ভিডিয়ো তৈরি করা হয় ৷ 1 অক্টোবর সেই ভিডিয়ো লঞ্চ করেছিলেন রামোজি গ্রুপের চেয়ারম্যান রামোজি রাও ৷ শনিবার 7 লোককল্যাণ মার্গের একটি অনুষ্ঠানে ETV ভারতের সেই বিশেষ ভিডিয়ো প্রদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ এরপর রামোজি রাও ও তাঁর এই প্রয়াসের ভূয়সি প্রশংসা করেন তিনি ৷
রামোজি রাওয়ের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "রামোজি রাওকে হার্দিক অভিনন্দন ৷ বয়সে তো উনি অনেক বড় ৷ বরাবর ওনার মনে একটি আন্তরিক ইচ্ছে ছিল ৷ আমার সঙ্গে আলোচনাও করতেন ৷ কীভাবে কী করবেন ৷ আপনারা দেখেছেন দেশজুড়ে নানা ক্ষেত্রের শিল্পীদের নিয়ে কীভাবে তিনি গান্ধিজির প্রিয় ভজনকে এক আধুনিক রূপ দিয়ে উপস্থাপন করেছেন ৷ আমি মনে করি এই ভজন এক বার্তা দেয়৷"
কয়েকদিন আগেও ETV ভারতের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, গান্ধিজির প্রিয় ভজনের সুন্দর প্রস্তুতির জন্য ইনাডু হিন্দিকে হার্দিক অভিনন্দন ৷
শনিবার 7 লোককল্যাণ মার্গের একটি অনুষ্ঠানে ETV ভারতের সেই বিশেষ ভিডিয়ো প্রদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ শাহরুখ খান, আমির খান সহ বলিউড শিল্পীদের এই চাঁদের হাটে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরছিলেন মহাত্মার আদর্শের কথা ৷ গান্ধিজির প্রিয় ভজন 'বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে, যে পীর পরায়ি জানে রে, পর দুখে উপকার করে তো ইয়ে, মান অভিমান না আনে রে' ৷ এই প্রিয় ভজনের মাধ্যমেই সারা দেশকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ETV ভারতও ৷ এর আগে নিজের টুইটেও এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও টুইট করেছিলেন সেটি ৷
আপামর ভারতবাসীর মধ্যে যে মেলবন্ধন, দেশের প্রতি যে ভালোবাসা, পাশের মানুষের প্রতি যে অনুভূতি, 'বৈষ্ণব জন তো' ভজনটিতে ধরা পড়েছে সেই আবেগ ৷ নরসিংহ মেহতা রচিত গীতি কবিতার ছত্রে ছত্রে বলা হয়েছে এক বৈষ্ণবের আদর্শ ও জীবন কী হতে পারে ৷ সেই মেলবন্ধনকেই সুরের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন দেশের নানা প্রান্তের প্রথিতযশা শিল্পীরা ৷ বাংলার হৈমন্তী শুক্লা, তামিলনাড়ুর পি উন্নিকৃষ্ণন, তেলাঙ্গানার এস পি বালাসুব্রমনিয়ান, কন্নড় শিল্পী পি বিজয়প্রকাশ, গুজরাতের যোগেশ গাধভি, অসমিয়া শিল্পী পুলক ব্যানার্জি, মারাঠি শিল্পী বৈশালি মাড়ে, মালায়লম শিল্পী কে এস চিত্রা, পঞ্জাবের শংকর সাহনি, ওড়িশার সুভাষচন্দ্র দাস, হিন্দিভাষী শিল্পী চান্নুলাল মিশ্র, সালামত খান জাতির জনকের 150 বছরের জন্মদিনে একই সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন বাপুর প্রিয় ভজনের সুরে ৷ ভিডিয়োটিতে সারা দেশের সম্মিলিত ঐক্যতান যেন ফুটে উঠেছে ৷ গানটির আবহ সংগীত বসু রাও সালুরির, পরিচালনা করেছেন অজিত নাগ ৷ দেশের নানা প্রান্তে শুট করা হয়েছে ভিডিয়োটি ৷ দেশের প্রকৃত ঐক্যের যে মূল সুর, তা ফুটে উঠেছে ভিডিয়োটিতে ৷