পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে ? তালিকায় রাখতে পারেন এই ফলগুলি

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 10, 2024, 12:34 PM IST

Home remedies for Diabetes: আপনি যদি ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার খাবার ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন ৷ এছাড়াও লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার তালিকায় রাখা প্রয়োজন ৷

Diabetes News
শীতে শরীর সুস্থ রাখতে অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই মৌসুমে ডুমুর খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি সুপারফুড হিসেবেও পরিচিত। আপনি শীতকালে ডুমুর দিয়ে আপনার দিন শুরু করতে পারেন। এক কাপ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেয়ে নিন। আপনি চাইলে অন্যান্য শুকনো ফলের সাথেও খেতে পারেন। ডুমুরে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ফাইবারের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। চলুন দেরি না করে ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের জন্য ডুমুর একটি নিরাময় হতে পারে। এতে উচ্চ ফাইবার উপাদান রয়েছে, এটি খেলে মলত্যাগে সাহায্য করে। যা দিয়ে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়া ডুমুর পেটে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতেও সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী ডায়াবেটিস রোগীদের শীতকালে তাদের খাদ্য তালিকায় ডুমুর অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। এতে পাওয়া অ্যাবসিসিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো যৌগগুলি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে ডুমুরকে আপনার ডায়েটের একটি অংশ করুন। এটি খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ডুমুর খাওয়া হাড়ের স্বাস্থ্য বাড়ায়। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের বিকাশে সহায়ক। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডুমুরে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। যা ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়। ডুমুর খাওয়া আপনার ত্বকে পুষ্টি যোগায়, তাই শীতে আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে ডুমুর খেতে পারেন।

হায়দরাবাদ: ডায়াবেটিস আজকাল একটি সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে ৷ এটি আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের ফল । এই রোগ থেকে মক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে ৷ এই রোগ নিরাময়ের জন্য ডায়েট করা গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প কাজে লাগিয়ে শর্করার মাত্রাকে বজায় রাখা সম্ভব ৷ রক্তে শর্করা বজায় রাখতে, খাদ্যতালিকায় লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) ফল অন্তর্ভুক্ত করা খুবই উপকারী । ডায়াবেটিস রোগীরাও এই ফল খেলে দারুণ উপকার পেতে পারেন ।

কিছু ফল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে ৷ ওজন কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং শক্তি দেয় । এগুলিতে আরও বেশি ফাইবার এবং পুষ্টি রয়েছে যা ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখে । স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য সঠিক পরিমাণে কম জিআই ফল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

কম গ্লাইসেমিক সূচক কী (What is low glycemic index)?

একজন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে চিনির পরিমাণ ভারসাম্যহীনভাবে বেড়ে যায় ৷ কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবারগুলিকে কত দ্রুত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় তা নির্ধারণ করে । যে খাবারগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি ঘটায় না সেগুলি স্থিতিশীল গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে ৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলগুলিতে কম গ্লাইসেমিক সূচকে পাওয়া যায় ৷

চেরি: ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৷ এটি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে । এছাড়া অনেক রোগেও এটি উপকারী ।

আপেল:ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অন্য অনেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ৷ এটি কম গ্লাইসেমিক সূচককে নির্দেশ করে । এটি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকে । এছাড়াও এরমধ্যে অনেক পুষ্টি উপাদানও রয়েছে ৷

কলা: কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম । এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে । এটি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ৷ যা রক্তচাপ কমাতে ও ক্যানসার, হাঁপানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে ।

মাস্কমেলন: ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন বি1, বি3, বি6, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ । এটি রক্তে চিনিরল পরিমাণ বজায় রাখতে কাজ করে । এছাড়া অন্যান্য রোগ প্রতিরোধেও এটি উপকারী । এছাড়াও আঙুর, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আম, নাশপাতি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল ৷ সবমিলিয়ে এই ফল খেলে আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় ৷

আরও পড়ুন:

  1. কমলালেবুর খোসা ফেলে দিচ্ছেন ? ত্বকের জন্য কতটা উপকারী জেনে নিন
  2. জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন ? মেনে চলতে পারেন কয়েকটি টিপস
  3. ঈশ্বরের সুন্দর সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নিজের খেয়াল রাখুন এইভাবে

(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)

ABOUT THE AUTHOR

...view details