পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

Malda River Erosion: বৈষ্ণবনগরের পর মানিকচক, গঙ্গার ছোবলে ভাঙছে ঘরের পর ঘর

By

Published : Aug 4, 2022, 9:03 PM IST

বৈষ্ণবনগরের পর এবার মানিকচকে ছোবল মারল গঙ্গা (Manikchak Submerged in Ganges River Due to Erosion)। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম নারায়ণপুর সংলগ্ন ব্রজলালটোলায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে। আতঙ্কে বেশ কিছু মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। পরিদর্শনে গিয়েছেন প্রশাসন ৷

Malda River Erosion
বৈষ্ণবনগরের পর এবার মানিকচকে ছোবল মারল গঙ্গা

মালদা, 4 অগস্ট: ভাঙন শুরু হয়েছে এদিন সকাল থেকে ৷ আতঙ্কে এলাকার মানুষগুলি ৷ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সেচ দফতরের আধিকারিক (Ganges Erosion Effect Area of Manikchak) । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন মানিকচক ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। তবে এখনও ভাঙন রোধের কোনও কাজ সেখানে শুরু হয়নি।

গঙ্গার ভাঙন রুখতে ব্রজলালটোলা গ্রামে 2007 সালে সেচ দফতর বোল্ডার পিচিং করেছিল। তারপর বেশ কয়েক বছর গঙ্গা ওই এলাকায় ছোবল বসাতে পারেনি। কিন্তু গত দু'বছর ধরে ফের গ্রামের পাড় কাটছে নদী। ভাঙন রুখতে স্থানীয়রা একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন তাঁদের আবেদনে কোনও কান দেয়নি।

এদিন যেভাবে গঙ্গা পাড় কাটছে, তাতে তাঁরা নিশ্চিত, নদীর ভাঙন আরও তীব্র হবে। এই মুহূর্তে নদী থেকে মাত্র 15-20 মিটার দূরে রয়েছে রিং বাঁধ। কোনও কারণে সেই বাঁধ কেটে গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ভূতনি চরের বিস্তীর্ণ এলাকা।

আরও পড়ুন:বলাগড়ে গঙ্গার তীরে অবৈধ ভেরি খননে বাড়ছে ভাঙন, উদাসীন প্রশাসন

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক বলেন, "দু'বছর ধরে ফের এখানে ভাঙন হচ্ছে। সরকারি লোক আসছে, দেখছেন আর চলে যাচ্ছেন। আশ্বাস দিলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। গতকাল জলের পরিস্থিতি দেখেই বুঝেছিলাম, ভাঙন শুরু হতে চলেছে। আতঙ্কে রাত 12টা পর্যন্ত গঙ্গার ধারে বসেছিলাম। শেষ পর্যন্ত এদিন ভোর থেকে ভাঙন শুরু হয়ে যায়। এখন একটু থেমেছে। সেচ দফতরের সাহেবরা এসেছেন। দেখা যাক, কী হয়!"

বৈষ্ণবনগরের পর এবার মানিকচকে ছোবল মারল গঙ্গা

আরেক গ্রামবাসী মতিউর রহমানের বক্তব্য, এর আগে ভাঙনের পরিস্থিতি দেখতে সাংসদ, বিধায়ক এসেছিলেন। ভাঙন রোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ভাঙন রোধের কাজ করার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় আবেদনও জানিয়েছি। মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেছিলেন, কাজ শুরু করবেন। অথচ কাজ শুরু হয়নি। ইতিমধ্যে আতঙ্কে অনেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।"

আরও পড়ুন:ম্যাপ থেকে উধাও গ্রাম ! বর্ষার শুরুতে ভিটে হারানোর আশঙ্কায় নিদ্রাহীন গঙ্গাপাড়ের মানুষ

ভাঙন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেচ দফতরের আধিকারিক আজিজুল রহমান বলেন, "এদিন সকাল থেকে এখানে 80 মিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গঙ্গার জল বাড়লে এমন ভাঙন হচ্ছে। আমি বিষয়টি দেখলাম। এ নিয়ে জয়েন্ট বিডিওর সঙ্গেও কথা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনা জানাচ্ছি। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কাজ করব।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details