পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Accident : দোকানে ঢুকল ট্রলার, ভাঙল ঘর

By

Published : Sep 22, 2021, 4:54 PM IST

ট্রলারের ধাক্কার পর ধ্বংসাবশেষ

রেলের পাত বোঝাই করা ছিল ট্রলারে ৷ সেটি শালবনি থেকে মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিল ৷ রাস্তার বাম্পারে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা দোকানে, বাড়ির মধ্যে ঢুকে যায় বিশালাকার ট্রলার ৷ গুঁড়িয়ে গিয়েছে সব কিছু ৷ ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা ৷

গোদাপিয়াশাল, (পশ্চিম মেদিনীপুর) 22 সেপ্টেম্বর : রাতে রেলের পাত বোঝাই ট্রলার একের পর এক দোকানে ধাক্কা মারতে মারতে বাড়িঘর ভেঙে ফেলে । ক্ষতি হয়েছে লক্ষাধিক টাকা । কেউ মারা না গেলেও আহত হয়েছেন ওই ট্রলারের চালক ও খালাসি । দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শালবনি-মেদিনীপুর জাতীয় সড়কে গোদাপিয়াশালে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ৷ উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে । দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷

প্রতক্ষ্যদর্শীদের কথায় 20 সেপ্টেম্বর রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল ৷ হঠাৎ গ্রামবাসীরা একটা বিকট আওয়াজ শুনতে পান ৷ শালবনি ব্লকের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ নিবেদিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই ৷ তিনি বলেন, "বুঝতে পারি ট্রলার একটা বাড়িতে ধাক্কা মারে ৷ সেই বাড়ির আগে একটি কাপড়ে দোকান ছিল, সেই দোকানের লাগোয়া ছিল ডেকরেটারের দোকান ৷" তিনি জানান, ট্রলারের ধাক্কায় দোকান দু'টি একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে ৷ পুজোর আগে কাপড় ব্যবসায়ী এবং ডেকরেটার ব্যবসায়ী উভয়ের দোকানেই পুজো উপলক্ষ্যে অনেক জিনিস মজুত ছিল, তাই তাঁদের দু'জনের বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে আপশোস করেন কর্মাধ্যক্ষ ৷ তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, "এই মুহূর্তে বসে একটা আলোচনা করে কী ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব, সেটা দেখতে হবে ৷"

আরও পড়ুন : Building Collapse in Burdwan : হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল 100 বছরের পুরানো দোতলা বাড়ি, দেখুন ভিডিয়ো...

স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং উদ্ধারকাজ শুরু করে । স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাত প্রায় 11 টা নাগাদ প্রচণ্ড আওয়াজে এলাকাবাসী দৌড়ে আসে ৷ তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজ শুরু করে । রবিন ভকত নামে ক্ষতিগ্রস্ত কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, "রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ ট্রলারটি দোকানে ঢুকে যায় ৷ দোকানে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় 7-8 লক্ষ টাকার মাল রাখা ছিল ৷" এরপর তাঁর বাড়িও ভেঙে যায় বলে আক্ষেপ করেন তিনি ৷ তিনি অতি দ্রুত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন ৷ ঘটনাক্রমে জানা গিয়েছে, ওই ট্রলারটি রেলের পাত বোঝাই করে শালবনি থেকে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল ৷ পথে গোদাপিয়াশালে আনন্দপুর রাস্তার বাঁকের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একের পর এক দোকানে, বাড়িতে ৷

রাতের অন্ধকারে ট্লারের ধাক্কায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে বসতবাটি, দোকান

শালবনি ব্লকের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ নিবেদিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে শালবনি মেদিনীপুরের জাতীয় সড়কের সংকীর্ণতার কথা উল্লেখ করে বলেন, "এই জাতীয় সড়কের মাপ খুব ছোট কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে নাগাল্য়ান্ড, তামিলনাড়ু, কর্নাটক অসম-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মধ্য়ে যাতায়াত চলছে ৷ যদি রাস্তাটি প্রস্থে খানিকটা বাড়ানো যেত বা লোকালয়ে ফ্লাইওভার তৈরি করলে, এরকম বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ৷" পাশাপাশি তিনি ব্যারিকেড লাগানোর কথা জানান ৷ দুর্ঘটনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে তিনি বলেন, "দু'টি বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির আলো চোখে পড়ে, এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরও বাড়ে ৷" তবে এই দুর্ঘটনার জন্য পুলিশ কোনও ভাবে দায়ী নয় বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ নিবেদিতা ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details